রিটন দে লিটন, চট্টগ্রাম: রেল মন্ত্রীর নির্দেশে পূর্বাঞ্চলের বাণিজ্যিক শাখার সহ প্রশাসনিক কর্মকর্তা জিয়াউর রহমানের বদলির আদেশ হলেও অদৃশ্য শক্তির কারণে তা বাস্তবায়ন করছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায় গত ৭ অক্টোবর রেলভবনের উপ-পরিচালক এস এম আখতার হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জিয়াউর রহমানের বদলির আদেশ হলেও বদলি ঠেকাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন রেলওয়ে ঠিকাদার হাওয়া ভবনের সদস্যরা।
জানা যায় পূর্বাঞ্চল রেলের জিএম সহ একাধিক ঠিকাদার জিয়াউর রহমানের বদলি ঠেকাতে তৎপর হয়ে উঠেছেন।
সম্প্রতি নানা অনিয়মের কারণে দুদকের তদন্তে জিয়াউর রহমানসহ কয়েকজন কর্মকর্তার অনিয়মের বিষয়টি নিশ্চিত হলেও কয়েক কোটি টাকার বিনিময়ে দুদক কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করেছেন বলে জানিয়েছেন রেলের একাধিক কর্মচারী।
রেল সূত্রে জানা যায় বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বাণিজ্যিক শাখার সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান এর ইশারায় চলে রেলের পূর্বাঞ্চলের কর্মকর্তারা। জিয়াউর রহমান মামুন সাবেক জোট সরকার আমলে হাওয়া ভবন সিন্ডিকেটের সক্রিয় সদস্য থাকাকালীন সময়ে রেলের সকল অবৈধ আয়ের টাকা পৌঁছে দেওয়ার কাজে লিপ্ত থাকার সুবাদে তারেক জিয়ার সাথে তাঁর ঘনিষ্ঠতার কারণে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল তথা বাংলাদেশ রেল অঙ্গনে তার রয়েছে এক অদৃশ্য প্রভাব।
বাণিজ্যিক বিভাগের সকল “দোকান – গুদাম – হোটেল রেস্টুরেন্ট লীজ দেওয়ার পাশাপাশি ক্যাটারিং ও রেলে বেসরকারি ট্রেন সরবরাহ বা নবায়ন সবকিছুরই জোট সরকারের আমল থেকেই নিয়ন্ত্রণ করে আসছেন জিয়াউর রহমান মামুন।
রেলওয়ে সূত্র আরো জানা যায় রেলওয়ে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে বেসরকারি ট্রেন ইজারা প্রতিবছর টেন্ডার দেওয়ার নিয়ম থাকলেও তা না করে পূণ নবায়নের মাধ্যমে হাওয়া ভবন সিন্ডিকেট সদস্যদের মাধ্যমে জোট সরকার আমল থেকে হাওয়া ভবনের ঠিকাদারদের মাধ্যমে পরিচালনা করার কারণে বাংলাদেশ রেল রাজস্ব বঞ্চিত হয়েছে প্রায় ২৮ কোটি টাকা।
রেলওয়ে সূত্রে আরো জানা যায় রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের একাধিক গুদাম ও দোকান ভাড়া সময় মত ইজারার টাকা সংগ্রহ না করায় রেলের কয়েক কোটি টাকা রাজস্ব বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে।
জানা যায় সম্প্রতি জিয়াউর রহমানের অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়টি রেলমন্ত্রীর নজরে আসায় তাকে রাজশাহী বদলি করা হলেও জিয়াউর রহমানের অনুসারী হাওয়া ভবনের সদস্য ঠিকাদাররা জিয়াউর রহমানের বদলি ঠেকাতে রেল মন্ত্রণালয়ে সাথে কোটি টাকার চুক্তি করার বিষয়টি জানা গেছে।
এ বিষয়ে বাণিজ্যিক বিভাগের এক কর্মচারী প্রতিবেদককে জানান দুদক এর সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে তদন্ত করা হলে জিয়াউর রহমানসহ পূর্বাঞ্চল রেলের একাধিক কর্মকর্তা কর্মচারীর শত কোটি টাকার অনিয়মের মাধ্যমে আয় করে একাধিক বাড়ি গাড়ির মালিক হওয়ার বিষয়টি তদন্তে বেরিয়ে আসবে। তিনি প্রতিবেদককে আরো জানান জিয়াউর রহমান সিন্ডিকেট মন্ত্রীর চাইতেও ক্ষমতাধর তাকে সম্প্রতি বদলি করা হলো সে বদলির আদেশ অমান্য করে ছুটিতে গিয়ে নিজেকে ক্ষমতাধর বলে প্রমাণিত করতে চেয়েছেন বলে জানান।