#সাংবাদিককে হুমকি, থানায় জিডি
খুলনা ব্যুরো: খুলনা বটিয়াঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিপরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মিজানুর রহমানের দুর্নীতি তদন্তের জন্য ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। রবিবার বিকালে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক স্বাক্ষরীত এক দপ্তারাদেশে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। শনিবার দুপুরে একটি বে—সরকারী টেলিভিশনে ডাঃ মিজানের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির সংবাদ প্রচার হলে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দপ্তর থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জানা যায়, গণমাধ্যম কর্মী,রাজনৈতিনক নেতা, মুক্তিযোদ্ধা সহ উপজেলাবাসী বটিয়ায়াঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিপরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ করেন। এক পর্যায়ে বে—সরকারী টেলিভিশন মাইটিভির ক্যামেরার সামনে কথা বলেন বটিয়াঘাটা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম—আহবায়ক এজাজুর রহমান শামীম, দৈনিক যুগান্তরের উপজেলা প্রতিনিধি শাওন হাওলাদার, দৈনিক কালেরকন্ঠ ও দৈনিক পূর্বাঞ্চলের উপজেলা প্রতিনিধি প্রতাপ ঘোষ, মুক্তিযোদ্ধা মোঃ কামরুল ইসলামসহ কয়েকজন ভুক্তভোগী। এ বিষয়টি নিয়ে শনিবার দুপুর আড়াইটায় ও বিকাল ৫টায় মাইটিভিতে সংবাদ প্রচার হলে নড়েচড়ে বসেন খুলনার স্বাস্থ্য বিভাগ। ডাঃ মিজানের বিরুদ্ধে দূর্নীত ও অনিয়ম তদন্ত করার জন্য খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডাঃ মোঃ মনজুরুল মুরশিদ ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেন। এ তদন্ত কমিটিতে সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ আঃ সালামকে সভাপতি , সাতক্ষীরা সদর উপজেলাস্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিপরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ ফরহাদ জামিল ও সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাঃ ইসমত জাহান সুমনাকে সদস্য করা হয়েছে। বিষয়টি সরেজমিনে তদন্তপূর্বক আগামী ১০ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দালিখ করার জন্য দপ্তারাদেশে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডাঃ মোঃ মনজুরুল মুরশিদ বলেন, বটিয়াঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিপরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির কথা মৌখিক ভাবে অনেক শুনেছি। তবে আমার কাছে কেউ লিখিত কোন অভিযোগ করেনি। টেলিভিশনে অনিয়ম ও দুর্নীতির সংবাদ আমি নিজেই টিভিতে দেখেছি। সেই সংবাদরে কপিও আমার কাছে আছে। এই নিউজ দেখেই তদন্তের জন্য ৩ সদস্যর কমিটি করে দিয়েছি। তদন্ত প্রতিবদেন পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এদিকে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিপরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মিজানুর রহমানের দুর্নীতিসংবাদ টিভিতে প্রচার হওয়ার পর মাইটিভির খুলনা প্রতিনিধি শিশির রঞ্জন মল্লিককে হুমকি দিয়েছেন এই কর্মকর্তা। মিজানের ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরের হটসএ্যাপস থেকে শিশিরের হটসএ্যাপসে শনিবার রাত ১০টা ২৪ মিনিটে এই হুমকি দেন তিনি। এ ঘটনায় শিশির রঞ্জন মল্লিক রবিবার খুলনা সদর থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেছেন। যার নং— ৯৯৯।