চালনা পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদের ফলফল স্থগিত

প্রকাশঃ ২০২০-১২-২৯ - ১২:৫১

আজগর হোসেন ছাব্বির : চালনা পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত মেয়র প্রার্থী আবুল খয়ের খানের মৃত্যু জনিত কারণে মেয়র পদের নির্বাচনের ফলাফল স্থগিত করেছেন নির্বাচন কমিশন। তবে সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর ও সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীদের নির্বাচনের ফলাফল ঘোষনা করা হয়েছে।
খুলনা জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটানিং অফিসার এম মাজহারুল ইসলাম সুত্রে জানাযায়,গতকাল সোমবার সকাল ৮ থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরোতিহীন ভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ছিলো ১২ হাজার ১০০ ভোট। নির্বাচনে ৭৬.৬৬ ভাগ ভোট প্রদান করেছেন ভোটাররা।
নির্বাচন চলাকালে বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র সরজমিনে ঘুরে বিভিন্ন পদের প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, নির্বাচন চলাকালে ছোট খাটো দুই একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়াই দাকোপে চালনা পৌরসভার নির্বাচন শান্তি শৃংখলার সাথে সম্পন্ন হয়েছে।এই প্রথম বারের মত ইলেকট্রনিক ভোটিং (ইভিএম)এ ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ায় প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের কিছুটা বিড়ম্বনা সৃষ্টি হয়েছে বলে জানাগেছে। এদিকে দুই একটি ভোট কেন্দ্রে বিএনপির নেতাকর্মী ও এজেন্টেদেরকে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীর বাঁধার অভিযোগ এনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী আবুল খয়ের খানের ধানের শীষ প্রতীকের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট বিএনপি নেতা আব্দুল মান্নান খান দুপুর ২ টায় উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে তাৎক্ষনিক এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নির্বাচন বর্জনের ঘোষনা দেন। এদিকে বিএনপির মনোনীত মেয়র প্রার্থী আবুল খয়ের খানের পরিবার ও দলীয় নেতাকর্মী সুত্রে জানাযায়,আবুল খয়ের খান তার মেয়র পদের মনোনয়ন দাখিলের পূর্ব থেকেই তিনি অসুস্থ্য ছিলেন এবং পরবর্তীতে তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীনে ছিলেন। নির্বাচনের দিন ২৮ ডিসেম্বর সোমবার বিকাল ৩টা ২৫ মিনিটে তিনি ইন্তেকাল করেন।এদিকে বিএনপির মেয়র প্রার্থী আবুল খয়ের খানের মৃত্যু জনিত কারণে নির্বাচন কমিশন মেয়র পদের ফলাফল ঘোষনা স্থাগিত রাখেন। এ ছাড়া সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর ও সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীদের নির্বাচনের ফলাফল ঘোষনা করা হয়েছে। সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিল পদে বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন,তারা হলেন সংরক্ষিত কাউন্সিলর-১(১,২,৩)নং ওয়ার্ডে আমোদীনি রায় অটোরিক্্রা প্রতীকে ১০১৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন,তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি ছিলেন কনিকা রানী বৈরাগী চশমা প্রতীকে ৯২৭ ভোট পান। সংরক্ষিত কাউন্সিলর-২(৪,৫,৬)নং ওয়ার্ডে হাসিনা বেগম আনারস প্রতীকে ১৩০৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন,তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি ছিলেন মঞ্জু রানী ধর চশমা প্রতীকে ১০৫৭ ভোট পান। সংরক্ষিত কাউন্সিলর-৩(৭,৮,৯)নং ওয়ার্ডে নাসিমা বেগম আনারস প্রতীকে ১৪৯৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন,তার নিটকমত প্রতিদ্বন্দি ছিলেন রাধা রানী জোয়াদ্দার জবা ফুল প্রতীকে ১৩৬২ ভোট পান। সাধারণ কাউন্সিলর পদে বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত হলেন,১নং ওয়ার্ডে শুভংকর রায় উটপাখি প্রতীকে ২৮২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন,তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি ছিলেন দেবব্রত রায় টেবিল ল্যাম্প প্রতীকে ২৭৮ ভোট পান। ২নং ওয়ার্ডে আব্দুল বারিক শেখ ডালিম প্রতীকে ৮৮৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন,তার নিকটমত প্রতিদ্বন্দি ছিলেন বিলাশ বিশ্বাস উটপাখি প্রতীকে ৪৩৮ ভোট পান। ৩নং ওয়ার্ডে রোস্তম আলী খান উটপাখি প্রতীকে ৪৩৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন,তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি ছিলেন কৃষ্ণপদ বিশ্বাস ডালিম প্রতীকে ৩৪৫ ভোট পান। ৪নং ওয়ার্ডে আইয়ুব আলী কাজী উটপাখি প্রতীকে ৫৪৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন,তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি ছিলেন মাসুদ রানা পানির বোতল প্রতীকে ২৪৪ ভোট পান। ৫নং ওয়ার্ডে চয়ন সাহা উটপাখি প্রতীকে ৬৫৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন,তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি ছিলেন অসিত কুমার সাহা টেবিল ল্যাম্প প্রতীকে ২৭৬ ভোট পান। ৬নং ওয়ার্ডে সুধন্দ্রি নাথ বিশ্বাস মাখন টেবিল ল্যাম্প প্রতীকে ২৬৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন,তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি ছিলেন মিহির বিশ্বাস উটপাখি প্রতীকে ২০৯ ভোট পান। ৭নং ওয়ার্ডে মোঃ আব্দুস সত্তার সরদার ডালিম প্রতীকে ৪৮৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন,তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি ছিলেন দেবাষিশ ঢালী পানির বোতল প্রতীকে ৪৩১ ভোট পান। ৮নং ওয়ার্ডে এস এম আব্দুল গফুর সানা টেবিল ল্যাস্প প্রতীকে ৬৭৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন,তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি ছিলেন মোঃ শহর আলী শেখ পাঞ্জাবি প্রতীকে ৬৩৮ ভোট পান। ৯নং ওয়ার্ডে শেখ মেহেদী হাসান বুলবুল পানির বোতল প্রতীকে ৮৬৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন,তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি ছিলেন কমলেশ গোলদার উটপাখি প্রতীকে ১৭৭ ভোট পান।