গাইবান্ধায় অপসাংবাদিকদের ষরযন্ত্রের বলি সফল সাংবাদিক আতিক বাবু

প্রকাশঃ ২০২০-০৪-৩০ - ২১:৩৭

আশরাফুল ইসলাম, গাইবান্ধাঃ গাইবান্ধা জেলার সকলের পরিচিত মুখ। অতি সহজে মানুষকে আপন করে নেন। সোজা কথা মানুষকে বিশ্বাস করেন। আর মানুষের কাছে নিজের বিশ্বাস স্থাপন করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সাধারণ সম্পাদক ও গাইবান্ধা জেলা মটর মালিক সমিতির বার বার নির্বাচিত নেতা বাংলাভিশনের জেলা প্রতিনিধি আতিকুর রহমান (আতিক বাবু)। যিনি নিজেকে কারো কখনো পতিপক্ষ মনে করেনি সাধ্যমতো সকলকে সহকর্মী হিসাবে সহযোগীতা করেছেন। জেলা জুড়ে নিজের পরিচয়ে চলেন কারো ভায়া পরিচয়ে চলেন না। নিজ পরিচয়ে সাংবাদিক হিসাবে তিনি ব্যাপকভাবে পরিচিত মুখ। তার বড় দোষ সে কাউকে শত্রু মনে করে না। শত্রুকে বন্ধু মনে করে বুকে টেনে নেয়। শত্রুর আপদে বিপদে অনায়াসে এগিয়ে যায়। মানুষের অনুরোধে নানাভাবে মানুষের উপকার করে। আজ এই উপকার করতে গিয়ে ঘটেছে বিপত্তি। কখন যে তিনি ধার দেনায় পড়েছেন তা পরিশোধ না করায় আজ মামলার পর মামলা হচ্ছে একটি চক্রের উসকানীতে। এ চক্রটি অভিযোগ কারীকে যেমন প্রস্তুত করেছে তেমনি পুলিশ কে ফেলে বিব্রততে এক প্রকার ভিডিও বক্তব্য রয়েছে মর্মে অভিযোগের পর অভিযোগ দু দিন আগের বন্ধুরা আজ চরম শত্রুতে পরিণত হয়েছে। আসলে চক্রটি কি আতিক বাবুর বন্ধু না জাত শত্রু। এ চক্রটি নিজেদের অপরাধ ঢাকতে এবং তাদের অপরাধ প্রকাশ পাওয়ায় ও নিয়োমিত মামলা হওয়ার আক্রোশে একজন দেশপ্রেমী সফল সাংবাদিককে বিগত সময়ে মিমাংসিত বিষয় গুলো নিয়ে আজ মামলার পর মামলা দেওয়া হচ্ছে করা হচ্ছে মানহানী। এ চক্রটির চক্রান্তে এরা এক প্রকার জিম্মি করেছে পুলিশ প্রশাসন ও অন্যান্য আইন শৃংখলা বাহিনীকে গলায় ঝুলানো গণমাধ্যমের কার্ড নিয়ে।

আজ সে অনেকের কাছে অনেক রকমভাবে পরিচিত হচ্ছেন নিত্য নতুন সময়ে নানা অপবাদ আজ তার ঘাড়ে। বর্তমান সময়ে এই মানুষটির নামে তিনটা মামলা হয়েছে। আর এই মামলার বিষয় গুলো অতিত সময়ে মিমাংসিত বিষয় যা বিগত সময়ে তাদের মধ্যে আপোষ মিমাংসা করা হয়। কয়েক বছর আগের ঘটনা গুলোকে বর্তমান সময়ে রং ঢং লাগিয়েছেন। বর্তমান সময়ে সংঘবদ্ধ অপসাংবাদিক চক্রের মিথ্যাচার ও ষরযন্ত্রের বলি হয়েছেন এই আতিকুর রহমান আতিক বাবু। আর এ কারণে অবশেষে বাংলাভিশন হতে তাকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে।

এ যাবৎকালে সাংবাদিক আতিক বাবুর বিরুদ্ধে বা তাকে নিয়ে যত গুলো সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে তার একটিতেও আতিক বাবুর কোন মন্তব্য বা বক্তব্য কেউ দিতে পারেনি বা দেয়নি । এটি একটি বিরাট প্রমাণ তার বিরুদ্ধে ষরযন্ত্রকারিদের চক্রান্তের। আজ আমাদের যে সকল ব্যক্তি আতিক বাবুর বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছেন তাদের বলি আপনাদের জন্যও এই আতিক বাবু বহুবার গাইবান্ধার রাস্তা রাস্তায় নেমেছেন। আপনাদের সম্মানহানির প্রতিবাদ করেছেন। আপনাদের পাশে দাড়িয়েছেন। তিনি যদি অপরাধ করে থাকেন তবে শাস্তি তাকে পেতে হবে এটা নিশ্চিত তাই বলে তাকে নিয়ে নোংড়া ষরযন্ত্রে মেতে উঠবে তা তো মেনে নেওয়া যায় না।এই মানুষটিকে আত্তপক্ষ সমর্থনের কোন প্রকার সুযোগ না দিয়ে আপনারা ঢালাও ভাবে তাকে মহা অপরাধি হিসাবে তুলে ধরতে উঠে পড়ে লেগেছেন। এটা কি সাংবাদিকতা। অন্যায়ের স্বীকার ব্যক্তির সব অভিযোগ তুলে ধরতে মজা লাগে আর অভিযুক্ত ব্যক্তির বক্তব্য তুলে ধরতে খারাপ লাগে এটা কেমন সাংবাদিকতা। আপনারা অনেক বড় বড় পত্রিকা ও মিডিয়ায় কাজ করেন। বলুন তো যে কোন ঘটনায় ঢালাও এক পক্ষের অভিযোগের ভিক্তি কি কোন নিউজ করবেন না উভয়পক্ষের মন্তব্য নিবেন বা আত্তপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিবেন। আর এই সুযোগ না দেওয়ায় আমি মনে করি আজকের এই পরিস্থিতি একটি বিশাল ষরযন্ত্রেরি অংশ।

আজ এই প্রতিবেদনের ১ ম পর্ব করার পরে আমাকে নিয়েও অনেকজন অনেক ষরযন্ত্রে লিপ্ত হবেন। নানা কথা বলবেন জানা অজানা অপবাদ দিবেন। তাতে আমার কোন যায় আসে না। আর আমি অপসাংবাদিকদের ভয় পায় না। যারা সারাদিন টো টো করে ঘোড়ে অর্থের পিছে। কখনো মাইক্রো কখনো কার আবার কখনো মটরসাইকেলের শোভাযাত্রা করে। এ পেশাকে যারা কুলসিত করেছে তাদের ভয় পায় না সাংবাদিক আশরাফুল ইসলাম। এ ঘটনাটি নিয়ে থাকবে তিন পর্বের একটি বিশেষ প্রতিবেদন। গাইবান্ধায় আমাদের সাংবাদিকতা ও সাংবাদিক আতিক বাবু।