ডেস্ক নিজউ : ইরানের সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে শনিবার (২৬ অক্টােবর) হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। হামলার বিষয়ে ইরান জানিয়েছে, তেহরান, খুজেস্তান ও ইলাম প্রদেশে কয়েকটি ঘাঁটিতে হামলা হয়েছে। তবে ইসরায়েলি এই হামলায় ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার কোনো ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
রোববার (২৭ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
জাতিসংঘের পারমাণবিক শক্তি পর্যবেক্ষণ সংস্থার বরাত দিয়ে এ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের সামরিক স্থাপনায় চির প্রতিদ্বন্দ্বী ইসরায়েলের মারাত্মক বিমান হামলায় ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি প্রভাবিত হয়নি।
এদিকে, আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসি এক্সে (সাবেক টুইটারে) দেওয়া এক পোস্টে বলেছেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ক্ষতি হয়নি। এ সময় তিনি পরমাণু এবং অন্যান্য তেজস্ক্রিয় পদার্থের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তাকে বিপন্ন করতে পারে এমন কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।
এর আগে ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ) জানায়, তারা ইরানের ‘সামরিক স্থাপনায় সুনির্দিষ্ট হামলা’ চালিয়েছে। ‘কয়েক মাস ধরে ইরানের ধারাবাহিক হামলার’ জবাবে এ হামলা চালানো হয়েছে।
অন্যদিকে হোয়াইট হাউস বলছে ‘আত্মরক্ষার’ অংশ হিসেবে ইরানে এই হামলা করেছে ইসরায়েল।
আর ইরানের এয়ার ডিফেন্স ফোর্স এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তেহরান, খুজেস্তান ও ইলাম প্রদেশে কয়েকটি ঘাঁটিতে হামলা হয়েছে। তারা বলেছে, এসব হামলাকে সাফল্যের সঙ্গে মোকাবিলা করা হয়েছে। তবে কিছু জায়গায় “সীমিত ক্ষতি” হয়েছে।
অন্যদিকে আইডিএফ এক বিবৃতিতে বলেছে, ইসরায়েলে নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণের জন্য ব্যবহৃত স্থাপনায় তারা হামলা করেছে। দেশটি বলেছে, হামলা শেষে তাদের বিমানগুলো নিরাপদে দেশে ফিরেছে।
উল্লেখ্য, ইরানের সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে শনিবার (২৬ অক্টােবর) হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া ও হিজবুল্লাহ প্রধানকে হত্যার প্রতিক্রিয়ায় ১ অক্টোবর ইসরায়েলে প্রায় ২০০ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। তেহরানের হামলার প্রতিশোধমূলক হামলার পরিকল্পনা করে আসছিল তেল আবিব। তবে ইরানের তেল ও পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলের হামলার পরিকল্পনায় সমর্থন দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র।