হিন্দু সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তর ধর্মীয় উৎসব বাসন্তী পূজা শুক্রবার শুরু

প্রকাশঃ ২০১৮-০৩-২২ - ১৮:১৫

ইন্দ্রজিৎ টিকাদার, বটিয়াঘাটা : ২৩ মার্চ শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে হিন্দু সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তর ধর্মীয় উৎসব বাসন্তী পূজা। বটিয়াঘাটা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে প্রায় অর্ধ শতাধিক পূজা মন্ডপে বাসন্তী পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বাসন্তী দেবীকে ঘিরে বিভিন্ন পূজা উদযাপন কমিটি বাসন্তী পূজাকে প্রানবন্ত করতে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠান সূচীর মধ্যে রয়েছে কবিগান, নাটক, নৃত্য, পুতুলনাচ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও মেলা। আগামী ২৬ মার্চ সোমবার মহা বিজয়ার মধ্য দিয়ে বাসন্তী দেবীর পূজা সমাপ্ত হবে। এদিকে বাসন্তী পূজার মহা বিজয়া উপলক্ষ্যে গঙ্গারামপুর ইউনিয়নের বয়ারভাঙ্গা বিশ্বেম্ভর মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে ও জলমা ইউনিয়নের চক্রাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে প্রতি বছরের ন্যায় মেলার আয়োজন করেছে কর্তৃপক্ষ। উপজেলার সর্ব বৃহৎ মেলা অনুষ্ঠিত হবে বয়ারভাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে। অন্যদিকে বাসন্তী দেবীর পূজায় যাতে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সে জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহন করেছে বলে জানিয়েছে। এ ব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাম্মেল হক মামুন জানান, পূজায় যাতে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে উপজেলার প্রত্যেকটি পুলিশ ক্যাম্প ও ফাড়িকে সর্বদা সতর্ক অবস্থা বজায় রাখতে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছ। এছাড়া উপজেলার জলমা ইউনিয়নের হরিনটানা থানা, লবনচরা থানা সহ প্রত্যেক ইউনিয়নে একটি করে পুলিশের টহল দল থাকবে এবং জেলা পুলিশ, ডিবি পুলিশ ও ব্যাবের টহল দল সার্বক্ষণিক নজরদারী করবে বলেও জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেবাশীষ চৌধুরী জানান, বাসন্তী পূজায় নাশকতা এড়াতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ভ্রাম্যমান আদালতের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। অন্যদিকে বাসন্তী পূজাকে ঘিরে আগামী ১১তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা স্ব স্ব দলীয় অনুসারীদের সাথে নিয়ে বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন, আর্থিক অনুদান প্রদান ও কুশল বিনিময়ের জন্য আগাম প্রস্তুতি গ্রহন করেছে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা।