ইউনিক ডেক্স : সততা ও সাহসিকতার এক উজ্জ্বল নিদর্শন খুলনা সিআইডি পুলিশ সুপার নারী নেতৃত্বের সাফল্যগাঁথা সম্পা ইয়াসমিন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপি মহোদয়ের সদিচ্ছায় সম্পা ইয়াসমিন ২০২৩ সালের ১০ সেপ্টেম্বর খুলনার সিআইডিতে যোগদান করেন। সততা, দক্ষতা, যোগ্যতা এবং সাফল্যের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন এলিট ফোর্স র্যাব, নৌ-পুলিশ এবং পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিআইবি) তে। সম্প্রতি তিনি যোগদান করেছেন খুলনা মেট্রো এন্ড জেলা সিআইডি’র বিশেষ পুলিশ সুপার হিসেবে। এ পদে তিনি খুলনায় সিআইডি’র প্রথম মহিলা বিশেষ পুলিশ সুপার। নারায়ণগঞ্জে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে তার জন্ম এবং বেড়ে ওঠা। শম্পা ইয়াসমীন ২৪ তম বিসিএস (পুলিশ) ‘র একজন দক্ষ ক্যাডার। ২০০৫ সালে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদানের পর এলিট ফোর্স র্যাব ‘র ৫ এবং ১০ ‘র অপারেশন অফিসার এবং ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার হিসেবে সততা, দক্ষতা, যোগ্যতা এবং সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। তার হাত ধরেই নারায়ণগঞ্জে পিআইবি প্রতিষ্ঠিত হয়। পিআইবি’র নারায়ণগঞ্জ জেলার ইনচার্জ হিসেবে দক্ষতা এবং যোগ্যতার সাথে ৩ বছর দায়িত্ব পালন করেছেন। খুলনায় সিআইডি’র বিশেষ পুলিশ হিসেবে যোগদান এর পূর্বে তিনি সিলেট অঞ্চলের নৌবাহিনীর পুলিশ সুপার হিসেবে দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন।বাংলাদেশ পুলিশের একজন দক্ষ এবং মেধাবি কর্মকর্তা হিসেবে সরকারি চ্যালেঞ্জিং এবং দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের “অপরাধ এবং ফৌজদারি বিচার” বিষয়ে এম এস ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়াও তিনি অস্ট্রেলিয়া সরকারের বৃত্তি নিয়ে টেরোরিজম এন্ড সিকিউরিটি বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রী লাভ করেন। খুলনায় সিআইডি’র বিশেষ পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদানের খুলনা সিআইডিতে যোগদানের পর থেকে বিভিন্ন আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর মামলার রহস্যের উদঘাটন, মামলা তদন্তের অগ্রগতি, দীর্ঘদিনের মুলতবি মামলা নিস্পত্তিসহ অন্যান্য মামলার তদন্ত কার্যক্রমে গতিশীলতা বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশব্যাপী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও মিডিয়ায় বহুল আলোচিত কেএমপি এর দৌলতপুর থানার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন/২০০০(সংশোধনী/২০০৩) এর মামলা নং-১৫/১৩২ বাদীর নারাজীর আবেদনের প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত সিআইডি খুলনা মেট্রো এন্ড জেলাকে তদন্তের নিদের্শ প্রদান করলে জনাব শম্পা ইয়াসমীন, বিশেষ পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি), বাংলাদেশ পুলিশ, সিআইডি খুলনা মেট্রো এন্ড জেলা এর দিক নিদের্শনা ও প্রতক্ষ্য তত্বাবধানে তদন্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর মোঃ রবিউল ইসলাম মামলাটি তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেন। মামলাটি তদন্তকালে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার জনাব শম্পা ইয়াসমীন তদন্ত কর্মকর্তাসহ সিআইডির এর বিশেষ টিম নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং বাদীসহ স্থানীয় জনসাধারনের সাথে মামলার ঘটনার বিষয়ে কথা বলেন। পরবর্তীতে মামলাটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে মামলার ঘটনায় গ্রেফতারকৃত ০৬ জন আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় তাদেরকে মামলা থেকে অব্যহতি প্রদানের জন্য এবং মিথ্যা মামলা করার কারণে বাদী আদুরী আক্তার (২২) ও ভিকটিম রহিমা বেগম (৫২) এবং বাদীর বোন মরিয়াম আক্তার মরিয়াম, মান্নান (২৪) দের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বিজ্ঞ আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
আলোচিত ইতালী প্রবাসীর স্ত্রী অপহরণের ঘটনায় কেএমপি এর সোনাডাঙ্গা থানার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী/২০০৩) এর মামলা নং-৩৩ বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে ৪ মাস পর খুলনা সিআইডিকে তদন্তের দায়িত্ব প্রদান করা হলে দায়িত্ব পাওয়ার মাত্র ৪৮ ঘন্টার মধ্যে সিআইডি খুলনার অতিরিক্ত ডিআইজি শম্পা ইয়াসমীন এর দিকনিদের্শনা ও প্রতক্ষ্য তত্বাবধানে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর নজরুল ইসলাম ২০২৪ সালের ২২শে ফেব্রুয়ারি মামলার প্রধান আসামি মোঃ রুবেল হাওলাদার (৩৩) কে গোপালগঞ্জ থেকে গ্রেফতার পূর্বক বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করলে আদালত ২ দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পুলিশ রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ কালে আসামি মোঃ রুবেল হাওলাদার (৩৩) পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ইতালি প্রবাসী ফরহাদ হোসেনের স্ত্রী ভিকটিমকে অপহরণের কথা স্বীকার করেন এবং তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সিআইডি খুলনার অতিরিক্ত ডিআইজি শম্পা ইয়াসমীন এর দিকনিদের্শনা ও প্রতক্ষ্য তত্বাবধানে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ২০২৪ সালের ২৬শে ফেব্রুয়ারি সিআইডি খুলনার একটি চৌকস টিমের সহযোগীতায় ঢাকা থেকে ভিকটমকে উদ্ধার করেন এবং ঢাকা সহ বাগেরহাটের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে ভিকটিমের ব্যবহৃত কিছু স্বণালঙ্কার উদ্ধার করেন এবং বাকী স্বর্ণ উদ্ধারে ব্যাপক চেষ্টা অব্যাহত আছে। এছাড়া কেএমপি এর হরিণটানা থানার দলিল, এনআইডি কার্ড জালজালিয়াতি ও প্রতারনার ঘটনায় মামলা (নং-০৩/৪০) বিজ্ঞ আদালত সিআইডি খুলনাকে তদন্তের নির্দেশ প্রদান করলে সিআইডি এর অতিরিক্ত ডিআইজি শম্পা ইয়াসমীন এর সার্বিক দিকনির্দেশনা ও তদারকিতে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই অমিতাভ সন্যাসী তথ্যপ্রযুক্তির সহয়তায় ০৩ জন আসামী খুলনার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে ২০২৪ সালের ০৬ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করেন। তদন্ত কর্মকর্তা বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে ০২ জন আসামীকে পুলিশ রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করেন এবং ২ জন আসামী স্বেচ্ছায় বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী প্রদান করেন। দলিল, এনআইডি কার্ড জালজালিয়াতি ও প্রতারনার ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতার ও মামলার মূল রহস্য উদঘাটনের জন্য সর্বাত্বক প্রচেষ্টা অব্যহত আছে। পাশাপাশি কেএমপি এর খানজাহান আলী থানার চুরি মামলা নং-০৭(০৮)২১ বাদীর নারাজীর আবেদনের প্রেক্ষিতে খুলনা সিআইডিকে তদন্তের দায়িত্ব প্রদান করা হলে সিআইডি খুলনার অতিরিক্ত ডিআইজি শম্পা ইয়াসমীন এর সার্বিক দিক নির্দেশনায় ও নিবিড় তদারকিতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শেখ সাইফুল ইসলাম মোটর সাইকেল চুরির সাথে জড়িত চোর চক্রের ৩ সদস্যকে খুলনা, গোপালগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃত চোর চক্রের ৩ সদস্যের মধ্য হতে ২জন মামলার ঘটনার সাথে নিজেদের জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকার করতঃ স্বেচ্ছায় বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী প্রদান করেছে। আসামীদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক চোরাই মোটর সাইকেল উদ্ধারের জন্য সর্বাত্বক প্রচেষ্টা অব্যহত আছে। এছাড়া হরিণটানা থানার আলোচিত রাজা হত্যা মামলা নং-০২(০৩)২২ বিজ্ঞ আদালত সিআইডি খুলনাকে তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেন।পুলিশ সুপারের সুদূর প্রসারী নেতৃত্বে চাঞ্চল্যকর ও ক্লুলেস সকল মামলার রহস্য উদঘাটিত হয়েছে। চাঞ্চল্যকর ও ক্লুলেস সকল মামলার রহস্য উদঘাটন করেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অসামান্য অবদান রাখায় এবং উত্তম ও প্রশংসনীয় কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ কংগোতে এক বছর মেয়াদী মিশন ২৪ তম বিসিএস (পুলিশ),, নিজের দক্ষতা ও পেশাদারিত্ত বৃদ্ধির জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অপরাধ বিজ্ঞানে এম এস এস ডিগ্রি অর্জন করেন। জাতিসংঘের অধীনে কংগোতে ০১ বছর এফপিইউ মিশনে অংশগ্রহণ করে সাফল্যের সহিত দ্বায়িত্ব পালন করেন।