আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলার ৯ মিনিট আগে, প্রধানমন্ত্রীসহ দেশটির গুরুত্বপূর্ণ ৩০ ব্যক্তিকে ই-মেইল বার্তা পাঠিয়েছিলেন, হামলাকারী ২৭ বছরের যুবক অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক ব্রেন্টন টারান্ট।
রবিবার এক বিবৃতি এ তথ্য জানিয়েছেন, নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জ্যাসিন্ডা আরডের্ন। তিনি জানান, ই-মেইলে পাঠানো ৭৪ পৃষ্ঠার বিবরণে হামলার স্থান ও সময় সম্পর্কে কোনও তথ্য ছিল না। এছাড়া, পর্যাপ্ত সময় না থাকায় হামলার আগে কোনো ব্যবস্থা নেয়া যায়নি বলেও জানান, দেশটির প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে, নিহতদের মধ্যে কয়েকজনের মরদেহ হস্তান্তর করা শুরু করেছে দেশটি। আগামী বুধবারের মধ্যেই সব মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের সম্ভাবনার কথাও জানান, প্রধানমন্ত্রী জ্যাসিন্ডা আরডের্ন।
প্রসঙ্গত; গত শুক্রবার ক্রাইস্টচার্চের দু’টি মসজিদে ওই বন্দুকধারীর হামলায় ৫০ জন নিহত ও ৪০ জনের বেশি আহত হন। এই ঘটনায় পুলিশ একজন নারী ও তিনজন পুরুষকে আটক করে। প্রায় ২০ মিনিট ধরে গুলি করে হত্যা করা হয় নামাজরত মুসলমানদের। হামলার কিছুক্ষণ আগে এই মসজিদেই নামাজে যাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের। তবে, অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান ক্রিকেটাররা।
ক্রাইস্টচার্চের আল নূর মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার পর পর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে যায়। এতে দেখা যায়, ভিডিও গেমের মতো একজন বন্দুকধারী স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দিয়ে গুলি করছে।
এই ঘটনার পর, হামলাকারী ব্রেন্টন টারান্টের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়। আগামী ৫ই এপ্রিল টারান্টকে হাইকোর্টে তোলার আগ পর্যন্ত ২০ দিনের রিমান্ড দিয়েছে ক্রাইস্টচার্চের একটি ডিস্ট্রিক্ট আদালত।