খুলনার পাবলিক ওয়ার্কাস ডিপার্টমেন্ট (পি.ডব্লিউ.ডি) সেকেন্ডারী স্কুল ৩০শে জানুয়ারী ২৮ বছরে পদার্পন করলো। এ নিয়ে দিনব্যাপী স্কুলে শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অতিথিদের মাঝে আনন্দপূর্ন একটি দিন যাপিত হয়। আয়োজন করা হয় বেলুন ওড়ানো, কেক কাটা অনুষ্ঠান, আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন অবদানে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানসহ সম্মানিত অতিথিদের মাঝে ক্রেষ্ট প্রদাণ করা হয়। মঙ্গলবার বেলা ১১.৩০ মিনিটে এ অনুষ্ঠান শুরু হয়। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা গণপূর্তের খুলনা জোনের অতিঃ প্রধান প্রকৌশলী এ.কিউ.এম শাহজালাল মজুমদার, খুলনা গণপূর্ত সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ফ্রান্সিস আশীষ ডি কস্তা, খুলনা গণপূর্ত বিভাগ— ১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী ও পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্ট সেকেন্ডারী স্কুলের সভাপতি অমিত কুমার বিশ্বাসসহ শিক্ষক নেতৃবৃন্দসহ স্কুল কমিটির সদস্যবৃন্দরা। এ সময় প্রধান অতিথি এ.কিউ.এম শাহজালাল মজুমদার বলেন, শিক্ষার্থীদের শিক্ষার পাশাপাশি মানবিক মানুষ হিসেবে নিজেদের তৈরী করতে হবে। সুশিক্ষিত হতে হলে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। এছাড়া তিনি আরো বলেন, পি.ডব্লিউ.ডি স্কুলের আরো উন্নয়নে সকলে মিলে চেষ্টা করা হবে। পি.ডব্লিউ.ডি স্কুলের বর্তমান শিক্ষামানের অবস্থা অনেক প্রশংসনীয় বলে তিনি জানান। তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ফ্রান্সিস আশীষ ডি কস্তা, নিজের স্কুল জীবনের স্বৃতি চারনা করেন এবং অনুপ্রেরণা নিয়ে শিক্ষার্থীদের সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান। স্কুলের সভাপতি প্রকৌশল অমিত কুমার বিশ্বাস বলেন , নতুন কারিকুলাম সকলের কাছে একটি চ্যালেঞ্জিক বিষয়। তবে এ কারিকুলামে শিক্ষাদাণ ও শিক্ষার্থীরা শিক্ষা রপ্ত করতে পারলে সঠিক মেধার বিকাশ সম্ভব বলে তিনি মনে করেন। তিনি সকল শিক্ষার্থীদের উন্নত এবং সম্ভাবনাময় জীবণের জন্য আশা ব্যক্ত করেন। খুলনার পাবলিক ওয়ার্কাস ডিপার্টমেন্ট (পি.ডব্লিউ.ডি) সেকেন্ডারী স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. লিয়াকত হোসেন বলেন, স্কুলের আজ ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। জীবনের ২৩টি বছর এ স্কুলে কাটিয়েছি। অনেক বাধা বিপত্তি অতিক্রম করেছি। আজ সকলের পরিশ্রমে বখাটাদের আড্ডাস্থল থেকে স্কুলটি মাথা উচু করে দাড়িয়ে একটি পরিপূর্ন স্কুলে রুপান্তর হয়েছে। এ স্কুলের উন্নয়নে অবদান রাখা সকল দায়িত্বশীল মানুষদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের দায়িত্বশীলতার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, সকলের অক্লান্ত পরিশ্রমে আজকে পি.ডব্লিউ.ডি স্কুলের পরিবর্তন সম্ভব হয়েছে। শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বেড়েছে। তিনি আগত দিনগুলোর জন্য সকলের কাছে দোয়া কামনা করেছেন। এ অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, স্কুল কমিটির সদস্য মোঃ তুহিনুল ইসলাম, মোঃ আশরাফুল ইসলাম, মো: আকরাম হোসেন, শিক্ষক মোঃ ছগীর উদ্দিন শেখ, শিক্ষক চায়না রায়সহ এম এম রাকিবুল হাসান, মো: বক্কার হোসেন।