খুলনা প্রতিনিধি: খুলনা হতে চাঁদাবাজি মামলার দুই আসামীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব—৬। গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে র্যাব—৬। ঘটনাসূত্রে জানা যায়, গত ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখ আবু হামজা বাঁধন ফুলতলা থানা আওয়ামীলীগের সাবেক সেক্রেটারী আসলাম খানের বিরুদ্ধে ফুলতলা উপজেলার ১১ টি এতিমখানার সরকারী বরাদ্দকৃত চাউল আত্মসাৎ এর সহায়তাকারী হিসাবে সংবাদ পরিবেশন করে। নিউজ করার প্রেক্ষিতে গত ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখ রাতে ফুলতলা উপজেলা হতে আবু হামজা বাঁধন কাজ শেষে বাড়ী ফেরার পথে খানজাহান আলী থানাধীন ইস্টার্ণগেট বিদ্যুৎ অফিসের সামনে যশোর—খুলনা মহাসড়কে উপর পৌছালে উপরোক্ত ঘটনার জের ধরে সাদমান খান সুপ্ত ও শোনেন মেহেবুব দুই ব্যক্তি আবু হামজা বাঁধনকে গতিরোধ করে ও নিউজ করার কারনে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং প্রান নাশের হুমকি দেওয়া সহ ৫,০০,০০০/— (পাঁচ লক্ষ) টাকা চাঁদা দাবী করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে সাদমান খান সুপ্ত ও শোনেন মেহেবুবসহ অজ্ঞাতনামা আসামীরা বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখানোসহ মেরে ফেলার হুমকী প্রদান করে। বাদী আসামীদের হাত থেকে বাঁচার জন্য ডাক চিৎকার দিলে আসামীরা দ্রুত ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে গত ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখ আবু হামজা বাঁধন বাদি হয়ে খানজাহান আলী থানায় ০১ টি চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনার পর থেকে আসামীদেরকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব—৬ গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে এবং অভিযান অব্যাহত রাখে। তারই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার র্যাব—৬ এর একটি আভিযানিক দল রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কেএমপি খুলনার খানজাহান আলী থানাধীন আলক পল্লী স্কুল এলাকা হতে অভিযান পরিচালনা করে চাঁদাবাজী মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামী ১) সাদমান খান সুপ্ত(২৪), পিতা—আসলাম খান, সাং—দামোদার প্রাইমারী, থানা— ফুলতলা ও ২) শোনেন মেহেবুব, পিতা—সেলিম সরদার, আলক পল্লী মঙ্গল স্কুলের পাশে দামোদর, থানা—ফুলতলা, জেলা—খুলনাদ্বয়’কে গ্রেফতার করে। র্যাব—৬ গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে কেএমপি খুলনার খানজাহান আলী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।