বটিয়াঘাটা অফিস : ইজিবাইক চালককে খুনের অভিযোগে পুলিশ স্বামী-স্ত্রীসহ ২ জনকে সোমবার গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতার আসামী হাসান নকিব (৪২) ও তার স্ত্রী রেশমা বেগম (৩২) খুলনার খালিশপুর পিপলস কোলনির বাসিন্দা। নকিবের পিতার নাম মতিয়ার রহমান। তার বাড়ি বাগেরহাট জেলার ষাটগম্বুজ এলাকায়। খুনের চারদিন পর বটিয়াঘাটা থানা পুলিশ ও খুলনা জেলা ডিবি যৌথ অভিযান চালিয়ে রোববার গভির রাতে খালিশপুর বাসা থেকে নকিব ও তার স্ত্রী রেশমাকে গ্রেফতার করে। তাদেরকে জিজ্ঞাবাদে বেরিয়ে আসে হত্যার চাঞ্চলকর কাহিনী। সোমবার শেষ রাতের দিকে বাগেরহাট জেলার ষাটগম্বুজ বাড়ি এলাকায় নেয়া হয়। হায়দার আলী নামে এক বৃদ্ধের বাড়িতে ইজিবাইক রাখা ছিল। পরে সোমবার সকালে খুনিদের ঘটনা স্থলে নেয়া হলে তাদের দেখানো মতে পানির ভিতর ঝোপের মাঝে ভাসমান প্লাষ্টিক ব্যাগের মধ্যে রাখা চাপাতি উদ্ধার হয়।
পুলিশ জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে তারা খুনের দায় স্বীকার করে জানিয়েছে- গত ৬ মার্চ রাতে খালিশপুর থেকে ইজিবাইক ভাড়াকরে বটিয়াঘাটায় নিয়ে যায়। পরে বটিয়াঘাটা থেকে গাওঘরা গামী সড়কে বারোরাবাদ কালভার্টের নিকটে যেয়ে ইজিবাইক চালক মো: হাফিজুলকে থামতে বলে। ইজিবাইক থামবার সঙ্গে সঙ্গে নকিব চাপাতি দিয়ে চালকের গলায় কোপ দেয়। রেশমা এদৃশ্য দেখতে থাকে। চালক হাফিজুল রাস্তার পাশে পড়ে গেলে দ্রুত খুনি নকিব ও তার স্ত্রী রেশমা ইজিবাইক নিয়ে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করে। কিছুদুর যেয়ে ইজিবাইকটি নষ্ট হয়ে গেলে অন্যএকটি ইজিবাইকের সহযোগীতায় টেনে নেয়ার চেষ্টা করে। বটিয়াঘাটার সাচিবুনিয়া গ্রামের রাস্তা দিয়ে যাবার সময় সিসি ক্যামেরায় এদৃশ্য ধরা পড়ে। তারা ষাট গম্বুজ যেয়ে ইজিবাইক রেখে আবার খালিশপুর ফিরে আসে।
বটিয়াঘাটা থানার ওসি মোস্তফা খায়রুল বাশার বলেন, পুলিশের তৎপরতায় তারা দ্রুত গ্রেফতার হয়েছে। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে গোটা বটিয়াঘাটা সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হবে। আসামীদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে আরও চাঞ্চলকর তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে।