আব্দুল মতিন, পাটকেলঘাটা (সাতক্ষীরা): পাটকেলঘাটায় মাদকের গডফাদাররা জেলা হাজতে থাকায় ব্যাঁঙের ছাতার মত গজে উঠেছে নব্য ভ্রাম্যমাণ মাদক ব্যবসয়ীরা। অপেন বিক্রয় হচ্ছে সকল প্রকার মাদক। কোন কিছু লুকানো হচ্ছে না এখানে। দেখলে মনে হয় মাদক বিক্রয়ের প্রতিযোগিতায় মেতে উঠেছে এসকল ব্যবসায়ীরা। সকল প্রকার মাদকের খুচরা ও পাইকারী রমরমা ব্যবসা অব্যহত রাখলেও এরা প্রশাসনের ধরাছোয়ার বাইরে। প্রশাসন তৎপর থাকায় ব্যবসায়ীরা লোকালয় ছেড়ে নির্জন স্থানে গিয়ে দিদার্সে মাদকের রমরমা ব্যবসা পরিচালনা করে আসসে। অন্যদিকে বর্তমান সময়ের মাদক স¤্রাট আনিছ প্রতিনিয়তো থানার চোমরখালী ঘের এলাকায় বসে চালাচ্ছে মাদকের রম রমা ব্যবসা । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সুত্রে জানা যায়, উক্ত আনিচ দীর্ঘদিন যাবৎ থানার আমতলাডাঙ্গা, চোমরখালী ঘের এলাকয় থেকে মাদকের খুচরা ও পাইকারী ব্যবসা রমরমা ভাবে পরিচালনা করে গেলেও প্রশাসন তার টিকিটাও ছুতে পারছে না। প্রতিনিয়ত এলাকা এবং এলাকার বাইরের বিভিন্ন স্থান থেকে মাদকের খুচরা ও পাইকারী চালান কিনতে আসতে দেখা যায় দলে দলে। এদের বিক্রয়কৃত মাদকের তালিকায় আছে, গাঁজা, ফেন্সিডিল, হেরোইন, মরণ ণেশা ইয়াবা, বিদেশি মদ সহ সকল প্রকার ভ্রাম্যমান মাদক। থানার প্রত্যন্ত এলাকায় থেকে হরহামেশায় সকল প্রকার মাদক দিনের পর দিন বিক্রয় করে আসলেও অজ্ঞাত কারনে প্রশাসন রয়েছেন নিরব ভুমিকায়। এক কথায় বলা যায় পাটকেলঘাটায় এখন হাত বাড়ালেই মিলছে সকল প্রকার মাদক। লোকালয় ছেড়ে এখন মাদক ব্যবসায়ের জন্য বেছে নিয়েছে নির্জন মাঠ প্রান্তর। এসকল নব্য মাদক ব্যবসায়ীরা মাদকের চালান আনার জন্য ব্যবহার করছে খুলনা-সাতক্ষীরা মহসড়কের পাটকেলঘাটা টু সাতক্ষীরার কিছু মাহেন্দ্র ও ট্রাক চালক। ,এ সকল ক্ষুদে মাহেন্দ্র ও ট্রাক চালকরা যাত্রী ও মালা মাল বহনের সাথে সাথে আনছে বড় বড় ইয়াবার চালান। একদিকে প্রশাসন যখন পাটকেলঘাটাকে মাদক মুক্ত করার জন্য সকল প্রকার পদক্ষেপ নিতে সর্বদা প্রস্তুত, ঠিক তখনই প্রশাসনের নজর এড়িয়ে এসকল মাদক ব্যবসায়ীরা সম্ভাব্যময় যুব-সমাজের কাজে পৌছে দিচ্ছে ভ্রাম্যমাণ সকল মাদক। অদ্যদিকে এই মাদকের ছোবলে বিশাক্ত হয়ে উঠছে যুব-সমাজ।পাটকেলঘাটা বাজারের ভিতর প্রশাষনের চোখ ফাকি দিয়ে বাইকে করে প্রতিদিন এক মাদক ব্যাবসায়ী ২০০ পিছ ইয়াবা বিক্রয় করছে বলে যানা জায়, পাটকেলঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ মোল্লা জাকির হোসেন যোগদানের পর থেকে পাটকেলঘাটার চিত্র পাল্টালেও, কমেনি এসকল মাদক ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ব। জানা গেছে, বর্তমানে এসকল নব্য মদক ব্যবাসয়ীরা প্রশাসনের নজর এড়িয়ে পাটকেলঘাটার তৈলকুপী, লালচন্দ্রপুর পেয়ারা বাগান মাঠ, গোডাউন রোড, জুজখোলা গ্রাম, রাজেন্দ্রপুর বাশ বাগান, চোমারখালী ঘের এলাকা সহ বিভিন্ন নির্জন এলাকায় বিকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চালিয়ে যাচ্ছে মাদকের খুচরা ও পাইকারী ব্যবসা। স্কুল কলেজ পড়–য়া তরুন যুব সমাজ আজ এদের কারনে ধ্বংসের দারপ্রান্তে পৌছে যাচ্ছে। মাদকের টাকার জন্য প্রতিনিয়ত মায়ের গহনা, বোনের বিবাহের জন্য গচ্ছিত টাকা সহ নানান প্রকার ক্রাইমের সাথে নিজেদের জড়িয়ে ফেলছে। নব তরুনদের উজ্জ¦ল ভবিষ্যত ঢেকে যাচ্ছে নেশার অন্ধকারে। এই নব্য মাদক সিন্ডিকেটের মধ্যমে রমরমা মাদকের ব্যবসা পরিচালনা করলেও কতৃপক্ষ রয়েছেন নিরব। অতি দ্রুত এসকল নব্য ভ্রাম্যমাণ মাদক ব্যবসায়ীদের চিিহ্নত করে আইনের আওতায় এনে যুব সমাজকে সঠিকভাবে বিকশিত হওয়ার জন্য প্রশাসনের হস্তোক্ষেপ কামনা করছেন এলাকার সচেতন মহল।