ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

ঠাকুরগাঁও : সারাদেশে বিদ্যুতের নজিরবিহীন লোডশেডিং, বিদ্যুৎ গ্যাস ও দ্রব্যমূল্যের, ঊর্ধ্বগতি এবং জ্বালানি খাতের ব্যাপক অরাজকতার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির আয়োজনে শনিবার বিকেলে এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। দুপুর থেকে শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে দলীয় কার্যালয়ে এসে জমায়েত হয়।

এরপর জেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈমুর রহমান সভাপতিত্বে বিক্ষোৎসব বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও সংসদ সদস্য হারুনুর রশিদ, রংপুর বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, ঠাকুরগাঁও ৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহিদুর রহমান, সাবেক মহিলা সদস্য রিনা পারভিন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমি, জেলা যুবদলের সভাপতি মহিবুল্লাহ আবুনুর চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নুরুজ্জামান নুরু, ছাত্রদল সভাপতি কায়েস, মহিলা দলের সভাপতি ফরহাতুন নাহার প্যারিস সহ দল টির অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।

এ সময় প্রধান অতিথি হারুনুর অর রশিদ এমপি বলেন ঠাকুরগাঁও রানিশংকৈল উপজেলায় ইউপি নির্বাচনে শিশু মারা গেছে। একটা নিষ্পাপ শিশু,তার কি অপরাধ ছিল? সে কি ভোট চুরি করতে গেছিলো? সে কি ভোট কেন্দ্রে সন্ত্রাস করতে গেছিলো? তাকে কি কারনে নির্মম ভাবে হত্যা করা হলো? এ দায় কার? এ দায় কে নিবে? নির্বাচন কমিশন নিবে, প্রধানমন্ত্রী নিবে নাকি এখানকার প্রশাসন নিবে?আমি গণ্যমাধ্যমে দেখলাম এ ঠাকুরগাঁও জেলার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার সেই শিশু পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা দিয়েছেন। সেই নিহত শিশুর মূল্য কি ৫০ হাজার টাকা? আমি এক লক্ষ টাকা দিব এ সন্তানকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে পারবেন? বাংলাদেশে এভাবে শত শত মায়ের কোল আওয়ামী লীগ খালি করেছে।

তিনি আরো বলেন, সারাদেশে এ সরকার জনগণের উপর যে জুলুম শুরু করেছে। এ সরকার কখনো জনগণের সরকার হতে পারেনা৷ দেশের পঞ্চাশ বছরে এসেও আমরা স্বাধীন ভাবে কিছু করতে পারছিনা। কিছুদিন আগে এ সরকার শতভাগ বিদ্যুৎতায়ানের মহাউৎসব পালন করলো। এখন লোডশেডিং এ অতিষ্ঠ হয়ে পরেছে সাধারণ মানুষ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন, বিএনপির নেতাকর্মীরা।

পলাশবাড়ীতে নিরবে রমরমা নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবসা

আশরাফুল ইসলাম গাইবান্ধাঃ গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ীর পৌর শহরের কালিবাড়ী হাট বাজার সহ উপজেলার অন্যান্য ছোট বড় হাট বাজারে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ খুচরা ও পাইকারি বিক্রি করছে একটি চক্র। ম্যানেজ প্রক্রিয়ায় দীর্ঘদিন হলো পলাশবাড়ীর পৌর এলাকার আমবাড়ী গ্রামের দুলার ছেলে সুমন মিয়া,জামালপুরের মৃত তজোর ছেলে সায়েদ আলী , সুপারি ব্যবসায়ি ও জর্দ্দা ব্যবসার আড়ালে পলিথিন খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতা হান্নানসহ বেশ কয়েকজন পলাশবাড়ীতে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ পাইকারি ও খুচরা বিক্রি করছেন। সরেজমিনে দেখা যায়, পলাশবাড়ী কালিবাড়ীর পান সুপারি হাটির বাজারের সুপারি ও জর্দ্দা ব্যবসার আড়ালে হান্নান মিয়া পলিথিন খুচরা ও পাইকারি ব্যবসা করছেন। এছাড়াও হান্নান মিয়া কালিবাড়ী বাজারের মধ্যে কাপড় পট্টি মধ্যে একটি টোল ঘর কে পলিথিন রাখার গুদাম হিসাবে ব্যবহার করছেন। অপর দিকে পান সুপারি হাটিতে পান সুপারি ব্যবসার আড়ালে পলিথিন ব্যাগ বিক্রি করছেন।

নিষিদ্ধ এসব পলিথিন ব্যাগের ব্যবসা কি ভাবে চলছে জানতে চাইলে হান্নান মিয়া জানান,মুল ব্যবসায়ি সুমন মিয়া থানাসহ অন্যান্যদের ম্যানেজের দায়িত্বে রয়েছেন। এদিকে পলিথিন ব্যবসায়িদের মুলহোতা দুলার ছেলে সুমন মিয়া জানান,আগের মতো আর পলিথিনের ব্যবসা নেই। এখন অনেক ব্যবসায়ি হয়েছে। পলিথিনের ব্যবসায় কারো সাথে কথা হয়নি তবে মাসের শেষে তিনি থানায় গিয়ে মাসোহারা প্রদান করার কথা জানান। এবিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদ রানা জানান,সুমন নামে কাউকে চিনি না আর তার কাছে মাসোহারা নেওয়ার বিষয়টি ভিক্তিহীন।পলাশবাড়ী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম রতন জানান, একটি চক্র দীর্ঘদিন হলো পলাশবাড়ী উপজেলা জুড়ে অবৈধ এ ব্যবসা চললেও অদৃশ্য কারণে কেউ কোন ব্যব¯থা নেয়নি।
উল্লেখ্য,নিষিদ্ধ পলিথিনে বাজার সয়লাভ হওয়ায় পরিবেশ হুমকির মুখে পড়ায় এ অবৈধ পলিথিন ব্যবসা বন্ধে পরিবেশ অধিদপ্তর,জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

জনবান্ধব এই সরকার সবসময় মানুষের পাশে দাড়ায় – এমপি বাবু

মোঃ মানছুর রহমান জাহিদঃ খুলনা-৬ ( কয়রা-পাইকগাছা) আসনের সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু বলেছেন,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামীলীগ জনবান্ধব এই সরকার সব সময় অসহায়,রোগ গ্রস্ত, নিপীড়িত, নির্যাতিত মানুষের পাশে দাড়ায়। প্রতি মাসে কিডনি ক্যান্সার, হার্টজনিত দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত রোগীর মাঝে গনতন্ত্রের মানসকন্যা পরিবর্তন ও উন্নয়নের অগ্রদূত জননেত্রী শেখ হাসিনার (প্রধানমন্ত্রীর ত্রান তহবিল থেকে) প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার অনুদান বিতরণ করছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার গন মানুষের উন্নয়নে কাজ করে। জনবান্ধব এই সরকার মানুষের পাশে দাঁড়ায়। কয়রা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ১০ জন অসহায় মানুষের চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলের চেক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম শফিকুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ বিশ্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাড. কমলেশ কুমার সানা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানস নাসিমা আলম, কয়রা থানার অফিসার ইনচার্জ এবিএমএস দোহা (বিপিএম),উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: সুদীব বালা,সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার মোঃ আমিনুল হক, ইউপি চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, আলহাজ্ব মোঃ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, আলহাজ্ব আব্দুস সামাদ গাজীসহ আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ এলাকার প্রবীন গনমান্য ব্যক্তিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

শৈলকুপা দুই ঘণ্টায় ১ ভোট, ঘুমিয়ে পড়লেন পোলিং অফিসার!

আলিফ আবেদীন গুঞ্জন, ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। রোববার সকাল ৮ টা থেকে শুরু হওয়া এই ভোট বিরতিহীনভাবে চলবে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত। এদিকে ভোটারের পথ চেয়ে বসে থাকতে থাকতে ভোটকেন্দ্রে ঘুমিয়ে পড়েছেন পোলিং অফিসার শামীমা নাসরিন। এমনই চিত্র দেখা গেছে শৈলকুপা উপজেলার কবিরপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে। পোলিং অফিসার শামীমা নাসরিন শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে কর্মরত আছেন। পোলিং অফিসার শামীমা নাসরিন জানান, ভোটার নেই ঘুম চলে আসছে। এই বুথে দুই ঘণ্টায় ১টা ভোট পড়েছে। কেন্দ্রটির প্রিজাইডিং অফিসার শাহিনুর ইসলাম জানান, এই কেন্দ্রে ৩৪১০ জন ভোটার রয়েছে। সকাল ১১ টা পর্যন্ত এই কেন্দ্রে ৫০ টি ভোট পড়েছে। কেন্দ্রটির আনসার সদস্য নাজিম উদ্দিন জানান, কেন্দ্রে একদমই ভোটার উপস্থিতি নেই। একদম বসেই সময় কাটছে। উপজেলার বারইপাড়া কেন্দ্রে ৫০ মিনিটে ২০ জন ভোটার ভোট প্রদান করেছেন। এই কেন্দ্রে মোট ভোটার ২৬৭১ জন। বারইপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার ফুরকান আলী জানান, সকাল ৮ টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। ভোটার উপস্থিতি একদমই কম। দ্বিতীয়বারের এই উপনির্বাচনে ২ লাখ ৯৬ হাজার ৬’শ ৫৪ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। নির্বাচনে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সংশ্লিষ্টরা। ১২ জন ম্যাজিস্ট্রেট ও ১ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাচনের দায়িত্বে রয়েছেন। এছাড়াও প্রতিটি কেন্দ্রে ৫ জন পুলিশ সদস্যসহ আনসার সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। ২০২০ সালের ৪ নভেম্বর শিকদার মোশাররফ হোসেন সোনা মারা যাওয়ার পর ২০২১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি উপনির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হয় তার স্ত্রী শিকদার শেফালি বেগম। পরবর্তীতে চলতি বছরের ১৬ মে শিকদার শেফালি বেগম মারা গেলে পদটি আবারও শূন্য হয়।