প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকল ধর্মের মানুষের অধিকার নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছেন-নারায়ণ চন্দ্র চন্দ এমপি

ফুলতলা (খুলনা) প্রতিনিধি// সাবেক মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা দেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মান এবং কওমী মাদ্রাসাকে স্বীকৃতি প্রদান করেছেন। সকল ধর্মের মানুষের প্রতি তাঁর সমান ভালবাসা রয়েছে। তিনি সকল ধর্মের মানুষের অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। ফুলতলার গাড়াখোলা দক্ষিণ-পশ্চিমপাড়া দফাদার পুকুর বটতলা ময়দানে বুধবার বিকালে জানাযার নামাজের স্থানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিষ্ঠানের সভাপতি মোঃ নূর মোহাম্মদ সরদারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মৃনাল হাজরা, সাবেক শিক্ষক সমিতির সভাপতি বিশ^নাথ ঘোষ, সাবেক ইউপি সদস্য আঃ গণি গাজী, বণিক নেতা এস রবীন বসু, প্রধান শিক্ষক তাপস কুমার বিশ্বাস ও আব্দুল হাই গাজী। আঃ হাকিম বিশ্বাসের পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন আনোয়ার হোসেন বিশ্বাস, প্রদ্যুৎ কুমার বিশ্বাস, শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের সভাপতি মাহাবুব বিশ্বাস, মোঃ রোস্তম গাজী, মোঃ আতিয়ার রহমান বিশ্বাস, মোঃ শাহাজান গাজী, মোঃ আমজাদ আকুঞ্জী, ইউপি সদস্য মোঃ কামরুজ্জামান, হাজী ইউনুচ মোল্যা, সাবেক ইউপি সদস্য কবির মহলদার, টিটো বিশ্বাস প্রমুখ। পরে তিনি গাড়াখোলা দক্ষিণপাড়া কে এম এস ঘের মালিক সমিতির লিঃ এর সভাপতি মোঃ ইলিয়াস শেখ ও সাধারণ সম্পাদক লাভলু গাজীসহ নেতৃবৃন্দের সাথে খাল ও রাস্তা সংস্কার এবং বিদ্যুতের দাবিতে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন।

 

মুজিব শতবর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার জমিসহ ঘর পেলেন ফুলতলার ৭০ পরিবার

ফুলতলা (খুলনা) প্রতিনিধি// চতুর্থ পর্যায়ের ফুলতলা উপজেলার ভ‚মিহীন ও গৃহহীন ৭০ পরিবার পেলেন মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের বিনামূল্যে জমিসহ ঘর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার বেলা ১১ টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন উপজেলার ভ‚মিহীন ও গৃহহীনদের জন্য নির্মিত ৪র্থ পর্যায়ে জমিসহ ঘর প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

প্রধানমন্ত্রীর উপহার কর্মসূচির অংশ হিসেব সকাল ১১টায় ফুলতলা উপজেলা শহীদ হাবিবুর রহমান মিলনায়তনে ভ‚মিহীন ও গৃহহীন ৭০ পরিবারের মাঝে ঘর ও জমির দলিল আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার খোশনূর রুবাইয়াৎ এর সভাপতিত্বে হস্তান্তর অনুষ্ঠানের অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) মোহাম্মদ ইউসুফ, ডাঃ উত্তম কুমার দেওয়ান, প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ শেখ মোঃ তৌহিদুল ইসলাম, উপজেলা প্রকৌশলী ইয়াছিন আরাফাত, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা এস এম কামরুজ্জামান, সমাজসেবা কর্মকর্তা শাহীন আলম, নিবাচন কর্মকর্তা এস এম রোকনুজ্জামান, ইউপি চেয়ারম্যান সরদার মনিরুল ইসলাম, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সেলিনা খাতুন, বীজ কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফাতেমা বেগম, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহানাজ বেগম, প্রেসক্লাব সভাপতি তাপস কুমার বিশ্বাস, উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি শামসুল আলম খোকন, পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা নাদিয়া সুলতানা, রিসোর্স ইন্সটেক্টর মোঃ রুহুল আমিন, এসআই শফিকুল ইসলাম প্রমুখ। এ সময় অনুষ্ঠানের সভাপতি ইউএনও খোশনূর রুবাইয়াৎ ফুলতলা উপজেলার আলকা ও দামোদর মৌজায় নব নির্মিত ৭০টি ঘরের দলিল ভ‚মিহীন ও গৃহহীদের মধ্যে হস্তান্তর করেন।

দাকোপে উলাসীর দক্ষতা উন্নয়নে কর্মশালা অনুষ্ঠিত

দাকোপ প্রতিনিধি : দাকোপে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা উলাসী সৃজনী সংঘের উদ্যোগে নারীর ক্ষমতায়ন (উই প্রকল্পের) আওতায় সংশ্লিষ্ট সুবিধাভোগী, জনপ্রতিনিধি এবং দাপ্তরিক কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার বেলা ১১ টায় দাকোপ উপজেলা পরিষদ অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মুনসুর আলী খান। উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি পাপিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় স্বাগত বক্তৃতা করেন উলাসীর নির্বাহী পরিচালক খন্দকার আজিজুল হক মনি। প্রকল্পের পরিচিতি ও বর্ণনা তুলে ধরেন রিজিওনাল কো-অর্ডিনেটর মোঃ আনিছুজ্জামান। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে আলোচনা করেন ইউপি চেয়ারম্যান বিনয় কৃষ্ণ রায়, পঞ্চানন মন্ডল, মাসুম আলী ফকির, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সুরাইয়া সিদ্দিকা, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আমজাদ হোসেন, শিক্ষা অফিসার সুমন্ত কুমার পোদ্দার, কৃষি সম্প্রসারন অফিসার কামরুল হাসান, প্রাণী সম্পদ সম্প্রসারন কর্মকর্তা শামিম আরা হক, দাকোপ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আজগর হোসেন ছাব্বির, সাংবাদিক মামুনুর রশিদ, সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা বাদল কৃষ্ণ সাহা, সমবায় দপ্তরের সহকারী লস্কর সাহাবুর, নারী নেত্রী শামসুন্নাহার লিপি, রওশন আরা বেগম, রেবতী ঘরামী, ববিতা রায়, উলাসীর উপজেলা ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর ব্রজেন্দ্রনাথ শীল প্রমুখ।

অবশেষে কমছে হজের খরচ

ইউনিক ডেস্ক : হজের খরচ হাজার ১১ হাজার ৭২৫ টাকা কমে নিবন্ধনের সময় বাড়ল ২৭ মার্চ পর্যন্ত। পরিবর্তিত প্যাকেজে আজ (বুধবার) থেকে নিবন্ধন চলবে।

আজ বুধবার (২২ মার্চ) দুপুরে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ-১ শাখার উপ সচিব আবুল কাশেম মোহাম্মদ শাহীন এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য সব দেশের জন্য সৌদি আরব মিনায় ‘এ’, ‘বি’ ও ‘সি’ ক্যাটাগরির তাবুর খরচ বাবদ ৪১৩ সৌদি রিয়াল কমিয়েছে। বাংলাদেশি টাকায় যা ১১ হাজার ২৭৫ টাকা। যারা ইতোমধ্যে পুরাতন ফি অনুযায়ী নিবন্ধন করেছেন তাদের পরবর্তীতে খাবারের টাকার সঙ্গে টাকা ফেরত দেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে হজযাত্রীদের নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু হয়। নির্ধারিত কোটা পূরণ না হওয়ায় চতুর্থ দফায় নিবন্ধন চলছে।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজযাত্রী প্রাক-নিবন্ধন সিস্টেমের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩ সালে হজে যেতে ইচ্ছুক ২ লাখ ৪৯ হাজার ২২৪ জন প্রাক-নিবন্ধন করেছিলেন। এদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধন করেছিলেন ৮ হাজার ৩৯১ জন। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধন করেছিলেন ২ লাখ ৪০ হাজার ৮৩৩ জন।

মঠবাড়িয়ায় দশ দিনে নারী-পুরুষ সহ ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত প্রায় শতাধিক

মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি : ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় বৃদ্ধি পাচ্ছে ডায়েরিয়া। দূষিত পানি ও বাসি-পঁচা খাবারের জন্য এ ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। মঠবাড়িয়ায় গত দশ দিনে নারী-পুরুষ-শিশুসহ প্রায় শতাধিক লোক ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানাগেছে, গত দশ দিনে ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে শিশুসহ প্রায় শতাধিক নারী-পুরুষ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে অধিকাংশই নারী। ডায়েরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে চিকিৎসা নেয়া রোগিরা হলো উপজেলার তাফালবাড়িয়া গ্রামের আঃ হকের পুত্র রফিকুল ইসলাম, দক্ষিণ মিঠাখালী গ্রামের আলাউদ্দিনের স্ত্রী আখি, ফজলুল হকের শিশু কন্যা আমেনা, মৃত আলী হাসানের পুত্র ইউসুফ, হামিদুর রহমানের ১৩ মাসের পুত্র সাইফুদ্দিন, দাদন আলীর পুত্র জামাল হোসেন, হেমায়েত এর পুত্র সোহেল, আঃ কুদ্দুসের পুত্র আল আমিন, আদম আলীর পুত্র মোঃ লাল মিয়া, ইসাহাক আলীর স্ত্রী কহিনুর বেগম, সৈয়দের পুত্র সাইদুর রহমান, হালিমের স্ত্রী খাদিজা বেগম, দেবীপুর গ্রামের কান্ত হাওলাদারের পুত্র মনিন্দ্র হাওলাদার, উত্তর রাজপাড়া গ্রামের আঃ রাজ্জাকের স্ত্রী আয়শা আক্তার, পাঁচশত কুড়া গ্রামের বজলু মিয়ার স্ত্রী কমলা বেগম, ঘটিচোরা গ্রামের মাসুমের স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগম, দক্ষিণ বড় মাছুয়া গ্রামের ইমান উদ্দিন পুত্র আঃ মান্নান হাওলাদার, জিয়াউরের ১৬ মাসের কন্যা জান্নাতি, সাপলেজা গ্রামের আল আমিনের চার মাসের শিশু কন্যা আরিফা, শাখারীকাঠীর সুজন রায়ের স্ত্রী স্মৃতি রানী, উত্তর মিঠাখালীর ফারুক হাওলাদারের ছয় মাসের শিশু সন্তান ফাহাদ, দক্ষিণ বন্দরের রুবেল মাতুব্বরের আট মাসের পুত্র রাফসান, পাতাকাটা গ্রামের জসিমের ৬ মাসের শিশু কন্যা ফাতেমা, মাঝেরপুলের ছগিরের ১৯ মাস বয়সের পুত্র আঃ রহমান, চরকগাছিয়ার মনিরের স্ত্রী সালমা, উদয়তারা বুড়িরচর গ্রামের মোকলেসের স্ত্রী শেফালী বেগম, তুষখালী গ্রামের ছরোয়ার হাওলাদারের স্ত্রী নূরুন্নাহার, সেনের টিকিকাটা গ্রামের সাইফুল ইসলামের ১৯ মাসের পুত্র আরিয়ান, পূর্ব সেনের টিকিকাটা গ্রামের ওয়াজেদ হাওলাদারের স্ত্রী ফরিদা বেগম, পশ্চিম সেনের টিকিকাটা গ্রামের হাসেম আলীর পুত্র আলমগীর, লক্ষণা গ্রামের শাহাদাৎ খানের স্ত্রী রুনু বেগম, খেজুরবাড়িয়া গ্রামের সুশীলের ১৪ মাসের পুত্র সুদীপ, ঝাটিবুনিয়া গ্রামের মোতাহার হাওলাদারের স্ত্রী মরিয়ম, বাইশকুড়ার শিপনের ৭মাসের কন্যা সিফা, কালিরহাটের রাসেলের স্ত্রী কুলসুম বেগম, ঘোপখালী গ্রামের আঃ রশিদের পুত্র এমাদুল হক, আঃ রশিদের পুত্র ছগির, ছগিরের পুত্র সিফাত, সবুজনগরের ওয়াজেদ আলীর পুত্র সোবহান ফরাজী, আলতাফের স্ত্রী পারুল বেগম, বাদল হাওলাদারের স্ত্রী মানসুরা বেগম, ৩নং ওয়ার্ডের হাফেজের স্ত্রী নাজমা, দধিভাংগা গ্রামের জাকির হোসেনর পুত্র জিহাদ, রাজপাড়ার আনোয়ারের পুত্র মাহিম, বড় মাছুয়ার মনিরুজ্জামানের সাড়ে চার মাসের কন্যা সেফা, বেতমোরের আজিজ হাওলাদারের পুত্র মোজ্জাম্মেল, উত্তর সোনাখালীর ইউসুফের পুত্র রুম্মান, ঘোষের টিকিকাটা গ্রামের খলিল মিয়ার স্ত্রী মর্জিনা, সূর্যমনি গ্রামের আলিমের স্ত্রী তাজিনুর, শহিদের স্ত্রী জেবুন্নেছা, হুমায়ূনের ১৫ মাসের পুত্র জারিফ, পশ্চিম টিকিকাটা গ্রামের খলিলুর রহমানের স্ত্রী আলেয়া, বড় হারজী গ্রামের মোহাম্মদ হাওলাদারের পুত্র সামসুল হক, কালিকাবাড়ির মামুন হাওলাদারের ৮ মাসের পুত্র সিয়াম, মানিকখালীর রাসেলের ৮ মাসের পুত্র রাইয়ান, ফিরোজের ১৯ মাসের কন্যা ফারিয়া, কচুবাড়িয়া গ্রামের কালু বেপারীর পুত্র সাদিকুল, হোগলপাতি গ্রামের বাদশা মিয়ার ৯ মাসের পুত্র আরিফ, বুখইতলার মামুনের স্ত্রী তানিয়া, মিরুখালীর জাহিদুলের এক বছরের পুত্র ইস্রাফিল, বড় শৌলা গ্রামের নূরুল ইসলামের কন্যা আয়শা, হলতা গ্রামের নূর হোসেনের ১৬ মাসের পুত্র হাফিজুর, বড় মাছুয়া গ্রামের লাল হাওলাদারের পুত্র পারভেজ হাওলাদার, মধ্য রাজপাড়ার মৃত চান মিয়ার স্ত্রী হালিমা বেগম, নলি গ্রামের হোসেনের পুত্র আবু হানিফ, চরকখালী গ্রামের আঃ রশিদের পুত্র নূরুল হোসেন, ছোট মাছুয়ার শাহজাহানের পুত্র সজিব, টিকিকাটার রাজু মুন্সী স্ত্রী লিলি বেগম, নিজামের পুত্র সুমন, সদর ইউনিয়নের রুবেলের ৮ মাসের পুত্র মাহিম, দক্ষিণ সোনাখালী গ্রামের আঃ লতিফের স্ত্রী পিয়ারা, ডৌয়াতলা গ্রামের আবু হানিফের ৬ মাসের পুত্র নাঈম, ছোট শিংগা গ্রামের কালামের ৬ মাসের কন্যা আয়েশা, রাজপাড়ার বেলায়েত আকনের স্ত্রী মালা বেগম, গুলিশাখালীর মনিরের স্ত্রী হালিমা, মানিকখালীর মৃত সত্তারের পুত্র মনসুর আহমেদ, কাকড়াবুনিয়ার আছমত আলীর পুত্র আঃ রব, গোলবুনিয়া গ্রামের আলামিনের ১৭ মাসের কন্যা আফিফা, ভাইজোড়া গ্রামের আল আমিনের ১১ মাসের পুত্র আরাফ ও পাশর্^বর্তী পাথরঘাটা উপজেলার লেমুয়া গ্রামের রাসেলের ১৫ মাসের পুত্র হাসিবুল হাসান।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ ফেরদৌস ইসলাম জানান, দূষিত পানি ও বাসি-পঁচার কারণে ডায়েরিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি সকলকে ফোটানো বিশুদ্ধ পানি পান ও বাসি-পঁচা খাবার না খাওয়ার জন্য পরামর্শ দেন।

নড়াইলে বাঁশের সাঁকোই পারাপারের শেষ ভরসা

লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি : নড়াইল সদরের সরশপুর এলাকায় মানুষের পারাপারের শেষ ভরসা চিত্রা খালের ওপর নির্মিত বাঁশের সাঁকো।
৫২ বছর ধরে একটি পাকা সেতুর অভাবে যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এখানকার চার ইউনিয়নের প্রায় ৪৫ হাজার মানুষ। বর্ষা এলে দুর্ভোগ আরও বেড়ে যায় । ঝড়বৃষ্টিতে বিপজ্জনক হয়ে ওঠে সাঁকো পারাপার।
স্থানীয়রা এখানে একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। দাবি পূরণ না হওয়ায় স্কুলশিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষকে ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এ ছাড়া কৃষিপণ্য আনা-নেওয়ায়ও পোহাতে হয় দুর্ভোগ। বছরের পর বছর ধরে একটি ব্রিজের অপেক্ষায় এলাকবাসীর।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মরা চিত্রা নামের এ খালের উৎপত্তি মাগুরার শালিখা উপজেলার গড়েরহাট মোড়ে কাজলা নদী থেকে। পরে সেটি নড়াইল সদর উপজেলার মাইজপাড়া ও শাহাবাদ ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। সেখান থেকে চণ্ডীবরপুর ইউনিয়নের রতডাঙ্গা ত্রিমোহনীতে গিয়ে চিত্রা নদীতে মিশেছে এ মরা চিত্রা। এই খালের ওপর প্রায় ১০ ফুট পরপর দুটি করে বাঁশের খুঁটি। এমন ১৮ খুঁটির ওপর দাঁড়িয়ে আছে বাঁশের সাঁকোটি। ধরার জন্য আড়াআড়িভাবে দুই পাশে দুটি বাঁশ বেঁধে রাখা হয়েছে।
নড়াইল সদর উপজেলার শাহাবাদ ইউনিয়নের সরশপুর এলাকায় এই খালের দুই পাড়ে রয়েছে মাইজপাড়া ইউনিয়নের ছয়টি এবং শাহাবাদ ইউনিয়নের আটটি গ্রাম। রয়েছে মাইজপাড়া, সরশপুর, শাহাবাদ ও ধোন্দার মোড়ে চারটি হাটবাজার, একটি কলেজ, তিনটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও পাঁচটি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ফলে ব্যবসায়ী, কৃষক, চাকরিজীবী, শিক্ষার্থীসহ দুর্ভোগ পোহাতে হয় এসব গ্রামের হাজার হাজার মানুষকে।
যাতায়াতের জন্য এলাকাবাসী নিজেরাই সাঁকোটি তৈরি করেছেন বলে জানালেন খালের পশ্চিম পাড়ের চরবিলা গ্রামের বাসিন্দা আবু তালেব মোল্যা। এসময় আক্ষেপ নিয়ে তিনি বলেন, কত নেতারে বল্লাম। কতবার চেয়ারম্যানদের বলছি। এখানে একটা পাকা সেতু বানিয়ে দিলে আমাদের কষ্ট কমে যায়। তারা শুধু বলে দেখতিছি। বুঝার পর থেকে ৫২ বছর শুধু শুনেই গেলাম কিন্তু ব্রিজ আর হলো না।
দুই পাড়ের কয়েকজন বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দেশ স্বাধীনের পর এলাকার মানুষ ঝুঁকি নিয়ে এভাবেই চলাচল করছেন। এ সময়ে খালের দুই পাড়ের বিভিন্ন এলাকায় উন্নয়নের অনেক ছোঁয়া লেগেছে। বদলে গেছে এলাকার চিত্র। বদলায়নি কেবল বাঁশের সাঁকোটি।
স্থানীয়রা জানায়, নড়বড়ে এই সাঁকো পার হতে অনেক সময়ই শিশুরা পা পিছলে পানিতে পড়ে যায়। স্কুলগামী শিশুদের কথা বিবেচনা করে হলেও খালের ওপর একটি সেতু নির্মাণ করার দাবি তাদের।
এই খালের পূর্ব পাড়ে সরশপুর এলাকায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এক শিক্ষার্থী তাওসিফ নুর আয়ান জানায়, তার বাড়ি খালের পশ্চিম পাড়ের আড়ংগাছা গ্রামে। স্কুলে আসার সময় সাঁকো পার হতে ভয় লাগে।
নড়াইলের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহির মেহেদী হাসান বলেন, ওই জায়গায় একটি সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে। ঠিকাদারও নিয়োগ করা হয়েছে। খুব দ্রুত সময়ে কাজ শুরু হবে বলে জানান তিনি।
মাইজপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান জসিম মোল্যা এবং শাহাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, এখানে সেতু নির্মাণে তাদের চেষ্টার কোনো কমতি নেই। এতে গ্রামের মানুষের দুর্ভোগের বিষয়টি তারা গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। কিন্তু সেতু নির্মাণের মতো বরাদ্দ তাদের নেই। এখানে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) মাধ্যমে সেতু বাস্তবায়ন করতে হবে। এখানে একটি পাকা সেতু নির্মাণের দাবী স্থানীয়দের।

বন রক্ষায় সবাইকে শপথ নিতে হবে: বন উপমন্ত্রী

মোংলা প্রতিনিধি : পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার বলেছেন, ‘মার্চ স্বাধীনতার মাস, আমাদের অনেক কিছু অর্জনের মাস। তাই স্বাধীনতার এই মাসে দেশের বন ও বনভূমি রক্ষায় আমাদের সবাইকে দৃঢ়ভাবে শপথ নিতে হবে।’

মঙ্গলবার ‘সুস্থ শরীর সুস্থ মন, যদি থাকে সমৃদ্ধ বন’ প্রতিপাদ্যে আন্তর্জাতিক বন দিবস ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে বন অধিদফতরে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

গাছ লাগানোর পরামর্শ দিয়ে উপমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বন অধিদফতর অনেক নতুন বন সৃজন করেছে। এ কাজে সরকারের পাশাপাশি খালি ও পতিত জায়গায় জনগণকেও গাছ লাগাতে হবে। বন রক্ষায় সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে বন বিভাগের কর্মকর্তাদের।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ বলেন, ‘সবার সুস্থভাবে বেঁচে থাকার স্বার্থেই বন রক্ষায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে। জলবায়ু পরিবর্তন রোধেও বৃক্ষের অবদান অপরিসীম। স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বনের গুরুত্ব অনুধাবন করে প্রাচীনকাল থেকেই অসুস্থদের হাওয়া বদলের জন্য পরামর্শ দেওয়া হতো। তাই আমাদের সবাইকে গাছ লাগাতে হবে এবং বনভূমি রক্ষা করতে হবে।

বন দখল রোধে দখলকারীদের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য বনরক্ষীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বৃক্ষরোপণে সচেতনতা বাড়াতে আমাদের সবাইকে কাজ করতে হবে।’

বন অধিদফতরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন, অতিরিক্ত সচিব ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির সহ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান প্রমুখ।

বক্তব্য দেন আইইউসিএন এশিয়া রিজিয়নের সাবেক পরিচালক ড. মোহাম্মদ জাকির হোসেন এবং সামাজিক বন উইংয়ের উপপ্রধান বন সংরক্ষক মো. মঈনুদ্দিন খান। বিষয়ভিত্তিক উপস্থাপন করেন আরণ্যক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এ জেড এম মঞ্জুর রশিদ এবং বন বিভাগের উপপ্রধান বন সংরক্ষক মো. জাহিদুল কবির।

অনুষ্ঠানে সামাজিক বনায়নের নারী-পুরুষ উপকারভোগীদের মাঝে ৩১ লাখ ৫৭ হাজার টাকার চেক বিতরণ করা হয়। এ ছাড়া এ দিবস উদযাপন উপলক্ষে চিত্র ও বন্য প্রাণী প্রদর্শনের আয়োজন করা হয়।

মাগুরায় বাস দুর্ঘটনায় নিহত ১

মাগুরা প্রতিনিধি : মাগুরা সদরে যাত্রীবাহী বাস ও মালবাহী গাড়ির সংঘর্ষে একজন নিহত এবং ১১ জন আহত হয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে যশোর-মাগুরা সড়কের জাগলা তেল পাম্পের সামনে এ ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় নিহত সজীব মালবাহী গাড়িটির চালক। তার বাড়ি মাগুরা শ্রীপুর উপজেলার মান্দারতলা গ্রামে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মাগুরা রামনগর হাইওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘আহতদের মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত সজীবের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।’

শার্শা ও চুয়াডাঙ্গায় ১৫ স্বর্ণের বারসহ আটক ৩

বেনাপোল প্রতিনিধি : শার্শা ও চুয়াডাঙ্গায় ১৫ স্বর্ণের বারসহ ৩জনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

মঙ্গলবার সকালে শার্শা সীমান্ত এলাকা থেকে ১ কেজি ৫৬৫ গ্রাম ওজনের ১৩টি স্বর্ণের বারসহ কামরুল ইসলাম (৩০) নামে এক পাচারকারীকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

খুলনা ২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানভীর রহমান জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গোগা সীমান্তের জব্বারের মোড় এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কামরুল ইসলামকে তল্লাশি করে ১ কেজি ৫৬৫ গ্রাম ওজনের ১৩টি স্বর্ণের বার জব্দ করা হয় এবং তাকে আটক করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, জব্দ করা স্বর্ণের আনুমানিক বাজার মূল্য ১ কোটি ৩১ লাখ টাকা।

অপরদিকে চুয়াডাঙ্গায় অর্ধকোটি টাকার দুটি স্বর্ণের বারসহ জিয়ারুল ইসলাম (৩০) ও কামাল হোসেন (৪২) নামে দুই চোরাকারবারীকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের কোমরে এ স্বর্ণ লুকানো ছিল।

সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে জীবননগর উপজেলার ইসলামপুর গ্রাম থেকে দুটি স্বর্ণের বারসহ তাদের আটক করা হয়। পুলিশ জানায়, ভারতে পাচার করার উদ্দেশে পাচারকারীরা স্বর্ণ নিয়ে ইসলামপুর গ্রামে অবস্থান করছিলেন। খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে সেখানে অভিযানে যায় পুলিশ। এসময় মোটরসাইকেলে করে দুজনকে সীমান্তের দিকে যেতে দেখে সন্দেহ হলে তাদের দেহ তল্লাশি করা হয়। তল্লাশিতে তাদের কোমরে দুটি স্বর্ণের বার পাওয়া যায়। এসময় সোনার পাশাপাশি পাচারে ব্যবহৃত তাদের মোটরসাইকেলটিও জব্দ করা হয়। উদ্ধার করা দুটি স্বর্ণের বারের ওজন প্রায় ৫০ ভরি (৫৮২ গ্রাম) যার বাজার মূল্য প্রায় ৫০ লাখ টাকা।

সাতক্ষীরায় ইঞ্জিন ভ্যানের চাকায় পিষ্ঠ হয়ে কিশোর নিহত

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় ইঞ্জিন ভ্যানের চাকায় পিষ্ট হয়ে সাইকেল চালক এক কিশোর নিহত হয়েছে। গত সোমবার রাত ১০টার দিকে সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল এলাকায় সম্রাট প্লাজা হোটের সামনে সাতক্ষীরা-যশোর মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে। নিহত কিশোরের নাম মো. পারভেজ (১৫)। সে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের পরানদহা গ্রামের মোঃ আমিরুল ইসলামের ছেলে।

পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, কিশোর পারভেজ সাতক্ষীরা শহরের নিউমার্কেট মোড় এলাকা থেকে সাইকেল চালিয়ে বাড়ির দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে রাত ১০ টার দিকে শহরের পলাশপোল এলাকায় সম্রাট প্লাজা হোটের সামনে সাতক্ষীরা-যশোর মহাসড়কে পৌঁছালে দ্রুত গতির একটি ইঞ্জিনভ্যান তাকে চাপা দিয়ে চলে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎস্যক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থলে একজন পুলিশ অফিসারকে পাঠানো হয়েছে। সাইকেল চালক কিশোরকে চাপা দিয়ে ইঞ্জিন ভ্যানটি পালিয়ে গেছে।