সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের কদমতলা স্টেশন এলাকায় গত বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে বিষ প্রয়োগ করে মাছ শিকার করার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দুই জেলেকে আটক করেছে মুন্সীগঞ্জ বন টহল ফাঁড়ির বনরক্ষীরা। এই টহল ফাঁড়ি আলোচিত দুর্নীতিবাজ কদমতলা স্টেশন কর্মকর্তা আসাদুজ্জামানের দায়িত্বে। প্রাপ্ত তথ্য জানা যায় শ্যামনগর উপজেলার মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিণ কদমতলা গ্রামের ইসহাক সরদারের পুত্র ইয়াকুব আলী ও মুন্সীগঞ্জ মৌখালি গ্রামের মন্তেজ মোড়লের পুত্র শহিদুল ইসলাম সাতক্ষীরা রেঞ্জের কদমতলা ফরেস্ট স্টেশনের আওতায় তেরকাঠি নামক স্থানে বিষ প্রয়োগ করে মাছ শিকার করা অবস্থায় তাদের হাতে নাতে আটক করে মুন্সীগঞ্জ বন টহল ফাঁড়ির বনরক্ষীরা। আটককৃত ইয়াকুব সাতক্ষীরা রেঞ্জ কর্মকর্তা কে এম ইকবল হোসেন চৌধুরীর ঘুষ আদায় সহ নানা অপরাধের সাথে সম্পৃক্ত সিপিজির সদস্য আবুল হোসেনের আপন ভায়রা। তথ্য সংগ্রহকালে এলাকাবাসী জানান সিপিজির সদস্য আবুল হোসেন পিতা মৃত এন্তাজ গাজী,ইয়াকুব আলী পিতা ইসহাক সরদার,নবাব আলী, ইয়ারব আলী উভয় পিতা মৃত নওশাদ আলী,মুজিবর রহমান, আজিবার রহমান উভয় পিতা মৃত বরকত মোল্লা,জহুর আলী পিতা মৃত জোমাত আলী,আক্তার হোসেন পিতা ইসহাক সরদার,ফজের আলী পিতা মৃত হাকীম মোল্লা,খলিলুর রহমান পিতা মৃত মালেক মল্লিক,নূর ইসলাম পিতা খলিলুর রহমান,হোসেন আলী, হাসান আলী পিতা মৃত দাউদ গাজী,আশরাফ আলী পিতা তেজোমদীন ,আশরাফ বাবু পিতা বাহার আলী,মনির হোসেন পিতা মৃত হাশেম জোমাদ্দার,আমিনুর রহমান ও আব্দুর রহিম উভয় পিতা মৃত আয়য়ুব আলী, এদের জন্য হরিনগর বাজারের চিত্ত মালির কিট নাশকের দোকান থেকে বিষ সরবরাহ করে দেয়। এদের সকলের বাড়ি শ্যামনগর উপজেলার দক্ষিণ কদমতলা গ্রামে। সরেজমিনে গেলে আরো জানা যায় এই কাজ এই ব্যক্তিরা চার বছর ধরে করে আসছে।সিপিজির সদস্য আবুল হোসেন ভাড়ায় মটর সাইকেল চালায় আর ফরেস্টের ঘুষ আদায় সহ নানা অপকর্মের সহযোগীতা করে। বর্তমান বিষয়টি নিয়ে পত্রিকায় খবর প্রকাশে নড়েচড়ে বসেছে বন বিভাগ। এব্যাপারে সাতক্ষীরা সহকারী বন সংরক্ষক কে এম ইকবল হোসেন চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। খুলনা বন সংরক্ষক (সিএফ) মিহির কুমার দোর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে এব্যাপারে সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগের (ডিএফও) আবু নাসের মহসিন জানান এদের বিরুদ্ধে চলমান বন আইনে মামলা দেওয়া হবে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ধৃতদের বিরুদ্ধে বন মামলার প্রস্তুতি চলছিল বলে বন বিভাগ জানান।