খুলনায় রাতের আধারে খ্রীষ্টিয়ান ট্রাষ্টের জায়গা দখলের অভিযোগ

প্রকাশঃ ২০২৪-০২-১৩ - ০৯:৩৯

পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে

খুলনা মহানগরীতে ব্যাপ্টিষ্ট মিশনারীর জমি জোরপূর্বক দখল করে ঘর নির্মানের অভিযোগ উঠেছে। এ সময় সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ নির্মানাধীন ঘরের কাজ তাৎক্ষনিক বন্ধ করে দেয়। ঘটনাটি খুলনা নগরীর নতুন বাজার লঞ্চঘাট এলাকায় রবিবার সন্ধ্যা সাতটার সময়ে ঘটেছে। বর্তমানে নতুন বাজার খ্রীষ্টিয়ান গলিতে এ নিয়ে চাঞ্চল্যকর অবস্থা বিরাজ করছে।
ঘটনাসূত্রে, মিঠুন শেখ, পিতা: আব্দুল খালেক শেখ, মহিদুল, জামাল,আমির এবং জামিরসহ নাম না জানা আরো একাধিক লোকজন এসে জমি দখল করে ঘর নির্মানের চেষ্টা করেন। এ সময় খুলনা সদর থানায় ভুক্তভোগিরা অভিযোগ জানালে, পুলিশ ঘটনাস্থলে যেয়ে তাৎক্ষনিক ঘর নির্মানের কাজ বন্ধ করে দেয়। ব্যাপ্টিষ্ট মিশনারীর জমি অনেকটা ডোবা পুকুর। অভিযুক্তরা সে স্থানে বাঁশ দিয়ে নিচ থেকে উচু করে ঘর নির্মানের চেষ্টা করে। এলাকাবাসি বাধা দিতে আসলেও তারা শোনে না। পুলিশ আসলে ঘর নির্মানের সরঞ্জামাদি এবং নির্মান কাজে ব্যবহৃত বাঁশ ফেলে রেখে অভিযুক্তরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। খুলনার আঞ্চলিক ব্যাপ্টিষ্ট চার্চ সংঘের সভাপতি ও ল্যান্ড কমিটির কনভেনর মিথিলেশ বৈরাগীর দায়ের করা একটি অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, খুলনা ব্যাপ্টিষ্ট চার্চ সংঘের রুপসাস্থ নতুন বাজার খ্রীষ্টিয়ান গলির টুটপাড়া মৌজার সাবেক ৮নং খতিয়ানে লিখিত সম্পত্তি এস,এ ও বি,আর, এস—৮৬নং খতিয়ানের জমি ব্যাপ্টিষ্ট মিশনারীর নামে রেকর্ড রয়েছে। এ সম্পত্তিতেই রুপসা খ্রীষ্টিয়ান চর কলোনি এবং একটি চার্চ রয়েছে। এই ব্যাপ্টিষ্ট চার্চ সংঘের দখলে থাকা সম্পত্তিতে অবৈধভাবে মিঠুন শেখ (পিতা মৃতঃ মোঃ আব্দুল খালেক শেখ) জোর পূর্বক পাকা ঘরবাড়ী নির্মানের চেষ্টা করছে। কলোনিতে ব্যাপ্টিষ্ট চার্চ এবং ৫০/৬০ টি খ্রীষ্টিয়ান পরিবার চার্চের অনুমতি সাপেক্ষে সুদীর্ঘ ৪০/৫০ বছর বসতি নির্মান করে বসবাস করছে। কিন্তু মিঠুন শেখ উক্ত পরিবার সমূহের লোকজনকে নানান সময়ে কটু ভাষায় নানা ধরনের কথা বলেছেন এবং খারাপ আচারণ করেছেন। তথ্যসূত্রে জানা যায়, সংশ্লিষ্ট জমি সাবেক ৮নং দাগ এবং বি,আর,এস ৮৬ নং খতিয়ানের অন্তর্ভূক্ত। যা ব্যাপিষ্ট মিশনারীর দখলে থাকা জমি। এলাকাসূত্রে জানা যায়, ব্যাপিষ্ট মিশনারীর জমিতে বাদল মন্ডল এবং রতন মজুমদার নামে দুজনকে বসবাসের অনুমতি দেয় মিশনারী কর্তৃপক্ষ। কিন্তু মিশনারীর জায়গা দীর্ঘদিন ধরে দাবী করছেন মহিদুল। এ নিয়ে তার লোকজন বিভিন্ন সময়ে অপতৎপরতাও চালায়। মহিদুল বাহিনীর অপতৎপরতায় বাদল মন্ডল এবং রতন মজুমদার মিশনারীর দেয়া জায়গায় ঘর নির্মান করতে পারেননি। অন্যদিকে, রবিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে মহিদুল ও তার লোকজন জোরপূর্বক খ্রীষ্টিয়ান ট্রাষ্টের জায়গায় ঘর নির্মানের কাজ শুরু করে। এ সময় থানায় বিষয়টি জানালে তাৎক্ষনিক পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে নির্মান কাজ বন্ধ করে দেয়। এ বিষয়ে, মহিদুল এবং মিঠুন শেখের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাদেরকে পাওয়া যায়নি। খুলনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল হোসেন জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধ তৈরী হওয়ায় ঘটনাস্থলে ফোর্স পাঠিয়ে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। চলমান কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। দুই পক্ষই জমির দাবিদার হওয়ায় বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যাচাই—বাছাই করে ব্যবস্থা নিবেন। কিন্তু কোন প্রকার অপ্রিতিকর অবস্থা তৈরীর সম্ভাবনা থাকলে তাৎক্ষনিক আইনানুগ ব্যবস্থা পুলিশ নিবে বলে জানান।