পৃথিবীতে বাঙালি যতদিন বেঁচে থাকবে ততদিন শহীদ মিনারের স্মৃতি অম্লান থাকবে -এমপি নারায়ণ চন্দ্র চন্দ

ফুলতলা (খুলনা) প্রতিনিধি// সাবেক মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ এমপি বলেছেন, পৃথিবীতে বাঙালি যতদিন বেঁচে থাকবে, ততদিন শহীদ মিনারের স্মৃতি অম্লান থাকবে। ভাষা আন্দোলনে শহীদদের স্মৃতি ধরে রাখতে স্বাধীনতার পর থেকে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ স্থান সমূহ ও সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মানের প্রতি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। তরুণ প্রজন্মকে ইতিহাস ও ভাষা শহীদদের সম্পর্কে জানাতে দেশের বিভিন্ন স্থানে মাসব্যাপী বই মেলার আয়োজন করা হয়। দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পুণরায় ক্ষমতায় না আনলে উন্নয়নে বাধাগ্রস্থ হবে।

শনিবার বিকালে ফুলতলা শহীদ আসাদ রফি গ্রন্থাগার চত্বরে আয়োজিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। বিশিষ্ট সমাজ সেবক আনছার আলী মোল্যার সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তৃতা করেন শহীদ আসাদ রফি গ্রন্থাগারের সাধারণ সম্পাদক ও সরকারি বিএল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সরদার শফিউল্লাহ। আরিফুজ্জামান বাবলুর পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অধ্যক্ষ সমীর কুমার ব্র², ওসি মোঃ ইলিয়াস তালুকদার, খুলনা জেলা আওয়ামীলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. তারিক হাসান মিন্টু, উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মৃনাল হাজরা, ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম সরদার, বণিক কল্যাণ সোসাইটির সভাপতি এস রবীন বসু, এস কে মিজানুর রহমান, প্রভাষক রেজোয়ান হোসেন রাজা, জাহাঙ্গীর আলম, প্রেসক্লাব সভাপতি তাপস কুমার বিশ্বাস, সাংবাদিক শেখ মনিরুজ্জামান, অনুপ কুমার বিশ্বাস, অধ্যাপক মোঃ আঃ রউফ, ডাঃ সরোজ কুমার স্বর, পিজুষ কুন্ডু, শাহীনুর রহমান, ইউপি সদস্য শেখ মনিরুল ইসলাম, শেখ আঃ জলিল, প্রদ্যুৎ কুমার বিশ্বাস, ইকতিয়ার উদ্দিন সুমন, মেহেদী আনাম রঞ্জু, মাকিদ সরদার, মিরাজুল ইসলাম বাধন প্রমুখ। ফুলতলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটি সাবেক মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ এমপি’র অনুদানে পৌনে ৩ লাখ টাকা ব্যায়ে নির্মিত হয়েছে।

নিপাহ ভাইরাস ছড়িয়েছে ২৮ জেলায়

ইউনিক ডেস্ক : বর্তমানে দেশের ২৮ জেলায় নিপাহ ভাইরাস সংক্রমণ দেখা দেওয়ায় রাজধানীর মহাখালী ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কডিড-১১ হাসপাতালকে প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. দাউদ আদনান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কডিড-১১ হাসপাতালের পরিচালককে নিপাহ ভাইরাসের চিকিৎসায় ১০ বেডের আইসোলেশন ওয়ার্ড এবং ১০টি আইসিইউ বেড প্রস্তুত রাখতে বলা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০০১ সালে থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত দেশের ২৮টি জেলায় নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এবার সংক্রমণের হার বেশি হওয়ায় এসব জেলায় বাড়তি সতর্কতার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। একইসঙ্গে মহাখালীর ডিএনসিসি কভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালে ১০ শয্যার আইসোলেশন ওয়ার্ড এবং ১০ শয্যার নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) প্রস্তুত করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

দেশে চলতি বছর নিপাহ ভাইরাসে নয় জন আক্রান্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে। এবার সংক্রমণের হার বেশি হওয়ায় আগাম প্রস্তুতি নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২৩ বছরে ২৮ জেলায় এই ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। এবার সংক্রমণের হার বেশি থাকায় এই ২৮ জেলায় বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

গণতন্ত্র সূচকে বাংলাদেশের দুই ধাপ উন্নতি

ইউনিক ডেস্ক : বৈশ্বিক গণতন্ত্র সূচকে দুই ধাপ এগোলো বাংলাদেশ। ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের হিসাব অনুযায়ী, এ তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান এখন ৭৩তম। তবে সূচকে এগোলেও ‘হাইব্রিড রেজিম’ বা মিশ্র শাসনব্যবস্থার দেশের তালিকাতেই রয়ে গেছে দেশটি।

সাধারণত যেসব দেশে গণতান্ত্রিক চর্চা রয়েছে ঠিকই, কিন্তু নিয়মিত নির্বাচন হলেও রাজনৈতিক দমন-পীড়ন চলে, অর্থাৎ যেসব দেশে গণতন্ত্রের পাশাপাশি কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থা রয়েছে সেসব দেশকে মিশ্র শাসনের দেশ বলা হয়।

১৬৭টি দেশ ও অঞ্চল নিয়ে এবারের সূচক তৈরি করেছে ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট। সূচকে ১০ এর মধ্যে বাংলাদেশের স্কোর ৫ দশমিক ৯৯। ২০২১ সালের সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৭৫তম। স্কোর ছিল ৫ দশমিক ৯৯। ২০২০ সালের সূচকে একই স্কোর নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৭৬তম।

সূচকে পাঁচটি মূল বিষয়ের আলোকে বিশ্বব্যাপী দেশগুলোর গণতন্ত্রের অবস্থা মূল্যায়ন করা হয়েছে। বিষয়গুলো হলো, নির্বাচনী প্রক্রিয়া ও বহুত্ববাদ, সরকারের কার্যকারিতা ও গ্রহণযোগ্যতা, রাজনৈতিক অংশগ্রহণ, রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও ব্যক্তি স্বাধীনতা।

সূচকে দেশ ও অঞ্চলগুলোকে চারটি বিভাগে ভাগ করা হয়েছে। পূর্ণ গণতন্ত্র, ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র, হাইব্রিড শাসনব্যবস্থা ও কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থা। এবারের সূচকে পূর্ণ গণতন্ত্র বিভাগে রয়েছে ২৪টি দেশ। ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র বিভাগে ৪৮টি দেশ। হাইব্রিড শাসনব্যবস্থায় ৩৬টি ও কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থায় রয়েছে ৫৯টি দেশ।

১০ এর মধ্যে যেসব দেশের স্কোর ৪ থেকে ৬ এর মধ্যে থাকে, তারা হাইব্রিড শাসনব্যবস্থার দেশের বিভাগে রয়েছে। এ বিভাগে সবার ওপরে বাংলাদেশ। ৪ দশমিক শূন্য তিন স্কোর নিয়ে এ বিভাগে সবার নিচে রয়েছে মৌরিতানিয়া। এ বিভাগের অন্য দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে ভুটান (৮৪তম), ইউক্রেন (৮৭তম), উগান্ডা (৯৯তম), নেপাল (১০১তম) ও পাকিস্তান (১০৭তম)।

এবারের সূচকে ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র বিভাগে থাকা দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে- যুক্তরাষ্ট্র (৩০তম), মালয়েশিয়া (৪০তম), ভারত (৪৬তম), ইন্দোনেশিয়া (৫৪তম), শ্রীলঙ্কা (৬০তম) ও সিঙ্গাপুর (৭০তম)।

অন্যদিকে, এবারের গণতন্ত্র সূচকে ২২ ধাপ পিছিয়েছে রাশিয়া। বর্তমানে এ সূচকে ২ দশমিক ২৮ স্কোর নিয়ে দেশটির অবস্থান ১৪৬তম, যা কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থা বিভাগে পড়ে। ২০২২ সালের গণতন্ত্র সূচকে রাশিয়ার অবস্থান ছিল ১২৪তম।

সূচকে শীর্ষ স্থানে রয়েছে নরওয়ে। পূর্ণ গণতন্ত্র বিভাগের এ দেশের স্কোর ৯ দশমিক ৮১। দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে নিউজিল্যান্ড ও আইসল্যান্ড। সুইডেন চতুর্থ ও ফিনল্যান্ড রয়েছে পঞ্চম অবস্থানে।

এবারের গণতন্ত্র সূচকে শূন্য দশমিক ৩২ স্কোর নিয়ে সবার নিচে রয়েছে আফগানিস্তান। দেশটির অবস্থান ১৬৭তম। কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থা বিভাগের অন্য দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে- মিয়ানমার (১৬৬তম), উত্তর কোরিয়া (১৬৫তম), মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্র (১৬৪তম), সিরিয়া (১৬৩তম), চীন (১৫৬তম), ইয়েমেন (১৫৫তম), ইরান (১৫৪তম), সৌদি আরব (১৫০তম)।

খুলনায় বেড়েছে হত্যাকাণ্ড : ৫ দিনে খুন ৪, জখম ২

খুলনা : খুলনায় হঠাৎ করে অপরাধী চক্রের তৎপরতা বেড়েছে। সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্য দিবালোকেও খুন-জখম করতে দ্বিধা করছে না। গত পাঁচ দিনের ব্যবধানে নগরীর খুলনা সদর ও সোনাডাঙ্গা থানা এবং ডুমুরিয়া, পাইকগাছা এবং ফুলতলা উপজেলায় চার জন খুনসহ দুই জন জখম হয়েছেন। তাদের মধ্যে এক নারীকে খুনের ধরণ নৃশংস। তাকে ধাঁরালো অস্ত্র দিয়ে খুঁচিয়ে-খুঁচিয়ে মারা হয়েছে। ঘাতকেরা এক ব্যবসায়ীকে ছয়টি গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করেছে। এক স্কুল ছাত্রকে অপহরণের পর খুন করা হয়েছে। অবৈধ গর্ভপাতের মাধ্যমে মাতৃগর্ভের শিশুকে হত্যার পর লাশ নর্দমায় ফেলে দেয়ার ঘটনাও ঘটেছে।

গত বৃহস্পতিবার দুপুর একটা থেকে দেড় টার মধ্যে ডুমুরিয়া উপজেলার গুটুদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেনীর ছাত্র নিরব মন্ডল (১৩) কে একদল দুর্বৃত্ত অপহরণ করে। এরপর নিরবের পিতার মোবাইলে ফোন করে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করে। তিনি ওই টাকা দিতে রাজি হলেও নিরবের প্রাণ রক্ষা হয়নি। ঘাতকেরা তার গলায় দড়ি দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে শ^াস রোধে হত্যা করেছে। রাত সাড়ে ১১ টার দিকে ওই স্কুল সংলগ্ন পরিত্যক্ত একটি ভবনের কক্ষ হতে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় নিহতের পিতা শেখর মণ্ডল একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

ডুমুরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সেখ কনি মিয়া দৈনিক জন্মভূমিকে বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা হতে রাতব্যাপী গুটুদিয়া গ্রামের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পিতু মন্ডল (১৫), সোহেল (১৫), পিয়াল (১৬), হীরক (১৪) এবং দীপ (১৩) নামে পাঁচ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি বলেন, আসামিদের পরিকল্পনা ছিল-নিরবকে অপহরণের পর অজ্ঞান করে একটি কক্ষে আটকে রাখবে, এজন্য তারা তালা-চাবিও নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তারা অপহরণের কিছুক্ষনের মধ্যেই তাকে হত্যা করে। তাদের কাছ থেকে তালা-চাবি, মুক্তিপন দাবিতে ব্যবহৃত সিমকার্ডসহ মোবাইল ফোন এবং শ^াস রোধে ব্যবহার করা দড়ি আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, শুক্রবার দুপুরে আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হয়। তারা অপরাধ স্বীকার করে জবানবন্দী দিয়েছেন। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রওনক জাহান ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় তাদের জবানবন্দী রেকর্ড করেন।

গত ২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় খুলনা মেডিকেল কলেজ সংলগ্ন আনোয়ারা ক্লিনিকের সামনের ড্রেন হতে এক নবজাতক শিশু পুত্রের মরদেহ উদ্ধার হয়। লাশের ডান হাতের কুনুই থেকে নিচ পর্যন্ত ছিল না, বাম হাতে পচন ধরেছিল। শরীরের ঘাড় হতে কোমর পর্যন্ত একই অবস্থা ছিল। মরদেহের সুরতহালকারী সোনাডাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক শেখ ইকবাল ফারুক এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, মাতৃগর্ভে শিশুটির অবস্থান চার-পাঁচ মাস ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। অবৈধ গর্ভপাতে তার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় একটি সাধারণ ডায়েরি নথিভুক্ত হয়েছে। তদন্ত চলছে।

গত ৩১ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে পাইকগাছা উপজেলার চাঁদখালী গ্রামের একটি ধানক্ষেত হতে তাজমিরা বেগম ওরফে ববিতা (৩৮) নামে এক গৃহবধুর লাশ উদ্ধার হয়েছে। মরদেহের গলায় চারটি ছুরিকাঘাতের ক্ষত এবং ঘাড়েও একই অস্ত্রের আরেকটি ক্ষত ছিল। তিনি স্থানীয় একটি ইট ভাটার শ্রমিকদের জন্য রান্নার কাজ করতেন। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের ভাই আলমগীর অজ্ঞাত চার-পাঁচ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পাইকগাছা থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মোঃ রফিকুল ইসলাম দৈনিক জন্মভূমিকে বলেন, হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে উপজেলার ধামরাইল গ্রাম হতে শহিদুল্লাহ মীর (৫০) এবং মফিজুল ইসলাম গাজী (৬০) নামে দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদেরকে আদালতে সোপর্দের পর সাত দিন পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত রিমাণ্ড শুনানির জন্য দিন ধার্য্য হয় নি। তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন হয়েছে। যদিও পলাতক অন্য আসামিদের গ্রেফতার এবং খুনের আলামত উদ্ধারসহ তদন্তের স্বার্থে এখনই মোটিভ প্রকাশ করতে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেছেন।

গত ৩০ জানুয়ারি সকাল ৮ টার দিকে ফুলতলা উপজেলার আলকা আইডিয়াল স্কুল মোড়ে মোঃ মিলন ফকির (৪৮) নামে এক ব্যবসায়ীকে আততায়ীরা গুলি করে হত্যা করে। তখন শিতল (৪৫) নামে এক স্কুল শিক্ষক জখম হন। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ কয়েকটি গুলির খোসা আলামত হিসেবে জব্দ করে। ঘাতকেরা এই খুন-জখমে ৭ পয়েন্ট ৬৫ পিস্তল ব্যবহার করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। সূত্রমতে, মরদেহের ছয়টি স্থানে বুলেট বিদ্ধ হওয়ার ক্ষত ছিল।   হত্যা এবং জখমের ঘটনায় নিহতের স্ত্রী রাশিদা বেগম অজ্ঞাত তিন জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা-ডিবি’র ইনচার্জ ইন্সপেক্টর নিজাম উদ্দীন দৈনিক জন্মভূমিকে বলেন, খুন-জখমে জড়িত সন্দেহে র‌্যাব-৬ এর একটি টিম ডুমুরিয়ার শাহাপুর এলাকা হতে হাবিব মোল্লা (৪৯) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে। তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। যেগুলো যাচাই-বাছাই চলছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতার, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারসহ মোটিভ উদঘাটনের জন্য জোর তৎপরতা অব্যাহত আছে।

একই দিন নগরীর খুলনা সদর থানাধীন বাগমারা মেইন রোড এলাকায় দুপুর পৌনে তিন টার দিকে মোঃ রাকিব হাসান (২২) নামে এক যুবককে একাধিক গুলি করে জখম করা হয়। এ ঘটনায় ভিকটিমের মা হত্যাচেষ্টাসহ অন্যান্য অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ রাজধানী ঢাকা হতে হৃদয় নামে একমাত্র এজাহারভুক্ত আসামিকে  গ্রেফতার করেছে। তদন্ত কর্মকর্তা তাকে পাঁচ দিন পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে আবেদন করেছেন। এখনও রিমাণ্ড শুনানির জন্য দিন ধার্য্য হয়নি। থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) নিমাই চন্দ্র কুন্ডু শুক্রবার রাতে এ তথ্য জানান।

ডুমুরিয়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় গৃহবধূ জখম

ডুমুরিয়া প্রতিনিধি : ডুমুরিয়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় লতিকা রায় (৩৮) নামের এক গৃহবধূ জখম হয়েছে। আহত গৃহবধূ ডুমুরিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার শিবনগর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। আহতর পরিবার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মাগুরখালি ইউনিয়নের শিবনগর এলাকার সমীরন রায়ের স্ত্রী লতিকা রায় শিবনগর বাজারে চায়ের দোকান দিয়ে আসছে। ঘটনার রাতে পাশের দোকান পলাশ রায়ের ছেলে রতন রায় তার শিশু সন্তানকে নির্যাতন করতে থাকে। এ সময় লতিকা বাঁধা দিতে গেলে অতর্কিত ভাবে রতন রায় লাঠিসোটা দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এতে লতিকা রায়ের মাথা ফেটে রক্তাক্ত জখম হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ডুমুরিয়া হাসপাতালে ভর্তি করে। অপরদিকে সমীরন ও তার ছেলের হামলায় প্রতিপক্ষ পলাশ রায় ও তার স্ত্রী রনজিতা রায় গুরুতর আহত হয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উভয়পক্ষের মামলার প্রস্তুতি চলছিল।

বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ছয় অতিরিক্ত আইজিপি’র শ্রদ্ধা

ইউনিক ডেস্ক : গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন বাংলাদেশ পুলিশের ছয়জন অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (এডিশনাল আইজিপি)।

শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১ টায় তারা জাতির পিতার সমাধি সৌধ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।

এসময় বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (এডিশনাল আইজিপি) (গ্রেড-১) পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত কামরুল আহসান, মনিরুল ইসলাম,  সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত অতিরিক্ত আইজিপি জামিল আহমদ, হুমায়ুন কবির, ওয়াই.এম বেলালুর রহমান, মীর রেজাউল আলম উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকা, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল শেখ, পৌর মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল, থানার ওসি আবুল মুনসুর, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ফোরকান বিশ্বাসসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

পরে পবিত্র ফাতেহা পাঠ করে বঙ্গবন্ধুসহ পচাত্তরের ১৫ আগস্ট এর শহীদ ও মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী ৩০ লাখ শহীদের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করেন তারা।

এ সময় পুলিশের ওই কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের সুস্বাস্থ্য দীর্ঘায়ু ও সাফল্য কামনায় প্রার্থনা করেন।

আদানি গ্রুপের সঙ্গে চুক্তি সংশোধনে আগ্রহী বাংলাদেশ

ইউনিক ডেস্ক : ভারতীয় জায়ান্ট আদানি গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান আদানি পাওয়ারের সঙ্গে ২০১৭ সালে স্বাক্ষরিত বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি সংশোধনের কথা জনিয়েছে বাংলাদেশ। ওই চুক্তিতে গৌতম আদানির কোম্পানিটি কয়লার দাম অনেক বেশি চেয়েছিল। এ কারণে সেটি কমাতে তৎপর হয়েছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)।

ঝাড়খণ্ড রাজ্যের গোড্ডায় নির্মিত এক হাজার ৬০০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ আমদানির জন্য ২০১৭ সালে আদানি পাওয়ারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয় বিপিডিবি। চুক্তি অনুযায়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে ব্যবহৃত কয়লার দাম পরিশোধ করবে বাংলাদেশ। তবে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ এখন মনে করছে, চুক্তিতে গৌতম আদানির কোম্পানি কয়লার দাম অনেক বেশি উল্লেখ করেছে। খবর দ্য ইকোনমিক টাইমসের।

বিপিডিবির এক কর্মকতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘কয়লার দাম বলা হয়েছিল প্রতি মেট্রিক টন ২৫০ ডলারে নিচে। কিন্তু সেখানে দাম ধরা হয়েছে ৪০০ ডলারের ওপরে। আমরা চুক্তি পুনর্বিবেচনার জন্য ভারতীয় কোম্পানিটির সঙ্গে যোগাযোগ করেছি’।

এদিকে, আদানি পাওয়ার-বাংলাদেশের মধ্যকার ওই চুক্তির সঙ্গে ভারত সরকারের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই এবং চুক্তি নিয়ে সাম্প্রতিক সমস্যাগুলো ভারত-বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে জানিয়েছে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গত বৃহস্পতিবার নয়া দিল্লিতে মন্ত্রণালয়টির মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি সাংবাদিকদের সামনে এসব কথা বলেন।

জাতিসংঘ শান্তিবিনির্মাণ কমিশনের সহ-সভাপতি হয়েছে বাংলাদেশ

ইউনিক ডেস্ক : জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত সর্বসম্মতিক্রমে ২০২৩ সালের জন্য জাতিসংঘ শান্তিবিনির্মাণ কমিশনের (পিবিসি) সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ২০২২ সালে কমিশনের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর কমিশনের সদস্যরা ২০২৩ সালের জন্য ক্রোয়েশিয়াকে সভাপতি এবং বাংলাদেশ ও জার্মানিকে সহ-সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করেন। গতকাল নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদরদপ্তরে রাষ্ট্রদূত মুহিত আনুষ্ঠানিকভাবে ক্রোয়েশিয়ার নিকট কমিশনের সভাপতির পদ হস্তান্তর করেন।

আজ শুকওবার ঢাকায় প্রাপ্ত এক সরকারি তথ্য বিবরণীতে এ সংবাদ জানানো হয়।

এতে বলা হয়, অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত কমিশনে সভাপতির দায়িত্ব পালনের সময় বাংলাদেশের প্রতি সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানান। স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে ক্রমান্বয়ে বাংলাদেশ জাতিসংঘের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। বিশ্বের সর্বোচ্চ শান্তিরক্ষী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বশান্তি রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। মুহিত আগামীতে কমিশনের কাজে বাংলাদেশের পূর্ণ সমর্থন অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

বাংলাদেশ-ভারত অকৃত্রিম বন্ধু : ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা 

ইউনিক ডেস্ক : বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভারত হচ্ছে অকৃত্রিম বন্ধু। খুলনা-মোংলা রেল সড়ক দুইদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

শুক্রবার বিকালে খুলনার রূপসা নদীতে নির্মিত রেল সেতু পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘মোংলা বন্দরে যেসব জাহাজ আসে খুলনা-মোংলা রেল লাইনের মাধ্যমে সেই সব জাহাজের মালামাল দ্রুত দেশের সমস্ত জায়গায় সরবরাহ করে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে। একইভাবে মোংলা বন্দর ব্যবহার করে ভারতও অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে।’

প্রণয় ভার্মা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে আরো বলেন, ‘এ রকম একটি সুন্দর কাজ দেখে আমার খুব ভালো লাগছে। এটি বাংলাদেশের জন্য খুবই ভালো একটি কাজ।’

এর আগে বিকেল পাঁচটায় ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা রূপসা নদীর ওপর নির্মিত রেলসেতুর স্থলে পৌঁছান। সেখানে তিনি কিছু সময় খুলনা-মোংলা রেল লাইন প্রকল্পের প্রকল্প অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। পরে তিনি রেলসেতু পরিদর্শন করেন।

এসময় তার সঙ্গে ছিলেন খুলনায় কর্মরত ডেপুটি ভারতীয় হাই কমিশনার ইন্দ্রজিৎ সাগর, ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এল অ্যান্ড টির প্রকল্প প্রধান অমৃতোষ কুমার ঝাঁ প্রমুখ।

বিএনপি মানুষের চোখের আলো ছিনিয়ে নেয়, আওয়ামী লীগ ফিরিয়ে দেয় : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ইউনিক ডেস্ক : স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, বিনামূল্যে চক্ষুসেবার মাধ্যমে প্রায় ৮শ লোক নতুন করে চোখের আলো পাবেন। অপারেশন ছাড়া ইতোপূর্বে প্রায় চার হাজার চক্ষু রোগীকে বিভিন্ন চিকিৎসা এবং পাঁচ হাজার চশমা দেওয়া হয়েছে। আগামীতেও মানিকগঞ্জবাসীর জন্য বিনামূল্যে চক্ষুসেবার ব্যবস্থা করা হবে।

শুক্রবার বিকেলে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল প্রাঙ্গণে বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশন এবং চক্ষু চিকিৎসাসেবা কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির সমালোচনা করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বিনামূল্যে মানুষের চোখের অপারেশন করে ও চোখের লেন্স পরায়। আর বিএনপির গ্রেনেড হামলায় বহু মানুষের চোখ উঠে গেছে, চোখ নষ্ঠ হয়ে গেছে। বিএনপি মানুষের চোখের আলো ছিনিয়ে নেয় আর আওয়ামী লীগ মানুষের চোখের আলো ফিরিয়ে দেয়।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকারকে বিএনপি ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিতে চায়। কিন্তু বিএনপি জানে না, আওয়ামী লীগ ইস্পাতের সরকার। এখানে হাত দিলে হাত কেটে যাবে। কারণ জনগণের জন্য যারা কাজ করে, জনগণ তাদের সঙ্গে আছে। দেশের জনগণ আওয়ামী লীগের সঙ্গে আছে, শেখ হাসিনার সঙ্গে আছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, চক্ষু রোগীরা বিনামূল্যে চোখ অপারেশন ও চোখের লেন্স পাচ্ছেন। রোগীদের যে লেন্স দেওয়া হচ্ছে, তার প্রতিটির দাম ২০-৩০ হাজার টাকা। এছাড়াও বিনামূল্যে চশমা ও ওষুধ পাবেন এবং রোগীদের থাকা খাওয়ার ফ্রি ব্যবস্থা করা হয়েছে। মানুষের বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়া, স্বাস্থ্যসেবার উন্নতি করা এবং দেশের মানুষকে ভালো ও শান্তিতে রাখা আওয়ামী লীগের কাজ। কারণ আমরা মনে করি দেশের মানুষকে ভালো রাখা আওয়ামী লীগের রাজনীতি। এই রাজনীতি আমরা করতে চাই।

তিনি আরও বলেন, সামনে আমাদের নির্বাচন আসছে। শেখ হাসিনা যতদিন ক্ষমতায় আছে, ততদিন দেশে শান্তি-সমৃদ্ধি, উন্নয়ন আছে। দেশের মানুষ পিছিয়ে যেতে চায় না, বিএনপির অন্ধকার যুগে, বোমার যুগে যেতে চায় না। আমরা আশা করবো দেশের জনগণ আগামী নির্বাচনে বিপুল ভোটে শেখ হাসিনার দলকে, শেখ হাসিনার প্রার্থীকে জয়লাভ করাবে।