বিশ্বকবির স্মৃতি বিজড়িত দক্ষিণডিহিই আমাদের গর্ব-সাবেক মন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ এমপি

তাপস কুমার বিশ্বাস, ফুলতলা (খুলনা)// খুলনার ফুলতলার দক্ষিণডিহিতে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত শ্বশুরবাড়ি রবীন্দ্র কমপ্লেক্সে শুরু হলো ৩দিন ব্যাপী ১৬২তম রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী ও লোকমেলা। সোমবার বিকাল বেলুন উড়িয়ে ও ফিতা কেটে তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। খুলনা জেলা প্রশাসন আয়োজিত রবীন্দ্র কমপ্লেক্সের ছবেদা তলায় মৃণালিনী মঞ্চের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক মন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ এমপি। এ সময় তিনি বলেছেন, কবিগুরুর স্মৃতি বিজড়িত দক্ষিণডিহি আমাদের গর্ব। এর মাধ্যমে আমাদের সম্মান ও পরিচিতি সারা বিশে^ বৃদ্ধি পেয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কোন অঞ্চল কোন গোষ্ঠীর কোন সম্প্রদায়ের নয়। তিনি গোটা বাঙালী জাতির, গোটা বিশ্বের কবি। তার লেখনীর মাধ্যমে বাঙালী জাতিকে বিশে^র দরবারে স্থান করে দিয়েছে। এছাড়া রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃষ্টি সম্ভাব ও পরিমানে ও বৈচিত্রে বিপুল। তার শ্বশুরবাড়ি রবীন্দ্র কমপ্লেক্সকে খুব শীগ্রই আধুনিক ও পূর্ণাঙ্গ কমপ্লেক্সে রূপ দেয়া হবে।
খুলনা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মুকুল কুমার মৈত্র’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সম্মানিত অতিথি ছিলেন সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের যুগ্ন সচিব সুব্রত ভৌমিক। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন ফুলতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খোশনূর রুবাইয়াৎ। শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি বিএমএ সালাম, ওসি মোঃ আব্দুল হক, উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মৃনাল হাজরা। “ প্রান্তজনের রবীন্দ্রনাথ ” শীর্ষক আলোচনা করেন খুলনা বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ। অনুষ্ঠান উপস্থাপন করেন মিনা মিজানুর রহমান, অনুপম মিত্র ও ফারজানা ইয়াসমিন। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

 

 

ফুলতলায় শাহ সিমেন্ট ফ্যাক্টরী কর্তৃক রাস্তা নির্মান বন্ধের দাবিতে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর মানববন্ধন

ফুলতলা (খুলনা) প্রতিনিধি// ফুলতলায় শাহ সিমেন্ট কর্তৃক দামোদর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দুই ভবনের মধ্যবর্তী গ্রামীন রাস্তাটি ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহারের পায়তারা শুরু করেছে। শতবর্ষ বিজয়ী দামোদর এম,এম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দুই ভবনের মাঝ দিয়ে বারুইপাড়া এলাকার রাস্তাটি প্রশস্ত করে পরিকল্পিতভাবে শাহ সিমেন্ট কোম্পানী প্রকল্পটি অনুমোদনের পর তা বাস্তবায়ন করার প্রতিবাদ ও প্রকল্পটি প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন স্কুলের শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। সোমবার বেলা ১১টায় খুলনা-যশোর মহাসড়কের দামোদর স্কুলের সামনে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। এ সময় তারা ব্যক্তি স্বার্থে রাস্তা ব্যবহারের পায়তারার প্রতিবাদে ব্যানার ঝুলিয়ে শ্লোগান দেন। তারা বলেন, চলাচলের জন্য ফুলতলার পথের বাজার থেকে শাহ্ সিমেন্ট ফ্যাক্টরী পর্যন্ত বিকল্প রাস্তা আছে। তবুও স্কুলের পাশে রাস্তা প্রশস্ত করে ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহারের বিরুদ্ধে এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবাদ করে আসলেও ওই কোম্পানী সুকৌশলে প্রকল্প অনুমোদন করে বাস্তবায়নের চেষ্টা চালাচ্ছে। আবাসিক এলাকা ও স্কুলের পাশ দিয়ে এ ধরনের রাস্তা বিধি বর্হিভ‚তভাবে অনুমোদন করে। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ঐতিহ্যবাহি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদানসহ শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসির যাতাযাত ও পরিবেশের ব্যাঘাত ঘটবে। ওই রাস্তা দিয়ে সিমেন্ট বোঝাই ভারী যানবাহনের ধুলা ময়লায় শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্য ঝুকিতে পড়বে। যে কারণে স্কুল কর্তৃপক্ষ ও এলাকাবাসী উদ্বিগ্নœ। অবিলম্বে দামোদর হাই স্কুল এর পাশ দিয়ে রাস্তা নির্মানের কাজ বন্ধের আহবান জানান।

স্কুলেল সামনে খুলনা-যশোর মহাসড়কের দুইপাশে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি প্রফুল্ল কুমার চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে এবং নূর হোসেনের পরিচালনায় বক্তৃতা করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস মৃনাল হাজরা, ইউপি চেয়ারম্যান শরীফ মোহাম্মদ ভুঁইয়া শিপলু, প্রধান শিক্ষক এসএমএ হালিম, গাজী নওসের আলী, শ্রমিক নেতা আঃ মজিদ মোল্যা, আতিয়ার রহমান আকুঞ্জী, সরদার জাকির হোসেন, কামরুজ্জামান নান্নু, প্রভাষক গৌতম কুন্ডু, বণিক নেতা এস রবীন বসু, এস কে আলী ইয়াছিন, ইউপি সদস্য মোঃ শামীম সরদার, মোল্যা সুমন পারভেজ, নূর ইসলাম, মোছাঃ ডালিয়া বেগম, মিসেস কেয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা মনজেল সরদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা সুবোধ কুমার বসু, মনিরুল ইসলাম সরদার, ইদ্রিস সরদার, রবীন কুন্ডু, শেখর সুর, শেখ মাহাবুব হোসেন, জাহিদুল ইসলাম বিশ্বাস, মারুফ মোল্যা, কবির ফারাজি, শেখ নজরুল ইসলাম, ইদ্রিস গাজী, মহর সরদার, দীপ্তি রানী দত্ত, বিকাশ রায়, বিশ্বনাথ মন্ডল, আঃ কুদ্দুস মোল্যা, সরোয়ার সরদার, ফরহাদ হোসেন মোল্যাম সুব্রত বিশ্বাস, আকবর গাজী, হোসেল ফারাজি, সুমি খাতুনসহ স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী।