ফুলতলা রি-ইউনিয় স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষের শ্বশুরের মৃত্যুতে শোক

ফুলতলা (খুলনা) প্রতিনিধি// ফুলতলা রি-ইউনিয়ন স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ অজয় কুমার চক্রবর্তী শ্বশুর খুলনার একটি বেসরকারী হাসপাতালে শুক্রবার দুপুরে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যকালে তিনি স্ত্রী, এক পুত্র, দুই কন্যাসহ বহু আত্মীয় স্বজন রেখে যান। শুক্রবার সন্ধ্যায় চামারিয়া মহা শ্মশানে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। তিনি জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে বাগেরহাট জেলার শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান নির্বাচিত এবং স্কুল কলেজ ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন সামাজিক কাজে নিয়োজিত ছিলেন। তার আত্মার শান্তি কামনায় ও পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের সভাপতি আলহাজ¦ হাসান ইমামুল হক ভুইয়া, সদস্য মোল্যা হেদায়েত হোসেন লিটু, সহকারী প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন, খুকু কুন্ডুসহ শিক্ষকমন্ডলী।

 

ফুলতলায় মতলেব ফাউন্ডেশনের ছাগল ও ভ্যানগাড়ী বিতরণ

ফুলতলা (খুলনা) প্রতিনিধি// ফুলতলার আব্দুল মতলেব ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে দারিদ্র বিমোচন কর্মসূচির আওতায় অস্বচ্ছল ও অসহায়দের মাঝে ছাগল ও ভ্যানগাড়ী বিতরণ অনুষ্ঠান শুক্রবার বিকালে বরণপাড়া মনতাজের মোড়ে অনুষ্ঠিত হয়। ফাউন্ডেশনের সভাপতি আঃ জলিল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা জর্জ কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবি আবু ইউসুফ মোল্যা।

স্বাগত বক্তৃতা করেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মোঃ মোর্শেদ আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি শামসুল আলম খোকন, ইউপি সদস্য মোঃ শামীম সরদার, মিসেস ডালিয়া বেগম, আলহেলা মাদ্রাসার পরিচালক মাওঃ আঃ গফুর, প্রভাষক মাজহারুল ইসলাম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী æহুল কুদ্দুস লঙ্কস। অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন মাওঃ মাসুম বিল্লাহ, মোঃ ইদ্রিস আলী সরদার, মাওঃ আলী আকবর ফারাজি, প্রভাষক খায়রুজ্জামান সরদার, সাজ্জাদ শেখ, হাফেজ শামছুর রহমান মোল্যা, হাফেজ আজগর আলী, মাহবুবেু আজম, আকবর গাজী, প্রভাষক মোঃ সিরাজুল ইসলাম, মোঃ আলমগীর, ফরহাদ শেখ প্রমুখ। অনুষ্ঠান ৭ ব্যক্তিকে ছাগল, এক ব্যক্তিকে ইঞ্জিন ভ্যান, ৩ জনকে শিক্ষা সহায়তা ও ২ জনকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়। দোয়া মোনাজাদ পরিচালনা করেন আঃ রহমান।

কৃষক কষ্ট করে ফসল উৎপাদন করেও ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত -ওয়ার্কার্স পাটি নেতা বকুল

ফুলতলা (খুলনা) প্রতিনিধি// ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য ও কৃষক সমিতির কেন্দ্রীয় নেতা কম. নূর আহমেদ বকুল বলেছেন, বর্তমানে কৃষক সমাজ নানাভাবে অবহেলিত। যে কৃষক গায়ের ঘাম ঝরিয়ে ফসল উৎপাদন করে, তারাই ন্যায্য মূল্য পায় না। এক শ্রেণির পুুজিবাদিরা ফসল গিলে খেয়ে খাচ্ছে। এখানে সরকারি হস্তক্ষেপ করার কথা থাকলে সম্ভব হয় না। তিনি আরও বলেন, এদেশের মুক্তিযোদ্ধের সময় সর্বপ্রথম কৃষক সমাজ ঝাপিয়ে পড়েছিল। অথচ তাদের মূল্যায়ণ করা হয় না। এ ছাড়াও বিলডাকাতিয়ার খাল খনন, রাস্তা সংস্কার, ড্রেন ও বিদ্যুতের ব্যবস্থা চালু করে কৃষকদের সেচ ব্যবস্থার সুবিধা দেয়ার আহবান জানান। শুক্রবার বিকালে ফুলতলা সরকারি মহিলা কলেজ অডিটোরিয়ামে জাতীয় কৃষক সমিতি খুলনা জেলা শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

জাতীয় কৃষক সমিতি খুলনা জেলা শাখার আহবায়ক গৌরঙ্গ প্রসাদ রায়ের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ন আহবায়ক সন্দিপন রায়ের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির খুলনা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক কম. আনছার আলী মোল্যা, জাতীয় কৃষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক কম. দীপংকর সাহা দিপু, ওয়ার্কার্স পার্টির খুলনা মহানগর কমিটির সভাপতি কম. শেখ মফিজুল ইসলাম। অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন ইউপি চেয়ারম্যান সরদার মনিরুল ইসলাম, কৃষক নেতা সেলিম আক্তার সেলিম, রেজোয়ান আলী খান, সিরাজুল ইসলাম খান, সরদার আব্দুর রহমান, প্রভাষক গৌতম কুন্ডু, বিকাশ কুন্ডু, দেলোয়ার হোসেন দিলু প্রমুখ। সম্মলনে গৌরঙ্গ প্রসাদ রায়কে সভাপতি ও সন্দিপন কুমার রায়কে সাধারণ সম্পাদক করে ২৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষনা করা হয়।

বাগেরহাটে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ৩

বাগেরহাট প্রতিনিধি :বাগেরহাটের কচুয়ায় সরকারি সড়কের নারকেল গাছ নিলাম সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় নুর মোহাম্মাদ ও তার ছেলেসহ তিনজনকে কুপিয়ে আহত করেছে প্রতিপক্ষরা। বৃহস্পতিবার (১৯ মে) সকালে কচুয়া উপজেলার চরকাঠি মোড়ের চান্দু ওস্তার দোকানের সামনে এই মারধরের ঘটনা ঘটে। আহতদের বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহতরা হলেন, চরকাঠি গ্রামের মৃত হাশেম আলী শেখের ছেলে নুর মোহাম্মাদ শেখ (৬৫), তার ছেলে আলতাপ শেখ (৪১) ও আলতাপ শেখের ছেলে সজিব শেখ (১৫)।

জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আলতাপ শেখ বলেন, রাড়ীপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আমরা চরকাঠি থেকে পদ্মনগর পর্যন্ত নারকেল গাছ ইজারা নিয়েছি। ইজারা নেওয়ার পর দুইবার নারকেল পেড়েছি। স¤প্রতি পূর্বে যাদের ইজারা নেওয়া ছিল তারা আমাদের নারকেল পাড়ায় বাঁধা সৃষ্টি করে। বৃহস্পতিবার সকালে চরকাঠি মোড়ের চান্দুর দোকানে এই বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য ইতরুপসহ গন্যমান্য ব্যক্তিদের নারকেল গাছের বিষয়ে শোনাশুনির কথা ছিল। এই জন্য সকালে আমরা চরকাঠি যাই। এসময় নজরুল ইসলাম রাঙ্গার নেতৃত্বে তার ছেলে বাবু শেখ, আইয়ুব আলীর ছেলে মোহসীন শেখ, সালাম শেখের চেলে আনিস শেখ, সাবু শেখসহ ৭-৮জন আমাদের উপর অতর্কিত হামলা করে। তাদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আমার মাথা কেটে যায় এবং আমার বাবার হাত কেটে গেছে। আমার শিশু ছেলেকেও মেরেছে তারা।

আহত নুর মোহাম্মাদ শেখ বলেন, রাঙ্গা, মোহসিন ও তার লোকজন শুধু আমাদের নয়। এর আগেও বিভিন্ন সময় এলাকার অনেককে মারধর করেছে। এলাকায় নানা ধরনের অপরাধের সাথে জড়িত রাঙ্গা ও তার লোকজন। আমরা এই হামলার সঠিক বিচার চাই।

এদিকে নুর মোহাম্মাদ শেখ ও আলতাফ শেখের অভিযোগ অস্বীকার করে নজরুল ইসলাম রাঙ্গার ছেলে বাবু শেখ বলেন, নুর মোহাম্মাদ শেখ ও তার লোকজন আমার বাবার উপর হামলা করেছে। বাবা এখন বাড়িতে চিকিৎসাধীন আছেন।

রাড়ীপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমা আক্তার বলেন, যারা নারকেল গাছ ইজারা নিয়েছেন তাদেরকে মারধরের একটি খবর শুনেছি। এ বিষয়ে খোজ খবর নেওয়া হচ্ছে।
কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, মারামারির ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। কোনপক্ষ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

খুলনায় বিএনপি পুলিশের সংঘর্ষে লাঠিচার্জ ও টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ

খুলনা : খুলনায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (১৯ মে) বিকাল সোয়া ৪ টায় প্রেসক্লাব এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বিএনপির বিনা অনুমোতিতে রাস্তায় সমাবেশের আযোজন করে। পুলিশ তাদের জনগণের চলাচলে বিঘিœত না হয় সেজন্য বিএনপি নেতাকর্মীদের শান্তিপূর্নভাবে সমাবেস করতে বলায় কিছু উসৃঙ্খল কর্মী পুলিশের উপর ইটপাটকেল ছোড়ে। এতে বিশৃঙাখলা ঠেকাতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে । নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে এ সময় বেশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারগ্যাসও ছোড়া পুলিশ। পাল্টা জবাবে বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে। এতে বিএনপির অন্তত ১৫ থেকে ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়েছে ৩ জন। এছাড়া ৫/৭ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ১০ জনকে আটক করেছে বলে সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়।
সংঘর্ষের সময় পুলিশ গুলি ছুড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি নেতারা। তাদের দাবি দিঘলিয়া সেনাটি ইউনিয়ন বিএনপির ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মুজিবুর রহমান, ১২ নং ওয়ার্ড যুবদলের যুগ্ম-আহবায়কা জাহিদুর রহমান রিপন, পাইকগাছা উপজেলার যুবদল নেতা মোঃ তাজমুল হোসেনসহ বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
সরকারের পদত্যাগ, মামলা ও গণগ্রেপ্তার বন্ধ, সরকারের দুর্নীতির প্রতিবাদ এবং ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে প্রেস ক্লাব চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ আহ্বান করে বিএনপি। সমাবেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের একটি মিছিলে বাঁধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সুত্রপাত হয়।
খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন অভিযোগ করেন, বিনা উস্কানিতে পুলিশ সমাবেশ পন্ড করতে গুলি, টিয়ারগ্যাস ও লাঠিচার্জ করেছেন। অসংখ্য নেতাকমী আহত হয়েছেন। তাদের বিভিন্ন ক্লিনিকে নেওয়া হচ্ছে। অনেক নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
খুলনা সদর থানার ওসি হাসান আল মামুন জানান, অনুমতি ছাড়াই সমাবেশের চেষ্টা করছিল বিএনপি। তারাই পুলিশের ওপর হামলা করেছে।

২০ মে থেকে শুরু হচ্ছে সমুদ্রে মৎস্য আহরণে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা

শরণখোলা (বাগেরহাট) : বঙ্গোপসাগরে ২০ মে থেকে মৎস্য আহরণে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হচ্ছে। এই নিষেধাজ্ঞা থাকবে আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত। নিষেধাজ্ঞা সফল করতে তৎপর রয়েছে মৎস্য বিভাগ। কোনো জেলে নিষেদাজ্ঞা অমান্য করে সমুদ্রে গেলে জেল-জরিমানার পাশাপাশি তার নিবন্ধন বাতিল ও জাল-ট্রলার বাজেয়াপ্ত করা হবে বলে মৎস্য বিভাগ জানিয়েছে।
জেলে-মহাজন সূত্রে জানা গেছে, ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা তাদের জন্য চরম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এই নিষেধাজ্ঞায় সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের উন্নয়নের কথা বলা হলেও তা হচ্ছে না। কারণ নিষেধাজ্ঞার মধ্যে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় ভারতের জেলেরা প্রবেশ করে মাছ ধরে নিয়ে যায়। প্রতিবছর একই ঘটনা ঘটে। কখনোই তাদের মাছ ধরা বন্ধ করতে পারেনি। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশীয় জেলেরা।
শরণখোলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মো. আবুল হোসেন বলেন, নিষেধাজ্ঞা শুধু আমাদের দেশের জেলেদের জন্য। এই সুযোগে ভারতের জেলেরা আমাদের জলসীমার মধ্যে প্রবেশ করে অবাধে মাছ ধরে নিয়ে যায়। সরকার তাদের কখনোই ঠেকাতে পারে না। ভারতীয় জেলেদের মাছ ধরা বন্ধ করতে না পারলে আমাদের দেশের মৎস্য সম্পদের কোনো উন্নয়ন হবে বলে আমরা মনে করি না।
শরণখোলা উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা বিনয় কুমার রায় বলেন, ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত সামুদ্রিক মৎস্য প্রজাতির প্রজনন মৌসুম। মাছের নিরাপদ প্রজনেরর জন্য এই ৬৫ দিন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। এতে বেশ সুফল পাওয়ায় গেছে। যে কারণে প্রতিবছর এই সময় সমুদ্রে মাছ ধরা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। নিষেধাজ্ঞা সফল করতে তাদের প্রচারপ্রচারণা অব্যাহত রয়েছে।
জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা বিনয় কুমার রায় বলেন, শরণখোলায় সমুদ্রগামী নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা প্রায় তিন হাজার। এরা প্রত্যেকেই ৮৬ কেজি করে চাল পাবেন। জুনের মাঝামাঝি সময় এই চাল বিতরণ শুরু হবে।

প্রশান্ত মহাসাগরে ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা

আন্তর্জািতক ডেস্ক : নিউ ক্যালেডোনিয়ার লয়্যালটি দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণ-পূর্বে প্রশান্ত মহাসাগরে ৭.৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। আজ শুক্রবার ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পটি ৩৭ কিলোমিটার (২৩ মাইল) গভীরতায় আঘাত হানে। নিউ ক্যালেডোনিয়া, ফিজি এবং ভানুয়াতু অঞ্চলে সম্ভাব্য সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পের ১ হাজার কিলোমিটারের মধ্যে সুনামি হতে পারে বলে প্রশান্ত মহাসাগরীয় সতর্কতা কেন্দ্র জানিয়েছে।

হরিণাকুণ্ডুতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একজনের মৃত্যু

হরিণাকুণ্ডু (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি : ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে নিজের বাড়িতে বৈদ্যুতিক কাজ করার সময়ে শিলু মন্ডল (৪২) নামে একজনের মৃত্যুর হয়েছে। আজ শুক্রবার (১৯ মে) বেলা সাড়ে ১২ টায় দিকে উপজেলার ৬ নং ফলসী ইউনিয়নে কুলবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। নিতহ শিলু মন্ডল কুলবাড়িয়া মন্ডলপাড়া গ্রামের কুবাদ আলির ছেলে।

জানা গেছে, নিজের বাড়িতে বিকল হয়ে যাওয়া বৈদ্যুতের নানা ধরনের সুইচ ও ঘরের অইলিংক এর কাজ করছিল। এ সময় সে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় হরিণাকুণ্ডু হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হরিণাকুণ্ডু স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ জামিনুর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

হরিণাকুণ্ডু থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আবু আজিফ জানান,বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মৃত্যুর বিষয়টি আমরা অবগত হয়েছি। আমরা ঘটনাস্হল পরিদর্শন করেছি। এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।

খুলনার উন্নয়নে নৌকাকে আবারও বিজয়ী করতে হবে: তালুকদার আব্দুল খালেক

খুলনা : খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও আওয়ামী লীগ মনোনীত ১৪ দল সমর্থিত মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি খুলনার উন্নয়নে সবসময় আন্তরিক। তিনি সবসময় খুলনাবাসীর পাশে রয়েছেন। ইতিমধ্যে তার সরকারের দেয়া টাকায় নগরীর ১ থেকে ৩১ নং ওয়ার্ডের সাড়ে চারশত রাস্তার উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সেই সাথে ড্রেন, কালভার্ট, খাল  নদী খননসহ ব্যাপক উন্নয়ন কাজ হয়েছে। তিনি সুধিসমাবেশের উদ্দেশ্যে আরো বলেন, আপনারা বিগত দিনের ইতিহাস পর্যালোচনা করে দেখুন। খুলনার উন্নয়নে একমাত্র আওয়ামী লীগই কাজ করেছে। তাই উন্নয়নের স্বার্থে নৌকাকে আবারও বিজয়ী করতে হবে। তাকেই আপনার পবিত্র আমানত ভোট দিয়ে জয়ী করবেন যে আপনাদের সন্তানদের বসবাসের জন্য একটি নিরাপদ নগরী গড়তে পারবে। আমি বিশ্বাস করি একমাত্র আওয়ামী লীগ সরকারই আপনাদের একটি নিরাপদ ও বসবাসযোগ্য নগরী উপহার দিতে পারবে। তাই নগরীর উন্নয়নে আবারও নৌকাকে বিজয়ী করতে হবে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দৌলতপুরের শেখ মতিউর রহমান অডিটরিয়ামে নাগরিক, সাংবাদিক, ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক শেখ আব্দুল মান্নান। দৌলতপুর থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহিন জামান পনের পরিচালনায় এসময়ে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম বন্দ, শেখ সৈয়দ আলী, শহিদুল ইসলাম বন্ধ, মোজাম্মেল হক হাওলাদার অধ্যক্ষ দেলোয়ারা বেগম, কাউন্সিলর শেখ মোহাম্মদ আলী, নুরুল হক, সাইদ বন্ধ, রানা পারভেজ সোহেল, যুবলীগ নেতা বাচ্চু মোড়ল, ৩২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সোহেল সরদার, শাকিল বিন আলম, মিনু মির্জা, ঝরনা আক্তার বৃষ্টি, নুরজাহান আক্তার, সাংবাদিক রুহুল আমিন, ইজাজ আহমেদ, মিজানুর রহমান মিল্টন, শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের মহানগর দপ্তর সম্পাদক মোঃ মাহফুজুর আলম সুমন, সালাম মোড়ল, বাবলু নন্দ, সুমন দাস, সাংস্কৃতিক রাজনৈতিক বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।