শরণখোলা প্রতিনিধি : ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে সুন্দরবন প্লাবিত হয়ে হরিণসহ বন্যপ্রাণির ব্যাপক মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে দুটি মৃত হরিণ উদ্ধার করা হয়েছে। বনের মধ্যে আরো বণ্যপ্রাণি মরে থাকতে পারে বলে ধারণা করছে বনবিভাগ।
বনবিভাগ জানায়, বুধবার দুপুরে দুবলা জেলেপল্লী টহল ফাঁড়ির কোস্টগার্ড অফিসরে সামনে একটি মৃত হরিণ ভেসে আসে। এছাড়া, বিকেল ৩টার দিকে শরণখোলা উপজেলার বলেশ্বর নদে ভেসে আসা আরো একটি মৃত হরিণ উদ্ধার করে জেলেরা।
শরণখোলার রায়েন্দা ইউনিয়নের রাজেশ্বর গ্রামের জেলে ফোরকান মিয়া জানান, বিকলে ৩টার দিকে তারা কয়েকজন জেলে বলেশ্বর নদে চিংড়ি পোণা ধরছিলেন। এমন সময় তাদের পাশ থেকে মৃত হরিণটি ভেসে যাওয়ার সময় সেটি উদ্ধার করেন তারা। স্থানীয় সমাজকর্মী রিয়াদ হোসেন জানান, মৃত হরিণ উদ্ধারের খবর মোবাইল ফোনে তিনি বনবিভাগকে জানান।
পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মো. জয়নাল আবেদীন জানান, মৃত হরিণ দুটি স্ত্রী প্রজাতির। একটির পেটে বাচ্চা রয়েছে। সন্ধ্যা ৬টার দিকে রেঞ্জ অফিস চত্বরে হরিণ দুটি মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের জলোচ্ছ্বাসে হরিণ দুটি মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এসিএফ জানান, ইয়াসের জলোচ্ছ্বাসে বঙ্গোপসাগর তীরবর্তী সুন্দরবনের দুবলা, আলোরকোল, নারকেলবাড়িয়া, টিয়ারচর, শ্যালার চর, কটকা, কচিখালী, সুপতিসহ ব্যাপক এলাকার বনভূমি প্লাবিত হয়। স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে অন্তত ৭-৮ফুট উচ্চতায় বনের এসব এলাকা থেকে পানি প্রবাহিত হয়েছে। পানির স্রোতে আরো বন্যপ্রাণি মারা যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বন অফিসের বনরক্ষীদের খোঁজ নিতে বলা হয়েছে।