ক্রীড়া প্রতিবেদক : বাংলাদেশের ক্রিকেটে জোর আলোচনা, আবার কোচ হয়ে ফিরছেন চন্দ্রিকা হাতুরু সিংহে। খালেদ মাহমুদ সুজন বলেছেন, ‘হাতুরুর ব্যাপারটা আমি নিশ্চিত বলতে পারব না। তবে যদি আসে, অবশ্যই ভালো। এখন হয়ত ও আরও বেশি পরিণত, আসলে ভালোই হবে।’ দেশের ক্রিকেটে অন্যতম প্রভাবশীল ব্যক্তি সুজন বর্তমানে টিম ডিরেক্টর। সুতরাং তার বক্তব্যের ইঙ্গিত থেকেই অনুমান করা যায় হাতুরু ফিরলে কেমন হবে! সন্দেহ নেই, তার আগের কোচিং অধ্যায় ছিল সাফল্যে মোড়ানো।
কিন্তু বিদায়টা সুখকর ছিল না। স্বভাবে অন্তর্মুখী ও চরম একরোখা। সিনিয়রদের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে মেয়াদ শেষের আগেই চাকরি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। খেলোয়াড়দের কাছে তিনি ছিলেন কড়া হেড মাস্টার। সবকিছু করতেন নিজের মতো। নির্বাচক, কোচিং স্টাফ, এমন কি ক্রিকেট প্রশাসনের কাউকেও তেমন পাত্তা দিতেন না। সুসম্পর্ক ছিল কেবল বিসিবি বস্ নাজমুল হাসানের সঙ্গে। সুজন নিজেও ভালো করেই বুঝতে পারছেন হাতুরুর মতো এমন একজনের মাথার ওপরু ‘ডিরেক্টর গিরি’ ফলানোটা সহজ হবে না! কাজ করতে হলে তার সঙ্গে মানিয়ে নিয়েই করতে হবে। তাই হয়ত এমন আগাম সম্ভাষণ!
ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাতুরু সিংহের ব্যক্তিত্বের দ্বন্দ্ব ছিল নিয়মিত ঘটনা। মুমিনুল হককে প্রথমে ওয়ানডে এবং পরে টেস্ট থেকেও নির্বাসনে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। সাকিব আল হাসানের সঙ্গে ব্যক্তিত্বের সংঘাত ছিল নিয়মিত ঘটনা! নির্বাচক কমিটির সদস্য, এমনকি অনেক সময় বোর্ড কর্মকর্তাদেরও তাঁর আচরণে মনঃক্ষুণ্ন হতে দেখা গেছে। দলের সঙ্গে হাতুরু সিংহের মন জুগিয়ে চলাটাও বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল বিসিবির জন্য। বিসিবির সঙ্গে হাতুরু সিংহের চুক্তি ছিল ২০১৯ বিশ্বকাপ পর্যন্ত।
কিন্তু ২০১৭ সালের অক্টোবরেই তিনি জানিয়ে দেন, বাংলাদেশ দলের কোচ আর থাকবেন না। একদিকে শ্রীলঙ্কার কোচ হওয়ার প্রস্তাব, অন্যদিকে বেতন বাড়ানোর দাবিতে বিসিবির নির্লিপ্ততাÑসব মিলিয়ে হুট করে কোচের চাকরি ছেড়ে দেন হাতুরু। তাঁর ক্রিকেট প্রজ্ঞা নিয়ে কখনোই সন্দেহ ছিল না।