আজগর হোসেন ছাব্বিরঃ করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিকে সামনে রেখে দাকোপের বাজুয়ায় অস্থায়ী হাসপাতাল নির্মান ও মেডিকেল টিম গঠন করে চিকিৎসা ব্যবস্থার দাবী জানিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন “আমরা দাকোপ বাসী”। জাতীয় সংসদের হুইপসহ স্থানীয় প্রশাসন দাবীর প্রতি ইতিবাচক সাড়া দেওয়ায় আশায় বুক বেধেছে ৫ ইউনিয়নের লক্ষাধীক মানুষ।
উপকুলিয় উপজেলা দাকোপবাসীর চিকিৎসা সেবার একমাত্র ভরসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। চারিপাশে নদী বেষ্টিত উপজেলাটি পৃথক ৩ টি পোল্ডারে বিভক্ত হওয়ায় উপজেলার ৩২ ও ৩৩ নং পোল্ডারের জনসাধারনের প্রতিকুল যোগাযোগ ব্যবস্থায় দীর্ঘ সময়ে উপজেলা হাসপাতালে আসতে হয়। যে কারনে সংকটাপন্ন রোগীদের অনেক সময় মাঝ পথেই দুঃঘটনার সম্মুক্ষিন হতে হয়। দু’টি পোল্ডারের মধ্যে অনুন্নত বৃহৎ দু’টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ৩২ নং পোল্ডার। অপরদিকে ৩৩ নং পোল্ডারটি ৫ টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। যেখানে জনসংখ্যা প্রায় লক্ষাধীক। ৫ ইউনিয়নের মধ্যে বাজুয়া বাজারটি উপজেলার দ্বিতীয় বৃহত্তম ব্যস্ততম বাণিজ্যিক বাজার। এখানে অধিক জনসংখ্যা এবং অবকাঠামোগত দিক দিয়ে বেশ এগিয়ে। এখানে প্রস্তাবিত বাজুয়া থানার জন্য জমি অধিগ্রহন করা আছে। বলা যায় ৫ ইউনিয়নের মানুষ উপজেলা সদরের পর বাজুয়াকে সকল কর্মকান্ডের প্রান কেন্দ্র মনে করে। যে কারনে দীর্ঘদিন যাবৎ বিশাল এই জনগোষ্টি বাজুয়ায় পৃথক একটি হাসপাতাল নির্মানের যৌক্রিক দাবী করে আসছে। সম্প্রতি দেশে করোনা ভাইরাসের প্রভাব ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় শিক্ষিত যুব সমাজের নেতৃত্ব সেক্সপিয়ার রায়, অসীম ঘরামী, গৌতম সরকারসহ আরও কয়েকজন মিলে আমরা দাকোপ বাসীর ব্যানারে করোনা মোকাবেলায় নানা সামাজিক কাজে এগিয়ে আসে। তাদের এই সৃষ্টিশীল জনকল্যানমুখী কাজে মুগ্ধ হয়ে এলাকাবাসী ব্যাপক সাড়া দেয়। ধীরে ধীরে তারা বাজুয়ায় করোনা পরিস্থিতি মাথায় রেখে অস্থায়ী হাসপাতাল নির্মান ও মেডিকেল টিম গঠন করে সাধারনের চিকিৎসা সেবা দেওয়ার একটি উদ্যোগ গ্রহন করে। তারই আলোকে ওই সংগঠনের ব্যানারে তারা মহান জাতীয় সংসদের হুইপ স্থানীয় এমপি পঞ্চানন বিশ্বাস, সংরক্ষিত আসনের এমপি এ্যাডঃ গ্লোরিয়া সরকার ঝর্ণা, খুলনা জেলা প্রশাসক, জেলা সিভিল সার্জন, দাকোপ উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে হাসপাতালের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে লিখিত আবেদন করে। সর্বশেষ তাদের দাবীর বিষয়ে হুইপের পক্ষ থেকে ইতিবাচক সাড়ার কথা জানিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে উদ্যোগটি বাস্তবায়নের সবুজ সংকেত দেওয়া হয়। খবরটি ছড়িয়ে পড়লে ওই ৫ ইউনিয়নের আপামর জনসাধারনের মাঝে এক ধরনের খুশীর আমেজ ছড়িয়ে পড়ে। তারা কেবল আশ্বাস নয়, ইতিবাচক সাড়ার বাস্তবায়ন দেখার অপেক্ষায় আছে।