৭ এপ্রিল থেকে টিকার দ্বিতীয় ডোজ : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশঃ ২০২১-০২-২৪ - ১৮:১৫

ঢাকা : আগামী ৭ এপ্রিল থেকে করোনা প্রতিরোধক টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার চিন্তা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ‘আমরা দুই মাস পর দ্বিতীয় ডোজ টিকা দিতে যাচ্ছি। কারণ, তখন আট সপ্তাহ হবে। এর মূল কারণ হলো আট সপ্তাহে টিকার রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো হয়। এটি গাইডলাইন।’ মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা জানান। মন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে এ মাসে ৫০ লাখ টিকা পাঠানোর কথা থাকলেও ওরা পাঠিয়েছে ২০ লাখ। এর ফলে ৩০ লাখ টিকার ঘাটতি আগামী মাসে পূরণ করে দেবে বলে জানিয়েছে সিয়াম।’ তিনি বলেন, ‘ভারতসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে সেরামের ওপর টিকার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। এ মাসে যা দিয়েছে, আগামী মাসে তারা আরও বাড়িয়ে দেবে। কতটা বাড়িয়ে দেবে, সেটা তারা আমাদের কনফার্ম করলে আমরা আপনাদের তা জানিয়ে দেবো।’ জাহিদ মালেক বলেন, ‘দেশে ৪০ বছর বয়সী মানুষের সংখ্যা প্রায় চার কোটি। তাদের সবাইকে টিকা দিতে গেলে প্রয়োজন হবে আট কোটি ডোজ। আমাদের তিন কোটি ডোজের চুক্তি করা আছে ভারতের সেরামের সঙ্গে। ২০ লাখ অতিরিক্ত পেয়েছি। ভারত সরকার তা আমাদের উপহার হিসেবে দিয়েছে।’ ভারতের বায়োটেক এবং চীনের একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানও বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘যে টিকা তাপমাত্রার কারণে সংরক্ষণ করা কঠিন, সেগুলোর বিষয়ে সরকারের আগ্রহ কম। যেগুলো মাইনাস টোয়েন্টি, মাইনাস সেভেন্টি সেগুলো আমাদের দেশে বর্তমানে রাখা এবং দেওয়াটা একটু কষ্টকর। সে কারণে আমাদের ওই সব টিকায় অগ্রাধিকার দিতে হবে যেগুলো আমরা দুই থেকে আট ডিগ্রিতে রাখতে পারি, আস্ট্রাজেনেকার মতো।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের রেজিস্ট্রেশন হয়ে গেছে প্রায় ৩৬ লাখের ওপরে। প্রতিদিন ভ্যাকসিন দেওয়ার যে রেট আছে, সেটা আড়াই লাখের কাছাকাছি। তবে কখনও বেশি কখনও কম হয়। কিন্তু রেজিস্ট্রেশন এর চেয়ে বেশি হয়।’ জাহিদ মালেক বলেন, ‘যে হারে রেজিস্ট্রেশন হচ্ছে এবং যে হারে ভ্যাকসিন গ্রহণ করছে, সেই হারে যাতে ভ্যাকসিন পাই, সে চেষ্টা আমাদের রয়েছে।’ টিকা গ্রহণের পরিসংখ্যান তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘টিকা গ্রহণের ক্ষেত্রে নারীরা একটু পিছিয়ে আছে। আমরা আহ্বান করবো নারীরা যাতে আরও বেশি করে এগিয়ে আসেন। যাতে নারী-পুরুষ সমান সমান হয়।’ নারীদের টিকাগ্রহণ কম হওয়ার কারণ সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সেভাবে গবেষণা করি নাই। কিন্তু আমরা মনে করি, নারীরা যেহেতু বের হন কম এবং তারা কর্মক্ষেত্রেও কম, সেসব একটি কার হতে পারে।’ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনে শিক্ষকদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেওয়া হবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। আর শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ১৮ বছরের নিচে হলে টিকা দেওয়া হবে না। অন্যদের ক্ষেত্রে সরকারের নির্দেশনা অনুসরণ করে টিকা দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।