মাদারীপুরে দুর্ঘটনায় নিহত ১৭ জনের পরিচয় সনাক্ত

ইউনিক ডেস্ক : মাদারীপুরের শিবচরে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে ইমাদ পরিবহনের বাস দুর্ঘটনায় নিহত ২০ জনের মধ্যে ১৭ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে ৭ জনই গোপালগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।

আজ রবিবার (১৯ মার্চ) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ইমাদ পরিবহনের বাসটি শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক্সপ্রেসওয়ে থেকে খাদে পড়ে যায়। এ সময় বাসটি দুমড়েমুচড়ে যায়। এ দুর্ঘটনায় নিহত ছাড়াও আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩০ জন।

পুলিশ ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, দুর্ঘটনায় নিহত ২০ জনের মধ্যে ১৭ জনের মরদেহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একটি কক্ষে রাখা হয়। বাকি দুজনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ১৭ জনের নাম-পরিচয় মিলেছে।

অন্যান্য জেলার নিহতরা হলেন- মুকসুদপুরের মো. আমজাদ আলীর ছেলে মাসুদ মিয়া (৩৫), খুলনার সোনাডাঙ্গার শেখ আহমদ মিয়ার ছেলে শেখ আব্দুল আল মামুন (৪২), নড়াইলের লোহাগাড়ার বকু শিকদারের ছেলে ফরহাদ হোসেন (৬৭), ফরিদপুর আলফাডাঙ্গা এলাকার শহিদ মুরাদ আলীর ছেলে ইসমাইল হোসেন (২৮), বনগ্রাম এলাকার শামসুল শেখের ছেলে মোসতাক আহম্মেদ (৪৭), ডুমুরিয়া এলাকার পরিমল সাদু খায়ের ছেলে মহাদেব কুমার সাদু খা (৫৫), আমতলা এলাকার শাহজাহান মোল্লার ছেলে আশফাকুর জাহান লিংকন (২৬) এবং বাগেরহাটের শান্তি রঞ্জন মজুমদারের ছেলে অনাদি মজুমদার (৩০)। বাসচালক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আলী আকবরের ছেলে জাহিদ হাসান ও চালকের সহকারী মো. মিরাজ।

গোপালগঞ্জের নিহত ৭ জন হলেন- সদরের ত্রিনদীর রঞ্জন মন্ডল (৫০), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও সদরের মাসুদ মিয়ার মেয়ে সুইটি আক্তার (২২), সদরের মাসুম মিয়ার ছেলে মোস্তাক শেখ (৪১), টুঙ্গিপাড়ার মো. কাঞ্চন শেখের ছেলে শেখ কবির হোসেন (৫৭), ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও সদরের আবু হেনা মোস্তফার মেয়ে আফসানা মিমি (২৫), একই উপজেলার নওশাদ শেখের ছেলে সজীব (২৭), গোপিনাথপুরের তৈয়ব আলীর ছেলে হেদায়েত মিয়া (৫৫)। বাকিদের নাম-পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি।

শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজিবুল ইসলাম বলেন, এখানে ১৭ জনের মরদেহ রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে। পরে চালকের নাম পাওয়াসহ মোট ১৭ জনের নাম-পরিচয় জানা গেছে। বাকিদের নামপরিচয় এখনো শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। শনাক্তকৃতদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পাশাপাশি নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

খুলনা জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

খুলনা : খুলনা জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মার্চ মাসের সভা আজ (রবিবার) সকালে জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীনের সভাপতিত্বে তাঁর সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ৬০টি সরকারি দপ্তরের সরকারের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা হয়।

সভায় সিভিল সার্জন ডাঃ সুজাত আহমেদ জানান, আজ থেকে সপ্তাহব্যাপী ৫ থেকে ১৬ বছর বয়সী শিশুদের কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো হবে। করোনার টিকার প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ডোজ প্রায় সম্পন্ন করা হয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) তাপস কুমার পাল বলেন, খুলনা জেলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। গত মাস থেকে এপর্যন্ত ৫২টি মামলা হয়েছে, নিষ্পপ্তি হয়েছে আটটি। মাহে রমজান উপলক্ষে বিশেষ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তিনশত ছয়জন ওয়ারেন্ট আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয় এমন গুজব না ছড়ায় এর জন্য পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নজর রাখা হচ্ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, খুলনা জেলায় অনাবাদি পতিত জমি আছে ১০ হাজার ৯৭৫ হেক্টর এর মধ্যে ১৩ শতাংশ জমিকে নতুন করে চাষের আওতায় আনা হয়েছে। চলমান বোরো মৌসুমে জেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে আবাদ হয়েছে। খুলনা জেলায় ৭০ হাজারের বেশি কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে এবং স্বল্প সময়ের মধ্যে দুই হাজার কৃষকের মাঝে পাটবীজ বিতরণ করা হবে।

সভাপতির বক্তৃতায় জেলা প্রশাসক বলেন, মাহে রজমানে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ রাখতে বাজার মনিটরিং জোরদার করা হবে। ভেজাল খাদ্যদ্রব্য যেন বিক্রি না হয় সেজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নজর রাখতে বলেন। উপকূলীয় অঞ্চলের কৃষি জমিতে নদীর লবণক্ত পানি প্রবেশ করতে না পারে সে দিকে নজর রাখা প্রয়োজন। সরকারের চলমান উন্নয়ন কার্যক্রমগুলো যথাসময়ে সম্পন্ন করার চেষ্টা করতে হবে। সরকারি সকল দপ্তরের মধ্যে কাজের মধ্যে সমন্বয় থাকতে হবে।

সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পুলক কুমার মন্ডল, বিভিন্ন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

খুলনায় জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ শুরু

খুলনা : জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ এর উদ্বোধন আজ (রবিবার) সকালে খুলনার খালিশপুর কলেজিয়েট গার্লস স্কুলে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র বলেন, শিশুরাই ভবিষ্যৎ দেশের সকলক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেবে। তাই দেশকে সামনে এগিয়ে নিতে হলে শিশুদের সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে হবে। শিশুর সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে সরকার বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। শিশুর স্বাস্থ্যের গুরুত্ব বিবেচনা করে সরকার জাতীয় কৃমি সপ্তাহসহ বিভিন্ন দিবস পালন করছে। জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ পালনে কোন শিশু যেন বাদ না যায় সেদিকে অভিভাবকদের প্রধান দায়িত্ব হবে শিশুদের কেন্দ্রে নিয়ে আসা। তিনি বলেন, আমাদের শিশুরা এগিয়ে চলেছে কাঙ্খিত লক্ষ্যে। শিশুর যাবতীয় অধিকার বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে পিতা-মাতা, পরিবার, সমাজসহ সকলের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন অত্যন্ত জরুরি।

কেসিসি’র ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মুন্সী আব্দুল ওয়াদুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ষ্ট্যাডিং কমিটির সভাপতি মোঃ মনিরুজ্জামান, সংরক্ষিত মহিলা আসনের কাউন্সিলর পারভীন আক্তার, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ এসএম কামাল হোসেন ও খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের সহকারী পরিচালক ডাঃ অপর্ণা বিশ^াস বক্তব্য দেন। স্বাগত বক্তব্য দেন কেসিসি’র প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ স্বপন কুমার হালদার। এসময় বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, এবারে সিটি কর্পোরেশনের ৩১টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন কেন্দ্রে এক লাখ ৪৯ হাজার সাতশত ৭০ জন শিশুকে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো হবে। এর মধ্যে চারশত ৯২ টি প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৬-১১ মাস বয়সী শিশুর সংখ্যা ৯৩ হাজার আটশত ৭২ এবং ৯৩টি মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১২-৫৯ মাস বয়সী ৫৫ হাজার আটশত ৯৮জন শিশুকে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

দুপুরে কেসিসি’র মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক খুলনা সরকারি মহিলা কলেজের অডিটোরিয়ামে বার্ষিক সাহিত্য-সাংস্কৃতিক ও আন্ত:কক্ষ ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, শিক্ষার্থীরা আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশের জন্য কাজ করতে পারে একারণে কলেজটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই কলেজটি শিক্ষার মান ধরে রেখেছে। লেখাপড়া করা যেমন দরকার তেমনি শারীরিক সুস্থতার জন্য খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক চর্চা করা প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, সরকার খুলনাকে তিলোত্তমা নগরীতে পরিণত করতে ইতোমধ্যে অনেক অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে। তিলোত্তমা নগরীতে পরিণত করতে হলে নগরবাসীকে সচেতন ও দায়িত্বশীল হতে হবে।

খুলনা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর টি এম জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কলেজের শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক খান আহমেদুল কবীর চাইনিজ। অনুষ্ঠানে ছাত্রী সংসদের ভারপ্রাপ্ত অধ্যাপক প্রফেসর মোঃ আব্দুল জব্বার বক্তব্য দেন।

কালিয়ায় ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড় অনুষ্ঠিত

লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি : নড়াইলের কালিয়ায় গ্রামবাংলার জনপ্রিয় খেলা ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আবহমান গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী এই ঘোড়দৌড় দেখতে হাজারও মানুষের ঢল নামে।

শনিবার (১৮ মার্চ) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে প্রতিযোগিতা।

নড়াইলের কালিয়া উপজেলার কলাবাড়িয়া ইউনিয়নের কলাবাড়িয়া দশানীপাড়া মল্লিক বাড়ি সংলগ্ন মাঠে কলাবাড়িয়া দশানীপাড়া যুবসংঘের আয়োজনে এ ঘোড়দৌড় অনুষ্ঠিত হয়।

ঘোড়দৌড় দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে সব বয়সের হাজার হাজার মানুষ আসেন। গ্রামজুড়ে আনন্দ ও উৎসবে মেতে উঠে খেলাপ্রেমীরা। ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতাকে ঘিরে মাঠে বসে গ্রামীণ মেলা। নাগরদোলা ও নানা পণ্য সামগ্রীর দোকান বসে মেলায়।

দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ছুটে আসা ২১টি ঘোড়া অংশ নেয়। এই ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছেন উভয়নগর উপজেলা থেকে আসা নাছির ফকির, দ্বিতীয় হয়েছেন একই উপজেলার আশিক মল্লিক, তৃতীয় হয়েছেন অভয়নগরের শাহাজান, ৪র্থ হয়েছেন কালিয়া উপজেলার কলাবাড়িয়া গ্রামের জালাল মল্লিক, ৫ম হয়েছেন একই উপজেলার কালিয়ার শামীম মোল্লা।

প্রথম স্থান অর্জনকারীকে ৮ হাজার টাকা ও দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারীকে ৬ হাজার টাকা এবং তৃতীয় স্থান অর্জনকারীকে ৪ হাজার টাকা ও চতুর্থ স্থান অর্জনকারীকে আকর্ষনীয় পুরস্কার দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কলাবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট মাহমুদুল হাসান কায়েস, বিশেষ অতিথি ছিলেন মুরছালিন হোসেন, ইউপি সদস্য কামাল মুন্সী, সাবেক ইউপি সদস্য মো: হেকমত আলী, আব্দুর সবুর ফকির, মো: রিপন শেখ, মতিয়ার মল্লিক,শরিফুজ্জামান প্রমুখসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

যশোর চৌগাছায় ২ লাখ ভোটারকে ভয়েস কল দিয়েছেন মোস্তফা আশীষ ইসলাম

যশোর প্রতিনিধি : নবীনের ভোট নৌকায় হোক এই প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে শনিবার বিকেলে ঝিকরগাছা পৌরসভা ৯(নয়)টি ওয়ার্ডের ৯জন নতুন ভোটারের হাতে শুভেচ্ছাপত্র, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী, টি-শার্ট ও ক্যাপ তুলে দেন যশোর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটি সদস্য মোস্তফা আশীষ ইসলাম।
গত শনিবার বিকেলে কৃষ্ণনগর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধু মঞ্চে পৌরসভার নতুন ভোটারদের শুভেচ্ছা পত্র বিলি উদ্ভোধন করেন মোস্তফা আশীষ ইসলাম। প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি বলেন, ডিজিটাল যশোর হওয়ায় গতকাল আমি চৌগাছা ও ঝিকরগাছাবাসীর নিকট ২(দুই) লক্ষ ভয়েস কল পাঠিয়েছি।
পৌর ছাত্রলীগ ৯(নয়)টি ওয়ার্ডে নতুন ভোটারদের শুভেচ্ছা পত্র বাড়ী যেয়ে বিলি করবে এবং তাদের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করবে। ভবিষ্যতে যাতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নতুন ভোটারদের সঠিক তথ্য ও ইতিহাস জানতে পারে। ছাত্রলীগকে স্মার্ট নতুন ভোটার তৈরিতে কাজ করার পরামর্শ দেন।
বঙ্গবন্ধুর ৫৫বছরের জীবনে ১৩বছরই কারাগারে কেটেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন বঙ্গবন্ধুর জীবনের লক্ষ্যই ছিল বাংলাদেশের মানুষের মুক্তি ও স্বাধীনতা। তিনি জাতিকে এনে দিয়েছেন স্বাধীনতার ও মুক্তির স্বাদ। টুঙ্গিপাড়ার ছোট খোকা থেকে তিনি হয়ে উঠেছিলেন রাজনীতির মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের পর যুদ্ধবিধস্ত বাংলাদেশকে আত্মবিশ্বাসী ও আত্মনির্ভরশীল একটি জাতি হিসাবে গড়ে তোলার সংগ্রাম শুরু করেছিলেন জাতির পিতা।কিন্তু এর মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির ষড়যন্ত্রের জাল ছড়িয়ে পড়ে। ১৯৭৫ এর ১৫ই আগস্ট ঘাতকের বুলেটে ছিন্নভিন্ন করে দেয় জাতির পিতার শরীর। কালরাত কেড়ে নেয় স্ত্রী সন্তানসহ বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সব সদস্যর জীবন। কেবলমাত্র দেশের বাহিরে অবস্থান করার কারণে বেঁচে যায় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা। বঙ্গবন্ধুর কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা আজ পিতার আদর্শ সামনে রেখেই এগিয়ে নিয়ে চলেছেন বাংলাদেশকে। লক্ষ্য এবার স্মার্ট বাংলাদেশ।
পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তৌফিক আলম কৌশিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ঝিকরগাছা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নাসিমুল হাবীব শিপার, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ, ঝিকরগাছা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইমরান রশীদ, সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি সাজ্জাত নরুল হক বিন্তু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী সেচ্ছা সেবক লীগে মোখলেছুর রহমান কেটি, যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর সাবেক পরিচালক তরিকুল ইসলাম স্বপন, অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা পত্র পাঠ করেন নতুন ভোটার রেহনূমা নুরাঈন নাহিন, এছাড়া উপস্হিত ছিলেন পৌর ছাত্রলীগ নেতা জাহিদ হাসান রুবেল সহ অনান্য নেতাকর্মীরা। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন মোঃ তবিবুর রহমান।

পাইকগাছায় গ্রাম ডাক্তার বিমলেন্দু নাথের পরলোক গমন

পাইকগাছা অফিস : পাইকগাছার কাটাখালী বাজারের গ্রাম ডাক্তার ও ঔষধ ব্যবসায়ী বিমলেন্দু নাথ (৭১) পরলোক গমন করেছেন (দিব্যান্ লোকান স্বঃ গচ্ছাতু)। তিনি রবিবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে দেবদুয়ারে নিজ বাসভবনে হৃদরোগ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন বলে পারিবারিক ভাবে জানাগেছে। ধর্মীয় বিধান মতে দুপুরে দেবদুয়ার কৃষ্ণনগর মহাশ্মশানে তাঁর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। মৃত্যুকালে ১ স্ত্রী ও ১ পুত্র সহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনি বাংলাদেশ গ্রাম ডাক্তার কল্যাণ সমিতির উপজেলা শাখার ও বাংলাদেশ কেমিস্টস অ্যান্ড ড্রাগিস্টস সমিতির সদস্য ছিলেন। তাঁর মৃত্যু তে গভীর শোক ও শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করে শোক বিবৃতি দিয়েছেন বাংলাদেশ গ্রাম ডাক্তার কল্যাণ সমিতি ও বাংলাদেশ কেমিস্টস অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির উপজেলা কমিটির সদস্যবৃন্দ। বিবৃতি দাতারা হলেন, গ্রাম ডাক্তার কল্যাণ সমিতি ও কেমিষ্ঠ এ্যান্ড ড্রাগিষ্ঠ সমিতির উপজেলা সভাপতি মোঃ আনোয়ার হোসেন, গ্রাম ডাক্তার সমিতির উপজেলা সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক তৃপ্তি রঞ্জন সেন, গ্রাম ডাক্তার কল্যাণ সমিতির উপদেষ্টা ও কেমিষ্ঠ সমিতির উপজেলা সম্পাদক কাজী মিজানুর হোসেন, গ্রাম ডাক্তার সমিতির উপদেষ্ঠা ও কেমিষ্ঠ সমিতির সমন্বয়কারী প্রভাষক আব্দুর রাজ্জাক বুলি, গ্রাম ডাক্তার সমিতির সহ-সভাপতি শংকর কুমার দেবনাথ ও অজিয়ার রহমান, সহ সম্পাদক মিজানুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক পূর্ণ চন্দ্র মন্ডল, দপ্তর সম্পাদক জয়দেব কৃষ্ণ রায়, কোষাধ্যক্ষ গোবিন্দ লাল মন্ডল, প্রচার সম্পাদক মোঃ অহিদুল ইসলাম, মৃত্যুঞ্জয় মন্ডল, নিজামুল হক, মানষ কুমার মন্ডল, বাসুদেব রায়, লতিফুর রহমান, ইয়াছিন আলী, নিরাঞ্জন মল্লিক, মনোরঞ্জন রায়, রেজাউল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, পীযুষ কান্তি সানা ও এস এম আব্দুল জব্বার। এছাড়া মোঃ নুরুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, ওজিয়ার রহমান, মাহফুজুর রহমান, দীনেশ চন্দ্র মন্ডল সহ অন্যান্য সদস্য বৃন্দ।

যশোরে ১০০ শিক্ষককে বিদায়ী সংবর্ধনা

যশোর প্রতিনিধি : ২০১৭ সালে অবসর গ্রহণ করেন যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার শ্রীরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক উম্মে সালমা সুলতানা।

১৮ মার্চ তিনি রাজধানী থেকে ঝিকরগাছার বাড়িতে এসেছেন। কারণ ১৮ মার্চ সকালে স্থানীয় শিক্ষক সমিতি তাদের বিদায় সংবর্ধনার আয়োজন করেছে।

শিক্ষক উম্মে সালমা সুলতানা বলেন, অবসর গ্রহণের ৫ বছর পর আজ আমাদের অনেকেরই বিদায় সংবর্ধনা। একইসাথে নতুন শিক্ষকদের সংবর্ধনা দেওয়া হচ্ছে। কলিগদের অনেকের সঙ্গে দেখা হবে, কথা হবে- শুধুমাত্র এই কারণেই তড়িঘড়ি করে ঝিকরগাছায় আসা। অনুষ্ঠানে আসতে পেরে খুবই ভালই লাগছে। এবার পবিত্র হজ্জে যাবো; সকলের সাথে দেখা হওয়ায় আনন্দ লাগছে।

কামারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. রুহুল আমিন অবসর গ্রহণ করেন ২০১১ সালে। ১৯৭৪ সালে তিনি শিক্ষকতা পেশায় আসেন। ১৯৭২ সালে এসএসসি পাশ করে প্রথমে চৌগাছার গরিবপুর স্কুলে যোগ দেন। এরপর শিয়ালঘোণা এবং শেষে কামারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। তিন ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে কেউই শিক্ষকতা পেশায় আসেননি। তবে, মেয়েজামাই একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। অবসর গ্রহণের এক যুগ পরে বিদায় সংবর্ধনা হওয়াতেও ভাল লাগছে। অন্তত যেসব শিক্ষক সহকর্মী ছিলেন, তাদের সঙ্গে দেখা হলো, আলাপ হলো- এটিই বা কম কীসে।

অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের পাশাপাশি একই অনুষ্ঠানে নবাগত শিক্ষকদের সংবর্ধনা দিয়েছে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি ঝিকরগাছা উপজেলা শাখা।

রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলা পরিষদের উন্মুক্ত মঞ্চে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের বিদায় সংবর্ধনা ও নবাগত শিক্ষকদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।

এই সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি সাহিদ হাসান শামীম।

অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত নবাগত সহকারী শিক্ষক লাবণ্য আকতার বলেন, আজ একদিকে যেমন বিদায়ের বেদনা, তেমনই নতুনদের আহ্বানও। দুই জেনারেশনের শিক্ষকদের যেন এক মহামিলন ঘটেছে। এই অনুষ্ঠানে আসতে পেরে নিজেকে বেশ ধন্য মনে হচ্ছে, খুশি লাগছে – এ এক অন্যরকম অনুভূতি।

লাবণ্য আকতার চলতি বছরের জানুয়ারিতে সহকারী শিক্ষক হিসেবে ঝিকরগাছার মহম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগ দিয়েছেন। যশোর সরকারি এমএম কলজ থেকে পদার্থবিদ্যায় অনার্স ও মাস্টার্স করেছেন। তার চাচা, বড়ভাই, বোনসহ আটজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বলে জানান। মহান এই পেশায় আসতে পেরে খুশি তিনি।

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল আহমেদ বলেন, ২০১১ সালে আমরা সর্বশেষ শিক্ষকদের বিদায় সংবর্ধনা ও নবাগতদের সংবর্ধনার আয়োজন করেছিলাম। দীর্ঘ ১২ বছর পর আবারও এই আয়োজন করতে পেরে ভাল লাগছে। এ্ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শিক্ষকদের একটা মিলনমেলা হয়। এবার ১০০ জন শিক্ষককে বিদায় সংবর্ধনা, যার মধ্যে ৪১জন প্রধানশিক্ষক এবং ৫৯ জন সহকারী শিক্ষক রয়েছেন। এছাড়া নবাগত ৪৬ শিক্ষককে সংবর্ধনা দেওয়া হচ্ছে।

সংবর্ধিত শিক্ষকদের প্রত্যেককে (বিদায়ী) একটি করে সম্মাননা স্মারক, নগদ চার হাজার করে এবং দুপুরে খাবারের ব্যবস্থা করা হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে শিক্ষকদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানঅতিথি হিসেবে যশোর-২ আসনের সংসদ সদস্য মে.জে. (অব.) অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দীন ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন। তিনি শিক্ষকতার মতো মহান এই পেশার সাথে সম্পৃক্তদের সকলের মঙ্গল কামনা করে বলেন, আপনারাই মানুষ গড়ার কারিগর। জাতি গঠনে আপনাদের ভূমিকা অপরিসীম।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুবুল হক, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুস সালাম, ঝিকরগাছা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান লুবনা তাক্ষী, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম রেজা, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সেহেলী ফেরদৌসী প্রমুখ বক্তৃতা করেন

সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : আসন্ন রমজান মাসকে সামনে রেখে কৃত্রিম সংকট এড়াতে এবং সাতক্ষীরায় পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে জেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে গঠিত ভ্রাম্যমান আদালতের একটি টিম ভোমরা স্থলবন্দরের তিনটি প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে। এছাড়া পেঁয়াজ, রসুনসহ সকল প্রকার মজুদকৃত পন্য রমজানের আগেই বাংলাদেশের বিভিন্ন বাজারে বিপননের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। রবিবার ভোমরা স্থলবন্দরের বিভিন্ন পেয়াজের গুদামে এ অভিযান পরিচালনা করেন, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল আমিন। এসময় সেখানে আরো উপস্থিত ছিলেন, ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক নাজমুল হাসান, র‌্যব-৬ এর সাতক্ষীরার কোম্পানি কমান্ডার মেজর গালিব, ভোমরা বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার শামীম হোসেনসহ সঙ্গীয় ফোর্স।
নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল আমিন এ সময় বলেন, গোডাউনে পেয়াজ মজুদ রেখে রমজানকে সামনে রেখে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির একটি চেষ্টা চলছে। যার ফলে খোলা বাজারে মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই খবরে বন্দরের বিভিন্ন গুদামে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে সতর্কতা হিসেবে ব্যবসায়ীদের রমজানের আগেই মজুদকৃত পেঁয়াজ, রসুনসহ সকল প্রকার মজৃদকৃত পণ্য বাজারে বিপননের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তিনটি প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এর মধ্যে শুভ ট্রেডার্স এর মারিক বিকাশ মন্ডলকে ১০ হাজার টাকা, এস.আর এন্টারপ্রাইজের মালিক শাহিনুর রহমানকে ১৫ হাজার টাকা ও নুর এন্টারপ্রাইজের মালিক মিজানুর রহমানকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ১৫ মার্চ থেকে ভারত থেকে পেঁয়াজের আমদানী বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এতে অস্থিরতা বেড়েছে বন্দর এলাকার ব্যবসায়ী ও আমদানীকারকদের মাঝে। ইতোমধ্যে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অতিরিক্ত মূনাফা পাবার আশায় পেঁয়াজের মজুদ করে রেখেছে। ফলে দেশের বাজারে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ থাকা স্বত্তেও সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম।

মোংলায় ভূমিদস্যুর বিরুদ্ধে গ্রামবাসীর বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি : কৃষি জমি ও চিংড়ি ঘের জবরদখলের প্রতিবাদে মোংলায় বিক্ষোভ প্রদর্শন এবং মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগী গ্রামবাসী। রবিবার সকালে উপজেলা পরিষদের প্রধান গেইটের সামনে অন্যের জমি জবরদখলকারী আওয়ামী লীগ নেতা সালাম শেখের বিরুদ্ধে এ কর্মসূচী পালন করেন ভুক্তভোগী নারী-পুরুষেরা। উপজেলার সুন্দরবন ইউয়িনের ভূক্তভোগী শত-শত নারী-পুরুষ এতে অংশ নেন। পরে জবরদখল করে রাখা প্রায় ১০০ একর কৃষি জমি ও চিংড়ি ঘের উদ্ধারে/ফিরে পেতে এবং এর প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেন তারা। সালাম শেখ উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

ভূক্তভোগী এলাকাবাসী বিক্ষোভ প্রদর্শন ও মানববন্ধনে অভিযোগ করে বলেন, জবরদখলকারী সালাম শেখ এলাকার একজন চিহ্নিত ভূমিদস্যু। সুন্দরবন ইউনিয়নের অনেকেরই কৃষি জমি ও চিংড়ি ঘের দীর্ঘ একযুগের বেশি সময় ধরে জোরপূর্বক দখলে নিয়ে সালাম সেখানে চিংড়ি ঘের করে আসছেন। জমির মালিকদের হারির/লিজের টাকা না দিয়েই জোর করে তিনি বছরের পর বছর ধরে জমি দখলে রেখে চিংড়ি চাষ করছেন। জমির মালিকেরা তাদের জমির হারির/লিজের টাকা চাইতে গেলে টাকা না দিয়ে ও জমি দখল না ছেড়ে উল্টো নানা ধরণের হুমকি-ধামকিসহ ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছেন বলেও অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। তাই নিতান্তই নিরুপায় হয়ে তারা রবিবার সকাল ১০টায় উপজেলার সামনে জমি ও বিগত বছরগুলোর হারির/লিজের টাকা ফেরত পেতে এবং এর প্রতিকার চেয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শনসহ মানববন্ধন করেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগও দেন তারা।

এ বিষয়ে সালাম শেখের দাবী তিনি কারো জমি জবরদখল করেননি। হারির/লিজের টাকা পরিশোধ করেই কৃষি জমি ও চিংড়ি ঘের ভোগ করছেন তিনি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) দীপংকর দাশ বলেন, সালাম শেখের বিরুদ্ধে এর আগেও অভিযোগ পেয়েছেন তিনি। তাই দুই পক্ষকে ডেকে বিষয়টির সমাধানের চেষ্টা করা হবে, অন্যথায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

মহানগর শ্রমিক লীগের স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

বিজ্ঞপ্তি : মহানগর শ্রমিক লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক শ্রমিক নেতা মরহুম আবুল কাশেম মোল্লার ২য় মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম শেখ সোহরাব হোসেনের ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় দলীয় কার্যালয়ে মহানগর শ্রমিক লীগের উদ্যোগে স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা। বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বাবু শ্যামল সিংহ রায়। সভাপতিত্ব করেন মহানগর শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মোতালেব মিয়া। পরিচালনা করেন মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক রনজিত কুমার ঘোষ।

বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন মল্লিক নওশের আলী, মোঃ বাবুল হোসেন, মোল্লা মাহাবুবুর রহমান, কাজী আঃ ওহাব, আব্দুর রহিম খান, মোঃ শাহিন আহমেদ, মোল্লা আজাদ আলী, আঃ রশিদ শিকদার, মোঃ জয়নাল আবেদীন, মোঃ আলাউদ্দিন, মোঃ আসাদুজ্জামান মুন্না, মোঃ মারুফ হোসেন, খন্দকার রফিকুল ইসলাম, মোঃ হাবিবুর রহমান হাবি, মোঃ শাহ আলম শেখ, মোঃ মঈনুল ইসলাম মোহন, শেখ মোঃ রমজান, মোঃ মনিরুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ আল মামুন, মোঃ আলমগীর মল্লিক, মোঃ রফিকুল ইসলাম, মোঃ বাবুল হোসেন, মোঃ আক্তার হোসেন, মোঃ শরিফুল, বিপ্লব কুমার দে, মোঃ হানিফ সরদার, মোঃ নূর ইসলাম, সঞ্জয় কর্মকার, ঝুমুর বেগম, মাজেদা বেগম, মোঃ বায়জিত সরদার, মোঃ আসলাম হোসেন, মোঃ সেলিম ফরাজি, মোঃ আঃ মান্নান, মোঃ এবাদ আলী শেখ, মোঃ মহরাজ, পান্না সরদার, মোঃ তৈয়ব আলী হাওলাদার, মোঃ আল আমিন ফরাজি, আঃ হাকিম, মোঃ সোহেল গাজী, বিপ্লব কুমার রায়, মোঃ সলেমান শিকদার, মোঃ সেলিম, মোঃ আল আমীন কবির, মোঃ শাহাবুদ্দিন মোল্লা, মোঃ সাদ্দাম হোসেন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

সভা শেষে মরহুম আবুল কাশেম মোল্লা, মরহুম শেখ সোহরাব হোসেন, হাসেম ফরাজী, মহানগর শ্রমিক লীগের শরীফ মোর্ত্তজা আলীর চাচীর  বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন আব্দুর রহিম খান।