রবিউল ইসলাম মিটু,যশোর : সেনাবাহিনীতে চাকুরী দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে রায়হান কবির নামে এক যুবকের দুলাভাইয়ের কাছ থেকে প্রায় ৬লাখ টাকা নিয়ে ভূয়া নিয়োগপত্র দেওয়ার ঘটনা ফাঁস হয়ে পড়েছে। টাকা ফেরত চাওয়ায় উল্টো হুমকী ধামকী দেওয়ায় কোতয়ালি মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাটি যশোর সদর উপজেলার মন্ডলগাতী গ্রামের।
সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার দিগাং গ্রামের আব্দুল কাশেম সরদারের ছেলে মো: আব্দুল জব্বার মঙ্গলবার কোতয়ালি মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন,যশোর সদর উপজেলার মন্ডলগাতী গ্রামের মো: মোস্তাফিজুর রহমান নিজেকে সেনা বাহিনীর কর্মকর্তা পরিচয় দেয়। সেই থেকে মোস্তাফিজুর রহমানের তার পরিচিত। পরিচয়ের সূত্রধরে আব্দুল জব্বার তার শ্যালক সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের মোজাফফার হোসেনের ছেলে রায়হান কবিরকে সেনা বাহিনীর সৈনিক পদে চাকুরী দেওয়া নিশ্চতয়া দিয়ে প্রলোভন দেখিয়ে গত বছর ২৫ ফেব্রুয়ারী ৫লাখ টাকা ৮০ হাজার টাকা মোস্তাফিজুর রহমান তার বাড়িতে স্ত্রী ও ছেলে অপুর সামনে গ্রহন করে। টাকা গ্রহনের সময় ১ মাসের মধ্যে রায়হান কবিরকে চাকুরী দেওয়া নিশ্চয়তা দেন মোস্তাফিজুর রহমান। ২৫ মার্চ প্রতারক মোস্তাফিজুর রহমান তার স্ত্রী ও ছেলের সহায়তায় সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর ও সীল জ্বাল করে একটি নিয়োগপত্র দেন। উক্ত নিয়োগপত্র পেয়ে রায়হান কবির গত বছর ৩০ মার্চ যশোর শানতলা সিগন্যাল ট্রেনিং এন্ড স্কুলে যোগদান করতে যান। সেখাতে কর্মরত সেনা বাহিনীর কর্মকর্তা রায়হান কবিরের কাছ থেকে নিয়োগপত্র দেখেন এটা ভূয়া। রায়হান কবির বিষয়টি তার দুলাভাই আব্দুল জব্বারকে জানায়। আব্দুল জব্বার গত ৮ জানুয়ারী সোমবার সকালে আসামীদের মন্ডলগাতী বাড়িতে গিয়ে উক্ত টাকা ফেরত চাইলে টাকা নিয়ে উল্টো হুমকী ধামকী দেয়। উপায়ূন্তর না পেয়ে আব্দুল জব্বার কোতয়ালি মডেল থানায় মঙ্গলবার দুপুরে অভিযোগ দায়ের করেন।