ঝালকাঠি প্রতিনিধি: ঝালকাঠির কাঠালিয়ার সোলেমান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। নিহত সোলেমান শিশু অপহরণ ও হত্যা ঘটনার পলাতক আসামি বলে অভিযোগ রয়েছে। সোলায়মান ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া উপজেলার আনসার আলীর ছেলে। সে এলাকায় সকলের কাছে সন্ত্রাসী ও বহু অপকর্মের হোতা হিসেবে পরিচিত। মঙ্গলবার ভোর সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার বাহাদুরপুর-তালশহর আঞ্চলিক সড়কের আঁখি অ্যান্ড ট্রেনিং এর পাশে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় নিহত হয়েছেন বলে পুলিশ দাবী করেছে। বন্দুকযুদ্ধ চলাকালে সরাইল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান ফকির ও আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ ৪ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে দাবী করেছে পুলিশ। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশি তৈরি পাইপগান, দু’টি কার্তুজ, তিনটি কার্তুজের খোসা, একটি টাকশাল উদ্ধার করা হয়েছে। আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল আলম তালুকদার সাংবাদিকদের জানান, রোববার রাতে উপজেলার খড়িয়ালা বাসস্ট্যান্ড থেকে শিশু অপহরণের পর হত্যা মামলার আসামি সোলায়মানকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যমতে সোমবার সকালে খড়িয়ালা এলাকা থেকে অপহরণ হওয়া রিফাতের বস্তাবন্ধি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়- তার সঙ্গে থাকা অন্য অপহরণকারী মিজান উপজেলার বাহাদুরপুর-তালশহর সড়কের আঁখি অ্যান্ড ট্রেনিং এর পরিত্যাক্ত একটি ব্রয়লারে আত্মগোপন করে আছে এমন তথ্য জানায়। এরপরে পুলিশ মঙ্গলবার ভোর সাড়ে তিনটার দিকে তাকে নিয়ে অপহরণকারী মিজানকে ধরতে ঘটনাস্থলে যায়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মিজান ও তার সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পরে পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে। এসময় সোলায়মান গুলিবিদ্ধ হয়। সোলায়মানকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ আরও জানান, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। সোলায়মানের বিরুদ্ধে আশুগঞ্জ থানায় অপহরণের পরে হত্যার অভিযোগে একটি মামলা রয়েছে। এদিকে সোলায়মানের পরিবার সোলায়মানকে পুলিশ গুলি করে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করেছে বলে দাবী করেছে।