১৯৭১ সালে বাংলাদেশে গণহত্যা পরিচালনার জন্য পাকিস্তানের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি

প্রকাশঃ ২০২৩-০৩-২৫ - ১০:৫০

ইউনিক ডেস্ক : শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের সন্তানেরা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে গণহত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন ও ধ্বংসযজ্ঞ পরিচালনার জন্য পাকিস্তানের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন।

শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. ফজলে রাব্বির কন্যা ড. নুসরাত রাব্বি বলেন, “১৯৭১ সালে বাংলাদেশে গণহত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন ও ধ্বংসযজ্ঞ পরিচালনার জন্য পাকিস্তানকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।”

২৫ মার্চ জাতীয় জেনোসাইড দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী বাঙালি জাতির মুক্তির পথকে চিরদিনের জন্য স্তব্ধ করে দিতে অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশে ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ নামে দেশের সর্ব্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও এর আশেপাশের এলাকাসহ সারাদেশে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ পরিচালনা করে। ২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশে এই দিনটিকে  ‘জাতীয় জেনোসাইড দিবস’ ঘোষণা করা হয়।

জাতীয় জেনোসাইড দিবসের প্রাক্কালে ড. নুসরাত বলেন, “বাংলাদেশে জেনোসাইড পরিচালনার জন্য পাকিস্তান সরকারকে এর দায়ভার স্বীকার করে নিতে হবে। তাদের কৃতকর্মের জন্য বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। মুক্তিযুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।”

শহীদ বুদ্ধিজীবী মুনীর চৌধুরীর পুত্র আসিফ মুনির আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নির্বাচনী অঙ্গীকারের মধ্যে ১৯৭১ সালের  মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশে সংঘটিত জেনোসাইডের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির ব্যাপারে রাষ্ট্রীয় পরিকল্পনা ও উদ্যোগ  নেয়ার  বিষয়টি অন্তর্ভূক্ত করার আহ্বান জানান।

প্রজন্ম একাত্তরের সভাপতি আসিফ মুনির বলেন, সবার আগে পাকিস্তানকে রাষ্ট্রীয়ভাবে বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। ২৫ মার্চ রাতের ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ থেকে শুরু করে ৯ মাসের সার্চ অ্যান্ড ডেস্ট্রয় এবং ডিসেম্বরের বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ডের জন্য ক্ষতিপূরণ  দিতে হবে। তবে টাকার অঙ্কে এই ক্ষতিপূরণ হিসেব করা যাবে না। ভুক্তভোগী পরিবারের জন্য বাংলাদেশ সরকার এককালীন অনুদান চাইতে পারে, যা দুঃস্থ যুদ্ধাহত, শহীদ ও বীরাঙ্গনা পরিবারদের পুনর্বাসন ও কল্যাণে ব্যয় করা হবে।

শহীদ সাংবাদিক সিরাজউদ্দিন হোসেন এর পুত্র জেনোসাইড গবেষক তৌহিদ রেজানুর বলেন, তাদের এ কর্মকান্ডের জন্য পাকিস্তানকে দুঃখ প্রকাশ করতে হবে। এটি লোক দেখানো ভণিতা যেন না হয়। রাষ্ট্রীয়ভাবে বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।” তিনি বলেন, তারা তাদের কৃতকর্মের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে এই অন্যায় স্বীকার করে নেবে এবং ক্ষমা চাইবে।  এতে তাদের ইতিহাসের দায়মুক্তি ঘটবে। দুই রাষ্ট্রের সাথে সম্পর্কেরও কোন ক্ষতি হবে না।