কয়রা প্রতিনিধিঃ সুন্দরবনের অভ্যান্তরে ৪ বনদস্যু বাহিনীর অত্যাচারে কয়রার সহস্রাধিক জেলে আর্থিক ক্ষতিগ্রস্তসহ শারিরীক নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। খবর নিয়ে জানা গেছে কয়রা উপজেলার নিকটবর্তী সুন্দরবনের মধ্যে ৪ টি বাহিনী কয়রার জেলেদের জিম্মি করে মোটা অঙ্কের টাকা নেওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত এসব জেলেরা মাছ কোম্পানীদের নিকট দেনার হিসাব বেড়ে যাচ্ছে। সূত্র জানায় ৪ বাহিনীর মধ্যে রয়েছে ডন বাহিনী, নানা ভাই বাহিনী, কিন্তু এই ২ বাহিনী প্রধানের নাম প্রকাশ করে না জেলেদের কাছে এবং অপর ২ বাহিনী হলো- গরীবের বন্ধু বাহিনী যার প্রধান আঃ খালেক ও ছোট জাহাঙ্গীর বাহিনীর প্রধান জাহাঙ্গীর হোসেন। সূত্র আরও জানায় ডন বাহিনীর সাথে আছে কয়রা উপজেলার জোড়সিং গ্রামের রফিকুল ইসলাম এবং এ বাহিনীতে ৭/৮ জন সদস্য, নানা ভাই বাহিনীর সাথে আছে ৪ জন সদস্য এবং তাদের বাড়ী সাতক্ষীরা সদর ও শ্যামনগর উপজেলায়। গরীবের বন্ধু বাহিনীতে ৩ জন সদস্য এবং তাদের কাছে ৩ টি অস্ত্র থাকলেও ঠিকানা জেলেরা জানতে পারিনি এবং ছোট জাহাঙ্গীর বাহিনীর ৭ জন সদস্য তাদের বাড়ী রামপাল ও মোংলা থানায়। তবে বনদস্যুদের বিষয় খোঁজ খবর নিতে কয়রা উপজেলার ৪ ও ৫ নং কয়রা গ্রামে একাধিক জেলের সাথে কথা বললে জেলেরা তাদের নাম গোপন রাখার শর্তে এসব তথ্য জানিয়েছেন। এদিকে জেলেরা সুন্দরবনে মাছ ধরতে গিয়ে ৪ বাহিনীকে টাকা দেওয়ায় লাভের মুখ দেখছেন না। যে কারনে শত শত জেলে পেশা ছেড়ে ইট ভাটায় কাজ করছেন স্বপরিবারে। এ বিষয় সুন্দরবনের জেলেদের কাছ থেকে মাছ ক্রয় করে ব্যাবসা করেন এমন এক ব্যবসায়ীর সাথে কথা বললে তিনি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, প্রতি মাসে এই ৪ বাহিনীকে অর্থ দেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, টাকা না দিলে জেলেদের জিম্মি করে এবং আমার মাছের নৌকা আটক করেন। তিনি বলেন সম্প্রতি ৩ বনদস্যু বাহিনী র্যাবের কাছে আত্তসমার্পন করায় এই এলাকায় শুধু একটি বাহিনী ছিল কিন্তু আবারও নতুন করে ৩ বাহিনী হাজির হয়েছেন।