আটোয়ারীতে সড়ক দুর্ঘটনায় মহিলা নিহত

মনোজ রায় হিরু, আটোয়ারী : পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে সড়ক দুর্ঘটনায় পারুল বেগম (৪৫) নামে আরো এক মহিলার মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। ৫ আগষ্ট সন্ধ্যায় উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে পঞ্চগড় -রুহিয়া সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ওইদিন সন্ধ্যায় ফকিরগঞ্জ বাজার হতে অটোরিকশা যোগে বাড়ি ফেরার পথিমধ্যে মাইক্রোবাস-অটোরিকশা এবং ট্রাক্টরের ত্রিমূখী সংঘর্ষ হয়। এতে পারুল সহ আরো অটোরিকশার এক আরোহী দুর্ঘটনার শিকার হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি উপজেলার রাধানগর এলাকার মোঃ দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ হুমায়ুন কবির পারুলের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

লোহারগেট মাদ্রাসার মুহাদ্দিস হাবিবুরের ইন্তেকাল

বিজ্ঞপ্তি : খুলনার ঐতিহ্যবাহী জামিয়া মিল্লিয়া আরাবিয়া খাদেমুল ইসলাম মাদ্রাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস মাওলানা হাবিবুর রহমান ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। শনিবার ভোর রাতে নিজ বাসভবনে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। খাদেমুল ইসলাম লোহার গেট মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মাওঃ মিজানুর রহমান জানান মরহুম মাওলানা হাবিবুর রহমান ঐতিহ্যবাহী গহরডাঙ্গা মাদ্রাসা, দারুল উলুম খুলনা সহ বিভিন্ন মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেছেন। সর্বশেষ তিনি খুলনার ঐতিহ্যবাহী জামিয়া মিল্লিয়া আরাবিয়া খাদেমুল ইসলাম লোহার গেট মাদ্রাসায় সিনিয়র মুহাদ্দিস হিসেবে কর্মরত ছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। তিনি চার ছেলে ও এক মেয়ে সহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। ৬ই আগষ্ট শনিবার বাদ জোহর খুলনা নিরালা কবরস্থান মসজিদ সম্মুখে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয় এবং দাফনকার্য সম্পন্ন করা হয়।

নারদের পাশে আমরা দাঁড়াব, বাংলাদেশ দাঁড়াবে

তুষার কান্তি সরকার : নারদ হালদার। জেলে পরিবারের সন্তান। ক্লাস ফাইভের পর আর পড়া হয়নি টাকার অভাবে। বাপ-দাদার সঙ্গে মাছ ধরতে গেছে জালের নৌকায়। দুটাকা আসলে সংসারের সাশ্রয়। পেটের খিদে যেখানে বড় লেখাপড়া সেখানে তুচ্ছ মনে হয়েছে ওদের কাছে।
যৌবনে জাল-নৌকা আর জীবনের প্রতি বিরক্ত হয়ে একদিন ঢাকা চলে আসে নারদ। বাস্তবতার আগুনে পুড়ে কয়লা হয় দেহ-মন। প্রচণ্ড পরিশ্রম আর দিনের পর দিন উপোষ থাকায় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। টিবিতে আক্রান্ত হয়। মনের জোর আর বন্ধু-বান্ধবের সহযোগিতায় একসময় ভালো হয়ে ওঠে। কিন্তু শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা থেকেই যায়। আবার টাকা রোজগারের চিন্তা। অক্লান্ত পরিশ্রম। দিনের পর দিন উপোষ। আবার শরীর বিদ্রোহ করে। প্রচণ্ড অসুস্থতার পর ডাক্তাররা ওর রোগ নির্ণয় করেনPost Tuberculosis B/L Lung Bronchietasis (Damaged more than 50% B/L Lung). চলতে থাকে চিকিৎসা। বন্ধু-বান্ধবদের সহযোগিতা আর ধার-দেনা করেও রোগ থেকে মুক্তি মেলে না। বক্ষব্যাধি হাসপাতাল অনেক চেষ্টা করেও রোগ মুক্তির বার্তা ওকে শোনাতে পারেনি। ফুসফুসের ৫০% নষ্ট। শারিরীক সক্ষমতাও নেই। ধুকে ধুকে মরা ছাড়া বাংলাদেশে ওর কোনো চিকিৎসা নেই।
৩৮ বছরের হাড্ডিসার নারদ এখন রাজবাড়ি জেলার রতনদিয়া গ্রামে থাকে। মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ও। ক্ষয়ে যাচ্ছে প্রতিদিন, প্রতি মুহূর্তে। ও জানে, সামনে ওর নিশ্চিত মৃত্যু। তবু বাঁচার স্বপ্ন ওর চোখে-মুখে। ও এখন এক মুহূর্তও অক্সিজেন ছাড়া থাকতে পারে না। চলতে পারে না। বুক ভরে নিশ্বাস নিতে পারে না। কথা বলতে প্রচণ্ড কষ্ট হয়। ঠাণ্ডা-গরমে সমস্যা হয়। কাশি দিলে গলগল করে রক্ত পড়ে। রক্ত বন্ধ করতে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে থাকতে হয় ১০/১৫ দিন। নির্দিষ্ট ওষুধের সাথে চলে কড়া এন্টিবায়োটিক। তখন ওর মুখের দিকে তাকানো যায় না। কষ্ট হয়, প্রচণ্ড কষ্ট।
মানুষ বাঁচতে চায়। নারদেরও। তাই বাঁচার স্বপ্ন নিয়ে যোগাযোগ করতে থাকে ভারতে বিভিন্ন হাসপাতালে। একসময় সাড়া দেয় চেন্নাই এপোলো হাসপাতাল। আশ্বাস দেন তারা রোগ মুক্তির। বেঁচে থাকার মূল্য নির্ধারণ করেন সাড়ে ২৬ লাখ রুপি। মেজর দুটো অপারেশন হবে। একজনকে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া, ওখানে থাকা-খাওয়া, পরবর্তী যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা… সবমিলিয়ে বাংলাদেশের ৩২ থেকে ৩৫ লাখ টাকার প্রয়োজন। যে নিঃস্ব পরিবারের ৩৫ হাজার টাকা নেই সেই পরিবারটি কি করে ৩৫ লাখ টাকা জোগাড় করবে?
নারদের বেঁচে থাকার ইচ্ছে প্রবল। পরিবারের সামর্থ্য নেই। কিন্তু আমাদের আছে। বাংলাদেশের আছে। আমরা বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছি পদ্মাসেতুর মতো সেতুও আমরা নিজেদের টাকায় করতে পারি। আমরা নারদকেও বাঁচাতে পারব। দেশের ১৭ কোটি মানুষ যদি একটি করে টাকা দেয় তাহলে ১৭ কোটি টাকা। নারদের চিকিৎসায় এতো টাকার প্রয়োজন নেই। শুধু ৩৫ লাখ টাকা দরকার। আমরাই পারি নারদকে বাঁচিয়ে রাখতে, নারদের স্বপ্নকে সফল করতে। মাত্র ৩৫ লাখ টাকার বিনিময়ে মা ফিরে পাবে সন্তান, দাদা ফিরে পাবে ছোট ভাই, বোন ফিরে পাবে তার দাদাকে। এক জনমে এর চেয়ে আনন্দের আর কি হতে পারে!
নারদের পাশে আমরা দাঁড়াব। বাংলাদেশ দাঁড়াবে।
মানবতার জয় হবেই।

নারদ হালদার
সোনালি ব্যাংক, কালুখালী শাখা- এসি নম্বর-২২১৩৭০১০১২৩৮২
ডাস বাংলা ব্যাংক, কালুখালী শাখা- এসি নম্বরÑ৭০১৭৩১৭৭৪৯৬৩২
নগদ, বিকাশ, রকেট নম্বর- ০১৯৫৩১৩৭৩৩১
নগদ, বিকাশ, রকেট নম্বর- ০১৯৮৫৬৪৮৬১৪

লেখক: সম্পাদক. প্রকৃতিবার্তা

ঝিনাইদহে বিশ্বমানের বেলাট মসজিদে মুগ্ধ দর্শনার্থীরা

আলিফ আবেদীন গুঞ্জন, ঝিনাইদহ : “সুবিশাল এরিয়া জুড়ে বিশ্বমানের একটি মসজিদ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। মসজিদটি উন্নত ইসলামিক রাষ্ট্রের আদলে নির্মিত। অবাক করা বিষয় হলো, একদম অজোপাড়াগাঁয়ে নির্মিত বিশ্বমানের দৃষ্টিনন্দন এই মসজিদটি দেখতে প্রতিদিনই ভিড় করছেন অনেক মানুষ। মসজিদের বিশাল কমপ্লেক্স ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ দূরদূরান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীরা”। বলছিলাম ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার ইউনিয়নের বেলাট গ্রামের নামানুসারে নির্মিত মসজিদটির কথা। দুই একর জমির ওপর ২০১৯ সালের শেষের দিকে মসজিদটি নির্মাণ কাজ শুরু হয় এবং ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে উদ্বোধন করা হয়। প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে মসজিদটি নির্মাণ করেছে আদ্ব-দ্বীন ফাউন্ডেশন। তৃতীয় তলাবিশিষ্ট মসজিদটির রং করা হয়েছে আকাশি রঙে। ধবধবে সাদা ও হালকা আকাশি রঙের সংমিশ্রণে নির্মিত মসজিদটিতে রয়েছে রঙের সঙ্গে আধুনিক দৃষ্টিনন্দন সব কারুকাজ। মসজিদটির চারপাশের বাউন্ডারি ওয়ালেও রয়েছে ব্যতিক্রমী সৌন্দর্য। মসজিদে ঢুকেই ডানে বিশাল গোরস্থান ও বামে রয়েছে বিভিন্ন ফুলের বাগান। নারী-পুরুষের জন্য রয়েছে আলাদা আলাদা ওযু ও নামাযের ব্যবস্থা। প্রায় এক হাজার মুসল্লি এক সঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারেন এই মসজিদে। মসজিদটি একনজর দেখতে ও নামাজ আদায় করতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মুসল্লিরা আসছেন প্রতিনিয়ত। মসজিদের সঙ্গেই রয়েছে বিশালাকার মিনার। সরেজমিনে দেখা যায়, সুবিশাল এরিয়া জুড়ে বিশ্বমানের মসজিদ কমপ্লেক্সটি মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। মসজিদের ১ম ও ২য় তলায় পুরুষ ও নারীদের নামাজের সুব্যবস্থা আছে। ৩য় তলায় রয়েছে হাফেজিয়া মাদ্রাসা। একটানা দুই বছর মসজিদটির নির্মাণ কাজ চলছে। মসজিদটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। দেয়ালে লাগানো হয়েছে দৃষ্টিনন্দন আল্লাহ ও মুহাম্মদ (সা.) লেখা বিভিন্ন রঙের দামি টাইলস। মসজিদের এক পাশে কবরস্থান, অন্যপাশে ফুলের বাগান। গ্রামের মধ্যে এমন আধুনিক নকশা ও উন্নত নামাজের ব্যবস্থা গর্বিত এলাকাবাসী। কালীগঞ্জ সরকারি মাহাতাব উদ্দীন কলেজের প্রভাষক ইসমাইল হোসেন জানান, তিনি অনেক দিন ধরেই শুনে আসছেন বেলাট গ্রামে একটি বিশ্বমানের মসজিদ হয়েছে। তাই শুক্রবার জুম্মার নামাজ পড়তে ও দেখতে এসেছেন। তিনি মনে করেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে আরব দেশগুলোতে যেমন মসজিদ দেখেছেন, ঠিক তেমনি এই গ্রামের মসজিদটি। মসজিদটি একনজর দেখতে ও জুম্মার নামাজ আদায় করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মুসল্লিদের সমাগম হচ্ছে এই বেলাট গ্রামে। বেলাট গ্রামের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ জানান, তাদের গ্রামে ছোট একটি মসজিদ ছিল, তবে সেটি তেমন সুন্দর ছিল না। তখন বাইরে থেকে কেউ তাদের গ্রামে আসত না। পরবর্তীতে আদ-দ্বীন ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে এই মসজিদটা নির্মাণ হয়েছে। এখানে অনেক সুন্দর ব্যবস্থা আছে। মসজিদটি তিন তলা বিশিষ্ঠ, প্রথম তলায় শুধু পুরুষ ও ২য় তলার এক পাশে পুরুষ ও এক পাশে নারীদের নামাজের স্থান এবং ৩য় তলায় মাদ্রাসা রয়েছে। এমনকি পুরুষ ও মহিলাদের আলাদা আলাদা অযুর ব্যবস্থা রয়েছে। আমাদের গ্রামে এখন প্রতিদিন এই মসজিদটি দেখতে বাহির থেকে শত শত দর্শনার্থী আসছে। গ্রামের বাসিন্দা গণি বিশ্বাস জানান, এই মসজিদ চত্বরে তার বাবা, দাদা সবাই শায়িত আছেন। আগেও এখানে মসজিদ ছিল, কিন্তু সেটা ছোট ছিল। আদ-দ্বীন ফাউন্ডেশন ২০১৯ সালে এই মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরু করে। তিন তলাবিশিষ্ট এই মসজিদের নির্মাণ কাজ এখনো শেষ হয়নি। এখন মসজিদে ঢুকতেই এক পাশে কবরস্থান ও এক পাশে ফুলের বাগান দেখে মনে হয় এটি জান্নাতের বাগিচা। বারোবাজারে অনেক পুরাতন কীর্তি মসজিদ আছে। কিন্তু আমাদের এই বেলাট গ্রামে বিশ্বমানের মসজিদ দেখতে প্রতিদিন অনেক লোক আসছেন। আমাদের গর্বের বিষয় হলো, বিশ্বমানের মসজিদের কারণে এই গ্রামকে দেশের মানুষ চিনতে পারবে। বেলাট মসজিদের ইমাম আল আমিন বলেন, এখানে আগে ছোট একটা মসজিদ ছিল, তখন নামাজের সময় তেমন মুসল্লি হতো না। এই মসজিদটি নির্মাণ হবার পর থেকে মসজিদে মুসল্লিদের উপস্থিতি অনেক বেড়েছে। আবার প্রতি শুক্রবার বাহির থেকে অনেক মুসল্লি আসছেন একনজর দেখা ও জুম্মার নামাজ আদায় করতে। তিনি আরও বলেন, আদ-দ্বীন ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে মসজিদটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৫ কোটি টাকা। এই গ্রামকে আগে মানুষ চিনতো না। সেখানে অনেক দূর থেকে মানুষ আসছেন শুধুমাত্র এক নজর দেখতে। আগন্তুক অনেকেই চাচ্ছেন এ মসজিদের আদলে তাদের এলাকায় তারা মসজিদ নির্মাণ করবেন। এই মসজিদের ৩য় তলায় এতিমখানা ও হাফেজিয়া মাদ্রাসা রয়েছে। মসজিদের খরচ, শিক্ষার্থীদের থাকা-খাওয়ার খরচ সবই আদ-দ্বীন ফাউন্ডেশন দিচ্ছে। এমন একটি মসজিদের ইমামের দায়িত্ব পেয়ে আমি আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করি।

ঝিনাইদহে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যু

আলিফ আবেদীন গুঞ্জন, ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় মাঠে কাজ করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আয়নাল হোসেন (৪২) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (৬ আগস্ট ২২ ইং) দুপুর ১ টার দিকে রাঙ্গিয়ারপোতা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মৃত আয়নাল ওই গ্রামের মৃত কাশেম আলীর ছেলে। স্থানীয় কৃষক আশরাফুল জানান, আয়নাল সকালে জমিতে কাজ করছিলেন। এ সময় বিদ্যুতের পিলারের আর্থিং এর তারের সঙ্গে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান তিনি। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ডাকবাংলা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (আইসি) উপ-পরিদর্শক (এসআই) তৌহিদুল ইসলাম বলেন, নিহতের পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

আফিলগেট চেকপোষ্টে ফেন্সিডিলসহ আটক ১

ফুলবাড়ীগেট প্রতিনিধিঃ খানজাহান আলী থানাধীন আফিলগেট চেকপোষ্টে নিয়মিত তল্লাশী চলাকালে ৭০ বোতল ফেন্সিডিল সহ ১ মাদক ব্যবসায়িকে আটক করেছে পুলিশ । আটককৃত ব্যক্তি পিরোজপুর থানার হোরের হাওলা দক্ষিন শেখ পাড়া গ্রামের মজনু শেখ এর পুত্র মোঃ মাসুম শেখ (২৩) এবং। খানজাহান আলী থানার ওসি মোঃ কামাল হোসেন খান জানান শনিবার চেকপোষ্টে নিয়মিত তল্লাশী চলাকালে সকাল পৌণে ৭ টার সময় ফুলতলা থেকে একটি রেজিস্টেশন বিহীন মটরসাইকেল যোগে ২ যুবক খুলনা দিকে যাওয়ার পথে চেকপোষ্ট অতিক্রম করার সময় মটরসাইকেল থামানোর সিগন্যাল দেওয়া হলে মটরসাইকেল থেকে ১ জন লাফ দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়, এ সময় এসআই শেখ আনোয়ার হোসেন, এএসআই মনির হোসেন,এএসআই সানাউল্লঅহ নূরী সংগীয় ফোর্সসহ মটরসাইকেল চালক মাসুম শেখ এর কাছে থাকা ব্যাগে তল্লাশী চালায়ি ৭০ বোতল ফেন্সিডিল সহ মটরসাইকেল আটক করে । এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে যার নং ১০ তাং ০৬/০৮/২২ইং। উল্লেখ্য গত ৪ আগষ্ট আফিল গেট চেকপোষ্ট ইনচার্জ এস আই আনোয়ার হোসেন মাদক বহনের ১ টি প্রাইভেটকার ও ৬ কেজি গাজা উদ্ধার করে।

ডুমুরিয়ায় ৩ কেজি গাঁজাসহ আটক ৩

ডুমুরিয়া প্রতিনিধি : খুলনার ডুমুরিয়ায় ৩ কেজি গাজা ও ২টি মটর-সাইকেলসহ বিভাগীয় মাদক সিন্ডিকেটের ৩ সদস্যকে থানা পুলিশ আটক করতে সক্ষম হয়েছে। গত শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার বাসষ্ট্রান্ড এলাকা থেকে পুলিশ তাদের আটক করে। এ বিষয়ে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা রুজু হয়েছে যার নং-৭।
পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, শনিবার রাত ১টার দিকে ডুমুরিয়া থানা পুলিশের একটি টহল টীম উপজেলার বাসষ্ট্রান্ড এলাকায় অবস্থান করছিল। এরই মধ্যে বার্তা আসে, ২টি মটর সাইকেল যোগে ৩জন যুবক চুকনগর ছেড়ে খুলনার দিকে দ্রুত গতিতে ছুঁটে যাচ্ছে। টহল পুলিশের সদস্যরা এমন বার্তা পেয়েই সঙ্গে সঙ্গে তৎপর হয়ে সমগ্র রাস্তা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সেখানে সতর্ক অবস্থান গড়ে তোলে। কিছুক্ষণের মধ্যে মাদক সিন্ডিকেটের ওই তিন সদস্য মটর সাইকেলসহ সেখানে এসে পড়ে এবং পুলিশি উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। তবে চারদিকে পুলিশ ব্যারিকেড থাকায় তারা ধরা পড়ে। আটক ৩জন হল ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার খুলিয়া এলাকার ওলিউর রহমানের ছেলে সাকিবুর রহমান (৩০), খুলনার টুটপাড়ার বাসিন্দা কিতাব আলী হাওলাদারের ছেলে ডালিম হাওলাদার (২৫) ও গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়া এলাকার মৃত শেখ স্বপন হোসেনের ছেলে ওলি-বিন হোসেন দ্বীপ (২৮)। এ সময় তাদের দেহ তল্লাশি করে পিঠে ঝুলানো একটি কালো রং’র ব্যাগের ভিতর থেকে দুই পুটলা গাজা উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সেখ কনি মিয়া জানান, ৩কেজি গাজা ও দুটি মটর সাইকেলসহ ৩ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। এদের বাড়ি খুলনাসহ দেশের অন্যান্য জেলা শহরে। সেক্ষেত্রে ধারণা করা হচ্ছে, এরা অনেক বড় মাপের মাদক সিন্ডিকেটের সদস্য। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, মাদক সিন্ডিকেটের এ সদস্যদের কাজ ছিল বেনাপোল বন্দর থেকে গাজা নিয়ে খুলনাসহ অন্যান্য জেলায় সাপ্লাই দেয়া। এ বিষয়ে তাদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে একটি মামলা হয়েছে যার নং-৭।

নড়াইলে ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার (ভিডিও)

খুলনা অফিস : র‌্যাব ৬ এর অভিযানে নড়াইল হতে ৪৯৫ পিস ইয়াবাসহ ১ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার হয়েছে।
র‌্যাব জানায়, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় র‌্যাব ৬ এর স্পেশাল কোম্পানির একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নড়াইল জেলার নড়াগাতী থানা এলাকা থেকে ৪৯৫ পিস ইয়াবাসহ মোঃ কুবাদুল মোল্যা কালা (২৩) কে গ্রেফতার করে। জব্দকৃত আলামত ও গ্রেফতারকৃত আসামীকে নড়াইল জেলার নড়াগাতী থানায় হস্তান্তর পূর্বক আসামীর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা রজু করা হয়েছে।

 

দাকোপে দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

দাকোপ প্রতিনিধি : দাকোপে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট মিন্টু বিশ্বাসের নেতৃত্বে যৌথ ট্যাস্কফোর্সের অভিযানে মাদকসহ দু’জন গ্রেফতার হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে দাকোপের চালনা বাজার ও বাজুয়া খুটাখালী এলাকায় পৃথকভাবে এ অভিযান পরিচালিত হয়। র‌্যাব মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর ও আনসার বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত যৌথ ট্যাস্কফোর্স এই অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে ৪ বোতল ফেন্সিডিলসহ চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী চালনা বাজার এলাকার আয়নাল শেখের স্ত্রী আসমা বেগমকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর ২ পুরিয়া গাজাসহ বাজুয়া নিজ বাড়ী থেকে মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারী মৃঃ আমিরুল হক বুলবুলের পুত্র হাবিবুর রহমান রনি (৩২) কে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার নিকট থেকে ইয়াবা সেবনে ব্যবহ্নত পাইপ ও গ্যাস লাইট জব্দ করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের উপজেলা পরিষদ চত্বরে নিয়ে এসে শুক্রবার রাতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট মিন্টু বিশ্বাস ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মাদক ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান রনিকে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ৫ হাজার জরিমানা অনাদায়ে আরো ১ মাসের কারাদন্ড প্রদান করে। অপর আসামী আসমা বেগমকে নিয়মিত মামলা দিয়ে দাকোপ থানায় হস্তান্তর করা হয়। অভিযানে অন্যান্যের মধ্যে নেতৃত্ব দেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর খুলনার উপপরিচালক মিজানুর রহমান, র‌্যাব-৬ খুলনার সহকারী পরিচালক (এএসপি) পহন চাকমা। অপর দিকে একই দিন আত্নঘাতি ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে ভূমি ব্যবহার আইনে লক্ষিখোলা গ্রামের মৃঃ আব্দুল্লাহ শেখের পুত্র ছাত্তার শেখের নিকট থেকে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

পাইকগাছায় মন্ত্রীর অনুষ্ঠানের সেই পকেটমার আটক (ভিডিও)

খুলনা অফিস : খুলনার পাইকগাছায় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ ও পুলিশের কাছাকাছি থেকে ইউপি চেয়ারম্যান, রাজনৈতিক নেতা ও সাংবাদিকদের পকেট মার এর ঘটনায় সেই ভিআইপি চোর ইসহাক শেখ ( ৫৬) কে পুলিশ গ্রেফতার করেছেন।
পুলিশ জানায়, অনুষ্ঠানের ভিডিও ফুটেজ দেখে ইসহাকে সনাক্ত করা হয় ৷ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রুপসায় তাকে আটক করা হয়। সে রুপসার নৈহাটি গ্রামের মৃত জজ আলীর ছেলে। এদিকে পকেটমারের স্বীকার সাংবাদিক তপন পাল বাদী হয়ে শুক্রবার ইসহাকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ২ আগস্ট পাইকগাছার রাড়ুলীতে বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী পিসি রায়ের জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে মন্ত্রী,এমপি,ওসির সম্মুখ থেকে ইসহাক সুকৌশলে যুগোল কিশোর দে এর পাঞ্জাবীর পকেট থেকে ১৮ শ টাকা চুরি করে । যা সাংবাদিকদের মোবাইলে ধারনকৃত ছবিতে ধরা পড়ে ৷ পরবর্তীতে সেই ছবি দেখে পুলিশ ইসহাককে সনাক্ত করে গ্রেফতার করে। ধৃত ইসহাক চুরির কথা স্বীকার করে বলেন, এখানে আরোও কয়েক পকেটমারের অবস্থান ছিল। এ ঘটনায় থানায় মামলার তথ্য দিয়ে ওসি মোঃ জিয়াউর রহমান বলেন, ধৃত ইসহাক আন্তঃ বিভাগীয় পকেটমারের মূল হোতা। সে ইতোপূর্বেও ঝিনায়দহে আটক হয়েছিল।