সারা দেশে বিএনপির অগ্নি সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে-এ্যাড. সুজিত অধিকারী

ফুলতলা (খুলনা) প্রতিনিধি// খুলনা জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সুজিত অধিকারী বলেছেন, সারাদেশে বিএনপির অগ্নি সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে। ওদের কোন আদর্শ নেই। ওরা এখনও পাকিস্তানের শ্লোগান দিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান সরকার সকল ক্ষেত্রে উন্নয়নের পাশাপাশি খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্নতার জন্য কৃষি খাতে ও কৃষকদের সহযোগিতা করে যাচ্ছে। বর্তমান সরকারের সময় দেশে যেভাবে উন্নয়ন হচ্ছে সেই ধারাবাহিকতা অক্ষুন্ন রাখতে আগামীতে আবারও শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে হবে। কৃষকলীগ ফুলতলা উপজেলা শাখার উদ্যোগে শনিবার সন্ধ্যায় স্থানীয় স্বাধীনতা চত্বরে কৃষক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

উপজেলা শাখার সভাপতি মাহাবুব ইসলাম পলাশের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোঃ শরফুদ্দিন বাচ্চু, জেলা আওয়ামীলীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এম মুজিবুর রহমান, রফিকুর রহমান রিপন, জেলা আওয়ামীলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. তারেক হাসান মিন্টু, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ¦ শেখ আকরাম হোসেন, জেলা নেতা মোঃ খায়রুল ইসলাম, আজগর বিশ্বাস তারা। অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন উপজেলা আওয়ামলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মৃনাল হাজরা, আবু তাহের রিপন, কামরুজ্জামান নান্নু, জেলা যুবলীগ নেতা সরদার জাকির হোসেন, মোঃ পারভেজ হাওলাদার, শহিদুল্লাহ প্রিন্স, আশরাফুল আলম কচি, ইদ্রিস গাজী, এ্যাড. আকতারুন্নেছা তিতাস, শাপলা সুলতানা লিলি, মিসেস কেয়া খাতুন, রেক্সনা আজম, নাসরিন সুলতানা, মোঃ সিরাজুল ইসলাম মোল্যা, সৈয়দ তুরাণ আলী প্রমুখ।

যশোরে ইজিবাইক আত্মসাতের ঘটনায় মামলা

যশোর অফিস : যশোরে ইজিবাইক আত্নসাতের ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। শহরের বেজপাড়ার অ্যাড. বাবুল গাজির বাড়ির ভাড়াটিয়া বাবলু মিয়ার ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন শুক্রবার মামলা করেন। ইজিবাইক ভাড়ায় চালাতে নিয়ে আত্মসাত করে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। মামলার আসামিরা হলো সদরের কাজিপুর ক্লাব মোড়ের মৃত আলী মোল্লার ছেলে মনির হোসেন (৩৫) ও একই উপজেলার তুলা গোলদারপাড়ার আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দা মুন্না খানের ছেলে জনি হোসেন (২৪)।

মামলায় আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, তিনি রামনগর ধোপাপাড়ার ইজিবাইক চার্জিস্ট পয়েন্ট ও গ্যারেজে কাজ করেন। পাশাপাশি তার একটি ইজিবাইক আছে। ইজিবাইকটি তিনি দৈনিক ৫শ টাকা ভাড়ায় চুক্তিতে মনির হোসেনকে চালাতে দেয়। প্রতিদিনের মতো ৭ মার্চ সকালে ইজিবাইকটি ভাড়ায় চালাতে নিয়ে যায়। ওই দিন রাতে ফিরে না আসলে তার সাথে মোবাইলে যোগযোগ করা হয়। সে জানায় বাইকটি ধর্মতলা থেকে আসামি জনি হোসেনসহ অজ্ঞাত নামা সহযোগিরা কৌশলে চুরি করে নিয়ে গেছে। মনির জানায় সে গাড়িটি ফেরত এনে দেবে। কিন্তু কয়েকদিন পার হয়ে গেলেও গাড়িটি ফেরত দিচ্ছে না। ধারনা করা হচ্ছে এক ও দুই নাম্বার আসামি আমার গাড়িটি ভাড়ায় নিয়ে পরস্পর যোগসাজসে আত্নসাত করে অজ্ঞাত স্থানে বিক্রি বা রেখে দিয়েছে। এ কারণে গাড়িটি উদ্ধারের জন্য তিনি মামলা করেন।

ডুমুরিয়ায় মানববন্ধনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ও পাল্টা মানববন্ধন

ডুমুরিয়া প্রতিনিধি : ডুমুরিয়ায় মাগুরখালীর চন্ডিপুর এলাকার শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ অসিত বরণ মন্ডলের বিরুদ্ধে মহানামযজ্ঞের পোষ্টার ছিঁড়ে ফেলার মিথ্যা অভিযোগে কথিত মানববন্ধনের প্রতিবাদে এক সংবাদ সম্মেলন, প্রতিবাদ সমাবেশ ও পাল্টা মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মাগুরখালী ইউনিয়ন সচেতন এলাকাবাসীর আয়োজনে শুক্রবার বিকেলে চন্ডিপুর মন্দির কমপ্লেক্সের সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন অধ্যক্ষ অসিত বরণ মন্ডল।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি যখন এলাকায় রাস্তাঘাট, কালভার্ট, স্কুল, মসজিদ মন্দির সহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম চালিয়ে আসছি, এতে এলাকায় আমার ব্যাপক জনপ্রিয়তা সৃষ্টি হয়। তখন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ সানার গাত্রদাহ শুরু হয়। অবসর গ্রহণের পর তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করি কি না ? এমনটি ভেবে তিনি একের পর এক আমার বিরোধিতা ও অপপ্রচার করে আসছে। তারই জের ধরে মহানাম যজ্ঞানুষ্ঠানের পোষ্টার ছেঁড়া ও পদদলিত করার কল্প কাহিনী সৃষ্টি করে আমাকে নিয়ে একটি কথিত মানববন্ধন করে। তিনি নিজেকে ধর্মপ্রাণ ব্যক্তিত্ব দাবি করে আরও বলেন, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত আসবে এমন কল্প কাহিনী করা তার আদৌও ঠিক হয়নি।

সংবাদ সম্মেলন শেষে এলাকার শত শত নারী পুরুষের উপস্থিতিতে চন্ডিপুর-কাঞ্চননগর সড়কে এক পাল্টা মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষক সুনীল কুমার মন্ডল ও প্রদ্যুৎ সরকারের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন প্রফেসর ডক্টর দিব্যদূতি সরকার,অধ্যাপক সরোজ কুমার রায়, অধ্যক্ষ দেবপ্রসাদ মন্ডল, দীনবন্ধু বালা, সুজিত কুমার মন্ডল,অনুকুল চন্দ্র মন্ডল, প্রসাদ কুমার মন্ডল, প্রণব কান্তি মন্ডল, ব্রজেন সরকার, শিবপদ মল্লিক, সুভাষ চন্দ্র মন্ডল, পরিমল সানা, সজল মন্ডল, অভিজিৎ সানা, সুব্রত কুমার মণ্ডল প্রমুখ।

খুলনা কৃষি অঞ্চলে ১৪ হাজার হেক্টরের বেশী জমি তরমুজ আবাদ

ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক

উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৬ লাখ মেট্রিকটন

খুলনা : তরমুজ চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক। তারা দেখছেন নোনালী স্বপ্ন। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খেতে কাজ করছেন। তারা নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। খুলনা কৃষি অঞ্চলের ৪ জেলায় ১৪ হাজার ২৩১ হেক্টর জমিতে আবাদ করা হচ্ছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫লাখ ৯৩হাজার ৩৯৭ মেট্রিকটন। সকার কৃষকদের প্রণোদনা দিয়েছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কৃষকদের স্বপ্ন পূরণে কাজ করছে। তাদের পরামর্শে কৃষকরা ঝুকছেন তরমুজ চাষে। গত বছর এই পরিমান জমিতে আবাদ করা ও উৎপাদন হয়েছে। প্রায় ৮৫ শতাংশ আবাদ করা হয়েছে। দাকোপ ও বটিয়াঘাটাকে তরমুজ জোন ঘোষনার দাবি জানানো হয়েছে।

সূত্র জানান, ২০২২-২৩ অর্থ বছরে রবি মৌসুমে খুলনা অঞ্চলে আবাদ করা হচ্ছে ১৪ হাজার ২৩১ হেক্টর জমি এবং উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫লাখ ৯৩ হাজার ৩৯৭ মেট্রিকটন। এর মধ্যে খুলনা জেলায় আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩৭০ হেক্টর। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৮৪২২৫ মেট্রিকটন। বাগেরহাট জেলায় আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১০৩ হেক্টর। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৩৪২ মেট্রিকটন। সাতক্ষীরা জেলায় আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪০ হেক্টর। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪২০০ মেট্রিকটন এবং নড়াইল জেলায় আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮ হেক্টর। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৩০ মেট্রিকটন। এখনো আবাদ চলছে। কেই কেই আগে থেকেই আবাদ করেছন। তারা আসন্ন পবিত্র মাহে রনমজানে ফসল বিক্রি করতে পারবেন। বেশী দামে বিক্রি করতে পারলে লাভের মুখ দেখবেন। হাইব্রিড হানি কুইন, পাকিজা, বিগ পাকিজা, ড্রাগন, সুইট ড্রাগন গ্লোরী, ওয়ার্ল্ড কুইন ও গঙ্গা জাত আবাদ করা হচ্ছে।

মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট’র জিকেবিএসপি প্রকল্প কৃষকদের স্বপ্ন পূরণে কাজ করছে। তাদের পরামর্শে কৃষকরা ঝুকছেন তরমুজ চাষে। এই প্রকল্প থেকে বীজ সার কীটনাশক ও সকল প্রকার সরঞ্জমাদি বিনামূল্যে পাচ্ছেন কৃষক। গোপালগঞ্জ-খুলনা- বাগেরহাট -সাতক্ষীরা-পিরোজপুর কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প জিকেএসপি দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ৫টি জেলার কৃষি উন্নয়নের জন্য নানা মুখি গবেষণা পরিচালনা করে আসছে। এই মৌসুমে ২২জন কৃষক একটি করে  ২২বিঘা জমিতে তরমুজের প্রদর্শণী প্লট করেছে। ট্রে ও পলিব্যাগে চারা তৈরী করে মূল জমিতে রোপন করা হচ্ছে।

প্রকল্প কর্মকর্তা অমরেন্দ্রনাথ বিশ^াস বলেন, কৃষকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ মানব সম্পাদে পরিনত করা হয়েছে। প্রশিক্ষণলদ্ধ জ্ঞান কাজে লাগিয়ে সঠিক নিয়মে চাষাবাদ করলে দ্বিগুন ফসল উৎপাদন হয়। কৃষকদের বিনামূলে সার, বীজ প্রশিক্ষণসহ সকল প্রকার সরঞ্জামাদি বিনা মূল্যে প্রদান করা হয়েছে । চারা তৈরী করে রোপন করলে ফসল আগে পাওয়া যায়। লবণাক্ততা আসার আগেই গাছ বেড়ে উঠে। বৈরী আবহাওয়া আসার আগেই কৃষক তার ফসল বিক্রি করতে পারেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের খুলনা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মো. ফরিদুল হাসান বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আবাদ ভালো হয়েছে। সরকার কৃষকদের প্রণোদনা দিয়েছে। এইঅঞ্চল উৎপাদনে সফলতা লাভ করেছে। মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সঠিক পরামর্শ ও দিক নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। কৃষক তরমুজ উৎপাদনে উৎসাহ বোধ করছেন।

খুবিতে আইন বিষয়ে দু’দিনব্যাপী জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন

বিজ্ঞপ্তি : শুক্রবার বিকাল ৩টায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে আইন ডিসিপ্লিনের উদ্যোগে ‘লিগ্যাল ডায়নামিক্স ইন দ্য কনটেম্পোরারি ওয়ার্ল্ড’ (সমসাময়িক বিশ্বের আইনি গতিশীলতা) শীর্ষক দু’দিনব্যাপী জাতীয় সম্মেলন শুরু হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো: খসরুজ্জামান।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ। প্যাট্রন হিসেবে দু’দিনব্যাপী এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা। সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইন ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. মো: ওয়ালিউল হাসানাত। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক তালুকদার রাসেল মাহমুদ। সম্মেলনে ঢাকা, রাজশাহী, জাহাঙ্গীরনগর, জগন্নাথ, চট্টগ্রাম, খুলনা ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়সহ ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠান থেকে ১২৮জন শিক্ষক, গবেষক, শিক্ষার্থী আইনপেশা সংশ্লিষ্টরা অংশগ্রহণ করছেন। দু’দিনব্যাপী এ সম্মেলনে ৩৭টি নিবন্ধ উপস্থাপন করা হবে।

গ্যাসের দাম কমলেও বেশি দামে বিক্রি করছে দোকানীরা

চৌগাছা প্রতিনিধি : যশোরের চৌগাছায় সরকার গ্যাসের বাজারমুল্য কমালেও বেশি দামে বিক্রি করছেন দোকানিরা। গ্যাস প্রতি কেজি ৯টাকা ৫৪ পয়সা কমানো হয়েছে। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটার কমিশনার (বিই আর টি) আমদানি শুল্ক কমানোর কারণে মার্চ মাস থেকে ১২ কেজি গ্যাসের সিলিন্ডার দাম ১ হাজার ৪২২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। গ্যাস বিক্রয় করে দোকানদার  দাম নিচ্ছে নির্ধারিত দামের চেয়ে  ১৫৫০ টাকা থেকে ১৬০০ টাকা নিচ্ছে। বাজারের সাত্তার স্টোর, মেসার্স শফি স্টোর, মেসার্স বিশ্বাস ট্রেডার্স, বাবুল চুলা ঘর, নাজমুল গ্যাস বিপননী, মেসার্স নাঈম ট্রের্ডাস,মেসার্স লাভলু এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স টি আর স্টোর, মেসার্স ইবাদত স্টোরসহ ছোট-বড় অনেক দোকানে গ্যাস বিক্রয় করে থাকে।  যেসব কোম্পানির গ্যাস বিক্রি করেন বসুন্ধরা এলপি গ্যাস, যমুনা এলপি গ্যাস, ওমেরা, ওরিয়ন, দুবাই বাংলাদেশ ফাইভ রিং, ফ্রেশ, বিএমসহ বিভিন্ন কোম্পানির। গ্যাসটি নির্ধারিত দামে বিক্রয় না করে বিক্রয় করছেন দোকানিরা নিজেদের নির্ধারিত মূল্যে। গ্যাসের দোকানদার মেসার্স নাঈম ট্রেডার্স প্রোপাইটার সাইফুজ্জমান বলেন গ্যাস কোম্পানি বেশি দাম ধরছে এইজন্য সেই দামে গ্যাস বিক্রি করতে হচ্ছে।

অহিংসা ও শান্তির বাণী ছড়িয়ে দিতে কলকাতা থেকে নোয়াখালির উদ্দেশ্য পদযাত্রা

যশোর অফিস : মহাত্মা গান্ধীর অহিংসা ও শান্তির বাণী ছড়িয়ে দিতে ভারতের কলকাতা থেকে পায়ে হেঁটে যশোরে এসেছেন চার নারী। গত বৃহস্পতিবার বেলেঘাটার গান্ধী ভবন থেকে এই পদযাত্রা শুরু হয়। এদিন রাতে পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে যশোরে পৌঁছান। ৯ জেলা পায়ে হেটে আগামী ১৬ মার্চ এই যাত্রা শেষ হবে বাংলাদেশের নোয়াখালির গান্ধী আশ্রমে। আয়োজকরা জানান, ‘শান্তির জন্যই এই পদযাত্রা। এর উদ্দেশ্য, গোটা বিশ্বে শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার।

জানা যায়, অস্থির এই বিশ্বে মহাত্মা গান্ধীর পথকেই পাথেয় করে এবং শান্তির বাণী ছড়িয়ে দিতে ভারতের চার নারী শুরু করছেন এই পদযাত্রা। ভারতের সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটির (এসএনইউ) সহযোগিতায় গান্ধি আশ্রম ট্রাস্ট আয়োজিত ‘গান্ধী অ্যান্ড ওয়াক’ শীর্ষক এই পদযাত্রা শুরু হয় কলকাতার বেলেঘাটার গান্ধী ভবন থেকে। চার সদস্যের একটি দল বৃহস্পতিবার রাতে বেনাপোল হয়ে যশোর শহরে পৌঁছান।

শুক্রবার সকালে যশোর সার্কিট হাউজে বিশ্রাম নিয়ে দলটি নড়াইলের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। লোহাগড়া-ফরিদপুর-ভাঙ্গা-মাওয়া হয়ে ঢাকায় পৌঁছাবেন। ১৬ তারিখ নোয়াখালির গান্ধী আশ্রমে স্থানীয় সুধী সমাবেশের মাধ্যমে এই যাত্রা শেষ হবে।

পদযাত্রার অংশ নিয়েছেন টিম লিডার ডা. আরজুমন্দ জায়েদি, সদস্য কাশিশ খানম, অনুষ্কা, পার্নোমিতা ডাঙ্গওয়াল। ‘গান্ধী অ্যান্ড ওয়াক’ শিরোনামে একটি ব্যানার ও ভারতীয় জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে এই দলটিকে পায়ে হেটে পদযাত্রা করতে দেখা যাচ্ছে। মানুষের সঙ্গে কথা বলে পৌঁছে দিচ্ছেন শান্তির বার্তা। ভারতের এই দলের সঙ্গে নোয়াখালির গান্ধী আশ্রমের দুইজন সহযোগী প্রতিনিধিও রয়েছেন।

পায়ে হেটে পদযাত্রায় শুক্রবার দুপুরে যশোর ছাড়ার আগে যশোর সার্কিট হাউজে দলের টিম লিডার ডা. আরজুমন্দ জায়েদি জানান, মহাত্মা গান্ধীর চিন্তাভাবনা আমাদের গোটা বিশ্বকেই উজ্জীবিত করে। তার শান্তির বাণী আজ সারা বিশ্বেই আদৃত। আমাদের এই পদযাত্রা শান্তির জন্যই এই উদ্যোগ। এর উদ্দেশ্য, গোটা বিশ্বে শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া। আগামীদিনে বিশ্বের অন্যান্য দেশেও এই শান্তি যাত্রার পরিকল্পনা আছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

নোয়াখালির গান্ধী আশ্রমের শান্তিকর্মী খায়রুজ্জামান খোকন বলেন, ব্রিটিশ শাসনামলের শেষের দিকে ভারতবর্ষের বিভিন্ন স্থানের মতো নোয়াখালীতেও হিন্দু-মুসলিম সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে। সেই দুঃসময়ে শান্তি মিশন নিয়ে নোয়াখালি ছুটে আসেন মহাত্মা গান্ধী। ১৯৪৬ সালের ৭ নভেম্বর থেকে ১৯৪৭ সালের ২ মার্চ পর্যন্ত নোয়াখালী অবস্থানকালে তিনি গ্রামে গ্রামে ঘুরে দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন, হিন্দু-মুসলিম ভ্রাতৃত্ব স্থাপনসহ সেবামূলক বিভিন্ন কাজে হাত দেন। মহাত্মা গান্ধী আমৃত্যু মানুষের মধ্যে শান্তি ও অহিংসার বাণী প্রচার করে গেছেন। মহাত্মা গান্ধীর অহিংসা ও শান্তির বাণী ছড়িয়ে দিতে এই আয়োজন। এই যাত্রা আগামী ১৬ তারিখ নোয়াখালী গান্ধী আশ্রম ও ট্রাস্টে শেষ হবে। এর মাঝে এই দল ৯টা জেলা পায়ে হেটে শান্তির পদযাত্রা শান্তির বার্তা পৌঁছে দেবেন মানুষের কাছে।

আওয়ামী লীগ সরকার গণমানুষের মুখে হাসি ফুটাতে কাজ করছে : বাবুল রানা

বিজ্ঞপ্তি : মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের কৃষির উন্নয়ন এবং কৃষকের স্বার্থ রক্ষার জন্য ১৯৭২ সালের ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ কৃষক লীগ প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে কৃষক লীগ কৃষকদের সংগঠিত করা, তাদের দাবি আদায় এবং দেশের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করে আসছে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার দরিদ্র পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা আনতে সামাজিক নিরাপত্তা ভাতা ও প্রতিবন্ধী ভাতাসহ বিভিন্ন প্রকার ভাতা দিচ্ছে। মূলত আওয়ামী লীগ সরকার কৃষক, শ্রমিক ও গণমানুষের মুখে হাসি ফুটাতে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, কৃষক লীগের নেতা-কর্মীদের কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের সাধারণ মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে আরো বেশি নিজেদের আত্মনিয়োগ করতে হবে। জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতির পিতার ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও নিরক্ষরতামুক্ত স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

শুক্রবার বাদ মাগরিব ১১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে চত্ত্বরে মহানগর কৃষক লীগ আয়োজিত ১১নং ওয়ার্ড কৃষক লীগের কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন মহানগর কৃষক লীগের আহ্বায়ক এড. এ কে এম শাহজাহান কচি। মহানগর কৃষক লীগের সদস্য সচিব অধ্যা. এ বি এম আদেল মুকুলের পরিচালনায় এসময়ে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন ও উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ শহিদুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো: আশরাফুল ইসলাম, খালিশপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম সানাউল্লাহ নান্নু, সাধারণ সম্পাদক মো: মনিরুল ইসলাম বাশার, নির্বাহী সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলর মুন্সি আব্দুল ওয়াদুদ, কাউন্সিলর পারভিন আক্তার, ১১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি মো: জাকির হোসেন, কানাই রায়, মোল্লা মো: সেলিম, মো: কালাম মন্ডল, মো: সালাহউদ্দিন দুলালসহ আওয়ামী লীগ, কৃষক লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

কর্মীসভায় পলাশ দত্তকে সভাপতি ও মঈন খন্দকার সোহাগকে সাধারণ সম্পাদক করে ১১নং ওয়ার্ড কৃষক লীগের ৬১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়।

মনিরামপুরের টিকটক সুমন এখন পশু হত্যা সিন্ডিকেটের হোতা

মনিরামপুর প্রতিনিধি : নাম তার সুমন তানভীর (২৫)। পিতা আলাউদ্দিন গাজী একজন ট্রাক চালক। মা শিরিনা বেগম গৃহকর্মী। আদিবাড়ি যশোরের অভয়নগর উপজেলার মহাকাল গ্রামে হলেও পিতা-মাতার সাথে এখন মনিরামপুর পৌরশহরের বিভিন্ন স্থানে ভাড়া বাসায় বসবাস করছে। সেই কিশোর বয়স থেকে সুমন বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িয়ে সমাজে নিজেকে ফেরিওয়ালা, কখনও জীনের বাদশা, আবার কখনও টিকটক ভিডিও তারকা পরিচয় দিয়ে সহজসরল মানুষের সাথে প্রতারণা করে অর্থকড়ি হাতিয়ে নিচ্ছে। তার বিরুদ্ধে রয়েছে শিশু ধর্ষনের অভিযোগ। থানায় মামলাও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। কিশোর অপরাধী থেকে বহুরূপী সুমন তানভীর এখন হয়ে উঠেছে পশু হত্যা সিন্ডিকেটের অপ্রতিরোধ্য নেতা। গোপনে গোখাদ্যের সাথে গ্যাস ট্যাবলেটসহ বিভিন্ন বিষাক্ত পদার্থ মিশিয়ে দেয় সে ও তার দলবল। পরে ওই খাদ্য খেয়ে যখন গরু-ছাগল মারা যায়, তখন সুমন ও তার দলবল ফেলে দেওয়ার কথা বলে মরা গরু-ছাগল নিয়ে নাম কাওয়াস্তে জবাই দিয়ে মাংস বিক্রি করে আসছে। অভিযোগ রয়েছে সুমন ও তার দলবলের বিষ মিশ্রিত খাদ্য খেয়ে পৌরশহরের গাংড়া এলাকায় গত ১৫ দিনে অন্তত: সাতটি গরু পাঁচটি ছাগল মারা গেছে। এ ব্যাপারে অভিযোগ করা হলেও পুলিশ কার্যত কোন ব্যবস্থা নেয়নি। ফলে জনমনে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, সুমন সাতবছর আগে খেলনা সামগ্রী ফেরি করে বিক্রি করতে গিয়ে মাছনা গ্রামের পঞ্চম শ্রেনির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করতে গিয়ে ধরা পড়ে। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়। বেশ কয়েকমাস হাজতবাসের পর জামিনে মুক্ত হয়। সে মামলা এখনও আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। পৌরশহরের গাংড়া মোল্যাপাড়ায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করে সুমনের পিতা-মাতা। অন্যদিকে সুমন অন্য এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে একা বসবাস করে। গতবছর উত্তরমাথা মাইক্রোস্ট্যান্ডে মাকে নিয়ে একটি ভাড়া বাসায় আস্তানা গড়ে তোলে সুমন। ওই বাসায় একটি সাপ নিয়ে সুমন নিজেকে জিনের বাদশা পরিচয় দিয়ে রিতিমত কবিরাজি শুরু করে। বিষয়টি প্রচার হলে বিভিন্ন এলাকা থেকে অসংখ্য নারী-পুরুষের ভীড় জমে তার বাসায়। দুরদুরান্ত থেকে বিশেষ করে নারীরা নজরানা (টাকা) দিয়ে তেল ও পানি পড়া নিতে শুরু করে সুমনের কাছ থেকে। বিষয়টি টের পেয়ে পুলিশ ওই সাপটি মেরে আস্তানা গুড়িয়ে দেয়।

স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর সুমন দাস জানান, সুমন সিন্ডিকেটের অপতৎপরতা ঠেকাতে এলাকার মানুষ ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। এ দিকে অভিযোগ রয়েছে সুমন ও তার সিন্ডিকেটের সদস্যদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হলেও পুলিশ কার্যত কোন ভূমিকা রাখেনি।

থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মনিরুজ্জামান জানান, সুমনও তার দলবলকে আটকের জন্য পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আশা করা হচ্ছে অচিরেই তাদেরকে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।

পদ্মা সেতুতে দেশের প্রথম পাথরবিহীন রেলপথ

ইউনিক ডেস্ক : পদ্মা সেতুতে দেশের প্রথম পাথরবিহীন রেলপথ নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। চলতি মাসেই পদ্মা সেতু ও সেতুকে সড়কের সঙ্গে সংযোগ করা দুই প্রান্তের ভায়াডাক্টে ১৩ দশমিক ৩ কিলোমিটার পথে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চালানো হবে।

সাধারণ রেলপথের চেয়ে পাথরবিহীন এই রেলপথে ভ্রমণ আরামদায়ক হবে বলে জানিয়েছেন পদ্মা সেতুর রেললিংক প্রকল্পের পরিদর্শন প্রকৌশলী সঞ্জয় চন্দ্র রায়।

পদ্মা সেতু রেললিংক প্রকল্প সূত্র জানায়, পদ্মা সেতু রেলসংযোগ প্রকল্পের আওতায় রেললিংক প্রকল্পের অধীন ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ করা হচ্ছে।

তিনটি ভাগে এই নির্মাণকাজ চলছে। এগুলো হচ্ছেÍ ঢাকা থেকে মাওয়া, মাওয়া থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা ও ভাঙ্গা থেকে যশোর।

মাওয়া থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা অংশে রয়েছে পদ্মা সেতু। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার পদ্মা সেতুতে রেললাইন বসানোর কাজ প্রায় শেষ।

এখন সেতুর মাঝ বরাবরে ৫০০ মিটার রেললাইন নির্মাণকাজ চলছে। সেতুর ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার, সেতু থেকে জাজিরার পদ্মা স্টেশন পর্যন্ত ভায়াডাক্ট চার কিলোমিটার ও সেতু হতে মাওয়া স্টেশন পর্যন্ত ৩ দশমিক ১৫ কিলোমিটার রেলপথ হচ্ছে পাথরবিহীন।

আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে নির্মাণকাজ শেষে পদ্মা সেতুতে পরীক্ষামূলকভাবে রেল চালানোর আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

পদ্মা সেতুর রেললিংক প্রকল্পের পরিদর্শন প্রকৌশলী সঞ্জয় চন্দ্র রায় বলেন, বাংলাদেশে প্রথম নতুন প্রযুক্তির পাথরবিহীন রেলপথ নির্মাণ করা হয়েছে পদ্মা সেতুতে। পাথরবিহীন রেলপথ ভ্রমণ হয় আরামদায়ক। সেতুতে যাতে কোনো ঝাঁকুনি (জার্কিং) না হয়, তার জন্য পাথরবিহীন রেলপথ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়।