খুলনায় ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালিত

খুলনা : খুলনায় ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসের আলোচনা সভা আজ (শনিবার) সকালে জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীনের সভাপতিত্বে তাঁর সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশন মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।

সভার শুরুতেই ২৫ মার্চ কালো রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে গণহত্যার শিকার সকল শহিদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন ও এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি খুলনা সিটি কর্পোরেশন মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক তাঁর বক্তব্যের শুরুতে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারকে সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন। তিনি আরও স্মরণ করেন ২৫ মার্চ কালো রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে গণহত্যার শিকার সকল শহিদদের। তিনি বলেন, জাতির পিতার আন্দোলন সংগ্রামের কারণে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। ১৯৫২ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করেছেন।

তিনি আরো বলেন, বাঙ্গালি জাতিকে চিরতরে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী অপারেশন সার্চলাইট নামে নিরস্ত্র বাঙ্গালির উপর নির্বিচারে গণহত্যা চালায়। এটি ছিলো একটি প্রজন্মকে ধ্বংস করে দেওয়ার এক নারকীয় পরিকল্পনা। কিন্তু বাঙ্গালি জাতির সৌভাগ্য যে বঙ্গবন্ধু সেই শোষণ ও অত্যাচার থেকে বাঙ্গালি জাতিকে মুক্ত করেছেন। তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিকে সংরক্ষণের ব্যাপারে জোর দেন এবং এ বিষয়ে আরো প্রচেষ্ঠা চালানো হবে বলে মত প্রকাশ করেন।

সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিভাগীয় কমিশনার মোঃ জিল্লুর রহমান চৌধুরি, কেএমপির পুলিশ কমিশনার মোঃ মাসুদুর রহমান ভূঞা, খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মোঃ আতিকুর রহমান মিয়া, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মোঃ আলমগীর কবির, সরদার মাহাবুবার রহমান প্রমূখ। সভায় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, মুক্তিযোদ্ধা ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, সভায় প্রধান অতিথি দাকোপ উপজেলার মুক্তিযুদ্ধের ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সম্বলিত ‘বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ৭১ এর আত্মকথন’ বই এর মোড়ক উন্মোচন করেন।

ভারতকে হারিয়ে আশা বাঁচিয়ে রাখলো বাংলাদেশ

ক্রীড়া প্রতিবেদক : ভুটানকে উড়িয়ে দিয়ে সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু করলেও দ্বিতীয় ম্যাচে রাশিয়ার কাছে হেরে ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল বাংলাদেশ।

চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আশা বাঁচিয়ে রাখতে ভারতের বিপক্ষে জয়ের বিকল্প ছিল না স্বাগতিক মেয়েদের। শুক্রবার কমলাপুর স্টেডিয়ামে বাঁচা-মরার সেই লড়াইয়ে ভারতকে ১-০ গোলে হারিয়ে আশা বাঁচিয়ে রাখলো গোলাম রব্বানী ছোটনের দল।

প্রথমার্ধ গোলশূন্যভাবে শেষ হওয়ার পর ৭৪ মিনিটে ভারতের আখিলা রাজনের আত্মঘাতী গোলে বাংলাদেশ এগিয়ে যায়। জ্যোতির ক্রস হেডে ক্লিয়ার করতে গেলে নিজেদের জালে বল পাঠিয়ে দেন ভারতীয় ডিফেন্ডার।

বাংলাদেশ প্রথমার্ধেই এগিয়ে যেতে পারতো। ৬ মিনিটে বা প্রান্ত দিয়ে পূজা দাস বল নিয়ে ভারতের বক্সের ভেতরে ঢুকে গড়ানো ক্রস করেন। সেই বলে ঠিকঠাক পা লাগাতে পারেননি সুলতানা।

১৬ মিনিটে বাংলাদেশ ডিফেন্ডার রুমা বল বিপদমুক্ত করতে পারেননি। তার ভুলে বল নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন ভারতের পূজা। তিনি আগুয়ান বাংলাদেশ গোলরক্ষক সঙ্গীতার মাথার ওপর দিয়ে বলটি তুলে দেন। কিন্তু কপাল ভালো বাংলাদেশের, বলটি পোস্টের সামান্য বাইরে দিয়ে চলে যায়।

৪০ মিনিটে বক্সের ভেতরে সুরভী বল পেয়ে বা পায়ে ঠিকঠাক শট সেটা গোল হতে পারতো। কিন্তু বল চলে যায় পোস্টের ওপর দিয়ে।

তিন ম্যাচে বাংলাদেশের এটি দ্বিতীয় জয়। অন্যদিকে দুই ম্যাচে ভারতের প্রথম হার। বাংলাদেশ শেষ ম্যাচ খেলবে নেপালের বিপক্ষে ২৮ মার্চ।

কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম

ইউনিক ডেস্ক : কমতে শুরু করেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। খামার পর্যায়ে ১৯০-১৯৫ টাকা কেজি দরে ব্রয়লার মুরগি বিক্রির ঘোষণা দেওয়ার পর খুচরা বাজারে পণ্যটির দাম কমতে শুরু করেছে।

শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ব্রয়লার মুরগি ২৪৫-২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সোনালি মুরগির দামও কিছুটা কমেছে। প্রতি কেজি ৩৫০-৩৬০ টাকা। গতকাল বৃহস্পতিবার যেখানে ব্রয়লার মুরগি ২৬০-২৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর সোনালি মুরগির দাম ছিলো ৩৬০-৩৮০ টাকা।

কারওয়ান বাজারে গিয়ে দেখা যায়, মুরগির দোকানে ভিড় তুলনামূলক কম। রমজানে অধিকাংশ রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকায় মুরগির চাহিদা কমে গেছে। সবজির বাজারেও ক্রেতা কম। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতার সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে।

বিক্রেতারা জানান, ব্রয়লার মুরগি ২৫০ টাকা ও সোনালি মুরগির দাম ৩৬০ টাকার বিক্রি হচ্ছে। বাজারের অনেক জায়গায় ২৪০-২৫০ টাকায় ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করতে দেখা যায়। আরিফ নামে একজন ক্রেতা জানান, তিনি ২৪৫ টাকা দরে দুটি মুরগি কিনেছেন।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাহিদা কমে যাওয়ায় দাম কমেছে। তারা জানান, আগের তুলনায় তাদের বিক্রি কমে গেছে। এ অবস্থায় দাম আরও কমতে পারে বলে জানান তারা।

বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) এফবিসিসিআইয়ের বোর্ডরুমে ‘রমজান উপলক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি, মজুত, সরবরাহ ও বাজার পরিস্থিতি’ নিয়ে মতবিনিময় সভা হয়। এতে এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, শিগগিরই বাজারে মুরগি ও গরুর মাংসের দাম না কমালে সরকার এগুলো আমদানির পথে হাঁটবে। আর তখন এফবিসিসিআই আপত্তি জানাবে না।

চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বৃদ্ধকে জুতাপেটার অভিযোগ

ইউনিক ডেস্ক : চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শুকুর আলীর বিরুদ্ধে টিসিবির পণ্য চাওয়ায় খেদের আলী (৫০) নামের এক বৃদ্ধকে জুতাপেটা করার অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় বুধবার (২২ মার্চ) খেদের আলীর ছেলে সুজন আলী বাদী হয়ে তিতুদহ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দর্শনা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (২১ মার্চ) তিতুদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে টিসিবির মালামাল বিক্রি করা হচ্ছিল। এ সময় খেদের আলীর টিসিবির কার্ড না থাকায় চেয়ারম্যান শুকুর আলীর নিকট গিয়ে তেল কিনতে চান। এতে চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত হয়ে খেদের আলীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। একপর্যায়ে নিজের পায়ের জুতা খুলে তাকে মারধর করেন।

এ বিষয়ে বৃদ্ধ খেদের আলী বলেন, গত ইউপি নির্বাচনের সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমান টিপুর পক্ষে কাজ করায় তখন থেকেই চেয়ারম্যান শুকুর আলী আমার ওপর ক্ষিপ্ত। আমার কোনো টিসিবির কার্ড ছিল না। আমি ওইদিন (মঙ্গলবার) সকালে স্কুলের মাঠে চেয়ারম্যানের নিকট গিয়ে টিসিবির তেল কেনার কথা বলতেই আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। একপর্যায়ে জনসম্মুখে নিজের জুতা খুলে আমাকে মারধর করে আহত করেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের তথ্যমতে, গত মঙ্গলবার (২১ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বৃদ্ধ খেদের আলী মারধরের কারণে জরুরি বিভাগ থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে এ বিষয়ে জানতে দায়িত্বরত চিকিৎসক মোস্তাফিজুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান শুকুর আলী বলেন, বৃদ্ধ খেদের আলী কার্ড বাদে টিসিবির পণ্য নিতে আসায় আমি অসম্মতি জানাই। এ নিয়ে আমার সঙ্গে তার তর্কবিতর্ক হয়। বৃদ্ধ আমাকে গালিগালাজ শুরু করলে তাকে ‘জুতা দিয়ে মারার দরকার’ বলেছি কিন্তু তাকে মারধর করিনি।

তিনি আরও বলেন, প্রতিপক্ষরা আমার আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে এই মিথ্যা অভিযোগ ছড়াচ্ছে। তা না হলে কার্ড ছাড়া তিনি (খেদের আলী) মালামাল নিতে যাবে কেন?

থানায় অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান শুকুর আলী বলেন, সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার জন্য আমিও থানায় অভিযোগ দিয়েছি।

দর্শনা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএইচএম লুৎফুল কবীর বলেন, এ ঘটনায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করা দেখা হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গায় নির্বাচনী সহিংসতার ১৩ দিন পর আ.লীগ কর্মীর মৃত্যু

ইউনিক ডেস্ক : চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার নাগদহ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মারামারির ঘটনায় ১৩ দিন পর আহত দবির আলীর (৪০) মৃত্যু হয়েছে। তিনি নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী ছিলেন বলে জানা গেছে। শুক্রবার (২৪ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিহত দবির আলী ছেলে মোস্তাফিজুর খোকন।

তিনি বলেন, আমার বাবা নাগদহ ইউনিয়ন পরিষদের নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মতিয়ার রহমান হায়াতের কর্মী ছিলেন। গত ১১ মার্চ রাত ৮টার দিকে জহুরুলনগর গ্রামে আমার বাবাসহ কর্মীরা নির্বাচনী প্রচারণার কাজ করছিলেন। এ সময় পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী (বর্তমানে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত) নিজে উপস্থিত থেকে তার কর্মীদের দিয়ে হামলা চালান। এতে আমার বাবা দবির আলীসহ আমার কয়েকজন কর্মী আহত হন। রাতেই আমার বাবাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিউতে ভর্তি করা হয়। টানা ১৩ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে হেরে গেলেন বাবা। আমি এই হত্যার বিচার চাই। আজ রাতে কিংবা আগামীকাল মরদেহ ময়নাতদন্ত ও আইনি প্রক্রিয়া শেষে চুয়াডাঙ্গায় নিয়ে আসা হবে।

নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মতিয়ার রহমান হায়াত বলেন, জহুরুলনগর গ্রামে আমার কর্মীরা নির্বাচনী প্রচারণার কাজ করছিলেন। এ সময় পরিকল্পিতভাবে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী (স্বতন্ত্র) চশমা প্রতীকের এজাজ ইমতিয়াজ বিপুল নিজে উপস্থিত থেকে তার কর্মীদের দিয়ে আমার কর্মীদের ওপর হামলা চালান। দবির উদ্দিনসহ আমার কয়েকজন কর্মী আহত হন। ওই রাতেই দবিরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল আলিম বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মারামারিতে আহত দবির উদ্দিন আজ শুক্রবার সকালে রাজশাহী মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বলে জেনেছি। এ ঘটনার পূর্বে মারধরের মামলা করেছিলেন নিহতের ছেলে। নিহতের পরিবার হত্যা মামলা দায়ের করলে আমরা গ্রহণ করব।

উল্লেখ্য, গত ১১ মার্চ রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত আলমডাঙ্গা উপজেলার নাগদহ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইউনিয়নের জহুরুলনগর, বলিয়ারপুর নাগদহ গ্রামে আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী (স্বতন্ত্র) চশমা প্রতীকের এজাজ ইমতিয়াজ বিপুল ও নৌকার প্রার্থী মতিয়ার রহমান হায়াতের কর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় মারামারি ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে স্কুলছাত্রীসহ বিদ্রোহী প্রার্থীর তিনজন ও নৌকা প্রার্থীর দবিরসহ আটজন আহত হন। ওই রাতেই দবির উদ্দিনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। ১৩ দিন পর শুক্রবার সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

চাঁদের নিচে আলোর বিন্দু আসলে কী?

ইউনিক ডেস্ক : শুক্রবার সন্ধ্যায় এক অদ্ভুত দৃশ্য দেখে অবাক হয়েছে মানুষ। সূর্য ডুবতেই সেই দৃশ্যের সাক্ষী হলো অনেকেই। আকাশে উঠেছে সরু এক চাঁদ। আর তার নিচেই দেখা যাচ্ছে এক আলোর বিন্দু।

এমন দৃশ্য কবে দেখা গেছে, তা মনে করতে পারছেন না অনেকেই। সন্ধ্যা প্রায় ৬টা পর্যন্ত সেই আলোর বিন্দু একেবারে চাঁদের কাছেই অবস্থান করছিল। পরে দেখা যায়, আস্তে আস্তে সেই বিন্দু চাঁদ থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। তা দেখে এদিন থমকে যান চলতি পথের মানুষ। বাংলাদেশসহ পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সব জায়গা থেকেই সেই দৃশ্য দেখা গেছে।

কলকাতার ইনস্টিটিউট অব অ্যাস্ট্রোনমি স্পেস অ্যান্ড আর্থ সায়েন্সের ডিরেক্টর দেবী প্রসাদ দুয়ারী জানিয়েছেন, আসলে চাঁদের নিচে যে উজ্জ্বল বিন্দু দেখা যাচ্ছে, তা হলো শুক্রগ্রহ। পৃথিবীর নিরিখে মনে হচ্ছে যেন শুক্রের কাছে চলে এসেছে চাঁদ।

তিনি জানিয়েছেন, এদিন কলকাতার স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত যে অবস্থানে ছিল শুক্রগ্রহ, তা দেখে মনে হচ্ছিল যেন চাঁদ চাপা দিয়ে দিয়েছে শুক্রকে। তারপর আস্তে আস্তে শুক্রের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে। ফলে দেখে মনে হচ্ছে ওই উজ্জ্বল বিন্দু দূরে চলে যাচ্ছে।

কতদিন বাদে আবার এমন দৃশ্য দেখা যাবে, তা নির্দিষ্টভাবে বলা সম্ভব নয় বলেই মনে করছেন দেবীপ্রসাদ দুয়ারি।

তিনি আরও জানিয়েছেন, নিজের কক্ষপথে চলতে চলতে এভাবে গ্রহ বা নক্ষত্রের অবস্থান বদলায়। এটা তেমনই একটি ঘটনা। তাই আবার কবে দেখা যাবে, তা বলা সম্ভব নয়।

গোপালগঞ্জে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ, আহত ২০

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জে যাত্রীবাহী দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নারীসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। শুক্রবার সকালে সদর উপজেলার ভোজেরগাতী এলাকায় গোপালগঞ্জ-পয়সারহাট সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মেহরাব পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস পয়সারহাট থেকে ছেড়ে বেনাপোলের দিকে যাচ্ছিল। সকাল সোয়া ৬টার দিকে কুয়াশাচ্ছন্ন থাকায় বিপরীতমুখী ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা কোটালীপাড়াগামী দিগন্ত পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুটি বাসের সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায় এবং দুই বাসের চালকসহ অন্তত ২০ জন যাত্রী আহত হয়।

গোপালগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার শেখ মো. আরিফুল হক বলেন, ‘খবর পেয়ে গোপালগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে ২৫০-শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। এরমধ্যে গুরুতর আহত ৯ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া উন্নত চিকিৎসার জন্য দিগন্ত পরিবহনের চালক মো. বাদল শেখকে (৫০) ঢাকায় এবং সুপারভাইজার দিলীপ দাসকে (৩৫) খুলনায় পাঠানো হয়েছে।’

শ্যামনগরে ঝড়ে নিখোঁজ জেলের মরদেহ এখনো উদ্ধার হয়নি

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার শ্যামনগরে আকস্মিক টর্নোডোয় সীমান্তের কালিন্দি নদীতে নৌকা ডুবিতে নিখোঁজ জেলে রুহুল কুদ্দুস (৫০) এর মরেদহ এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। মরদেহ উদ্ধারের জন্য শুক্রবার সকাল থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত পুলিশ, বিজিবি ও কোষ্ট গার্ডসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা কালিন্দিী নদীতে অভিযান চালায়। নিখোঁজ জেলে রুহুল কুদ্দুস (৫০) সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার পূর্ব কৈখালী গ্রামের মৃত রমজান আলী গাজীর ছেলে।

কৈখালী ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিম জানান, শুক্রবার সকালে ভাটার সময় রুহুল কুদ্দুসের মৃতদেহ সীমান্তের কালিন্দি নদীর ভারতীয় অংশের শমসেরনগর বিএসএফ ক্যাম্পের সামনের চরে পড়ে ছিল। বিষয়টি শমসেরনগর বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা তাদেরকে নিশ্চিত করার পর ডুবুরী নিয়ে তারা ১৪-১৫ জনের একটি দল তার মরদেহ উদ্ধারের জন্য সেখানে যায়। কিন্তু সেখানে পৌঁছানোর আগেই জোয়ারের তোড়ে মৃতদেহটি আবার নদীতে ভেসে যায়। তিনি বলেন, তারা এখনো উদ্ধার অভিযানে রয়েছেন।

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে আকস্মিক টর্নেডোয় লন্ডভন্ড হয়ে যায় শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী ও রমজান ইউনিয়নের চারটি গ্রাম। এসময় শতাধিক বাড়িঘর সম্পূর্ণ এবং তিন শতাধিক বাড়িঘর আংশিক বিধ্বস্ত হয়। একই সময় কালিন্দি নদীতে নৌকা ডুবে তিন জেলে নিখোঁজ হয়। এর মধ্যে দু’জনকে নৌ-পুলিশ উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও পূর্ব কৈখালী গ্রামের মৃৃত রমজান আলী গাজীর ছেলে রুহুল কুদ্দুসকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আক্তার হোসেন জানান, রুহুল কুদ্দুসের মৃতদেহ ভাসতে দেখার খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে সেখানে পাঠানো হয়েছে। মরদেহ উদ্ধাওে অভিযান অবহ্যত রয়েছে।

সাতক্ষীরায় হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : ভ্যানযাত্রী মোমরেজুল হত্যা মামলার মূল আসামি মনিরুজ্জামান মন্টুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার ভোরে নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার সোনারায় ইউনিয়ন থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুুলিশ। শুক্রবার দুপুরে এক পেস্রব্রিফিং এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মীর আসাদুজ্জামান আসাদ।

তিনি বলেন, গত ১৯ মার্চ রাতে ভ্যানে চড়ে মোমরেজুলসহ চার জন যাত্রী আখড়াখোলা বাজার থেকে মোচড়া মোড়ে আসে। এ সময় ভ্যান চালক মিন্টু সবার কাছে অতিরিক্ত ৫ টাকা ভ্যান ভাড়া দাবি করে। এ নিয়ে মোমরেজুলের সাথে ভ্যানচালক মিন্টুর কথা কাটাকাটি হয় এবং দু’জনে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে মিন্টু তাকে উপর্যুপরি মারধর করে। গুরুতর আহত অবস্থায় মোমরেজুলকে প্রথমে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন ২০ মার্চ রাত সোয়া ১ টার দিকে মোমরেজুল মারা যায়। এ ঘটনায় নিহত মোমরেজুল ইসলামের ছেলে নাজমুল হোসেন রাশেদ বাদী হয়ে ঘাতক মিন্টুর নামে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এদিকে এ ঘটনার পর ভ্যানচালক মিন্টু ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে আত্মগোপন করে।

তিনি আরও জানান, মামলা দায়েরের ২৪ ঘন্টার মধ্যে থাতক মিন্টুকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সদর থানার থানা পুলিশের একটি চৌকসদল নীলফামারী জেলার ডোমার থানার সোনারায় ইউনিয়নের পূর্ব সোনারায় গ্রামের ঘাতক মিন্টুর খালাতো বোন বিউটি খাতুনের বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন। গ্রেপ্তাকৃত আসামিকে শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

কালীগঞ্জে বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে, হেলপারের মৃত্যু ও আহত ৬

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে যাত্রীবাহী বাস উল্টে খাদে পড়ে যুবকের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৬ জন যাত্রী। শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার কেয়াবাগান তেল পাম্পের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত যুবক ইব্রাহিম হোসেন মিজান ওই বাসের হেলপার ছিলেন। তিনি কালীগঞ্জ পৌরসভাধীন হেলাই গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে।

জানা গেছে, কেয়াবাগান তেল পাম্পের সামনে একটি মোটরসাইকেলকে সাইড দিতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে যায় বাসটি। দুর্ঘটনাকবলিত শাপলা পরিবহনের বাসটি যশোর থেকে যাত্রী নিয়ে কালীগঞ্জের দিকে আসছিল।

কালীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশনের লিডার রবিউল ইসলাম জানান, খবর পাওয়ার পর আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ছয়জনকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পৌঁছে দিয়েছি। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশংকাজনক।

কালীগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহিম মোল্লা হতাহতের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, একটি বেপরোয়া মোটরসাইকেলকে সাইড দিতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের উল্টে খাদে পড়ে বাসটি।