আবু হোসাইন সুমন, মোংলা: সুন্দরবনের অভয়ারণ্যে বিলুপ্ত প্রায় প্রজাতির গাঙ্গেয় শুশুক ও ইরাবতি ডলফিন সংরক্ষণে কাজ শুরু করেছে বন বিভাগ এবং ইউএনডিপি। মঙ্গলবার সকালে মোংলায় বন বিভাগের রেস্ট হাউসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে এ ডলফিন সংরক্ষণ প্রকল্পের (ইপাসিয়া) মাঠ পর্যায়ের কাজ শুরু হয়েছে। প্রায় ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পের কার্যক্রম চলবে পূর্ব সুন্দরবনের চাদপাই, ঢাংমারী ও দুধমুখী অভয়ারণ্যের ৮টি ফরেস্ট ক্যাম্প এলাকা জুড়ে। ইউনিডিপির আর্থিক ও কারিগরী সহায়তায় বন বিভাগের ১শ কর্মী সুন্দরবনে ডলফিন সংরক্ষণে কাজ করবে। শুধু সুন্দরবনের এই তিনটি অভয়ারণ্যই নয় আর কোথায় কোথায় ডলফিনের বিচরণ রয়েছে সে সব স্থান চিহ্নিত করবে প্রকল্পের গবেষক ও বন কর্মীরা। এছাড়া ডলফিন সংরক্ষণে জেলে-বাওয়ালী ও অভয়ারণ্য সংলগ্ন জনগোষ্ঠীকে সচেতন এবং বন নির্ভরশীলদের বিকল্প জীবিকায়নে কাজ করবে এ প্রকল্প। ডলফিন সংরক্ষণে মাঠ পর্যায়ে মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া এ ইপাসিয়া (ডলফিন সংরক্ষণ প্রকল্প) প্রকল্প কাজ করবে ২০১৯ সালের ডিসেমম্বর পর্যন্ত। প্রকল্পের মাঠ পর্যায়ের কাজের প্রথম দিনই বন বিভাগের ১শ বন কর্মীদের মাঝে টহল বোটের জ্বালানী তেল, পোশাক, লাইফ জ্যাকেট ও জুতাসহ বিভিন্ন সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া ৮টি ক্যাম্পের প্রতিটিতে মাসে ১শ লিটার করে জ্বালানী তেল সরবরাহ করা হবে। এ সব কিছুই তারা ডলফিন সংরক্ষণ প্রকল্প থেকে পাবেন এবং এ কাজেই শুধু ব্যবহার করবেন। প্রকল্পের মাঠ পর্যায়ে বন বিভাগের বন কর্মীদের কার্যকরী টহল ব্যবস্থা নিশ্চিত করণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন খুলনাঞ্চলের বন সংরক্ষক মো: আমির হোসেন চৌধুরী। এ সময় ইপাসিয়া প্রকল্পের (ডলফিন সংরক্ষণ প্রকল্প) প্রকল্প পরিচালক মো: মদিনুল আহসান, প্রকল্প ব্যবস্থাপক রেজাউল করিম চৌধুরী, পশ্চিম সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বাসিরুল আল মামুন, পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো: মাহমুদুল হাসান, চাদপাই রেঞ্জ কর্মকর্তা মো: মেহেদীজ্জামান, চাদপাই ষ্টেশন কর্মকর্তা মো: নুরুজ্জামান, ঢাংমারী ষ্টেশন কর্মকর্তা মো: মিজানুর রহমান, করমজলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবিরসহ বন বিভাগের বিভিন্ন ক্যাম্প ইনচার্জরা উপস্থিত ছিলেন।