বেনাপোল প্রতিনিধি : শার্শা ও বেনাপোলে আমন মৌসুমে দিশেহারা হয়ে পড়েছে কৃষকেরা।ধানের ফলন ও দাম ভালো না পাওয়ায হতাশা ও উৎকন্ঠায় দিন কাটছে তাদের। তারপরও উৎপাদিত ফসল ঘরে তুলতে ব্যাস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। দাম ভালো পাবেন বলে অশায় বুক বাধছেন তারা।
কৃষি প্রধান উপজেলা শার্শা ও বেনাপোলে প্রায় ৫ লাখ অধ্যাশিত এই উপজেলায় ৭৫ শতাংশ মানুষই কৃষির উপর নির্ভরশীল। চলতি আমন মৌসুমে ভারীবৃষ্টির কারনে তলিয়ে যায় .শার্শা বেনাপোল.গোগা.পুটখালি. বাহাদুরপুর.কায়বা.ডিহিসহ বিভিন্ন এলাকার নিন্মাঞ্চলের কৃষকের ধানক্ষেত। ফলে দায়দেনা করে চাষ করে বিপাকে পড়েছেন চাষীরা। এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের দাবী একদিকে ধানের ফলন কম অন্যদিকে ধান ও গো খাদ্য বিচালির দামও পাচ্ছেনা কৃষকরা। ফলে হতাশা উৎকন্ঠায় দিন কাটছে তাদের।
আমন ধান প্রতিমন ১৫শ থেকে১৬ শ টাকায় বিক্রি হলেও মোটা ধান বিক্রি হচ্ছে প্রতিমন১১শ থেকে১২শ টাকা। ফলে খরচ উঠছে না তাদের। কৃষকরা চান সরকারের সহযোগিতা বাজারে মোটা ধানের মজুদ বাড়ছে। এলাকার ধান যাচ্ছে খুলনা যশোর রাজশাহি সহ বিভিন্ন এলাকায়। ১১শ থেকে ১২ শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে প্রতিমন ধান। মোকামে ধানের দাম কম বলে জানান ব্যাবসায়িরা।তবে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দীপক কুমার সাহা জানান উপজেলায় এবার নিচু এলাকার কিছু জমির ধানের ক্ষতি হলেও উচু এলাকায় ধানের ফলন ভালো হয়েছে ।১২শ থেকে ১৩শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে প্রতিমন ধান। কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে বলে জানান কৃষি কর্মকর্তা। চলতি মৌসুমে ২০ হাজার ৪ শ ৮০হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে বলে জানান উপজেলা কৃষি কর্মাকর্তা।