গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মানিকহার গ্রামে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন পরবর্তী সংঘর্ষে দুই জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার সন্ধায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, মানিকহার গ্রামে হাজী খোরশেদ আলী সপ্তপল্লী উচ্চ বিদ্যালয়ে মঙ্গলবার ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে মনির গাজী সমর্থিত একটি প্যানেল ও ডা: আনোয়ার প্যানেলের মধ্যে প্রতিদ্বন্দীতা হয়। নির্বাচনে মনির গাজী সমর্থিত প্যানেলটির সকলে বিজয়ী হয়।
ডা: আনোয়ার প্যানেলকে সমর্থন করায় উরফী পশ্চিম পাড়া গ্রামের মৃত নুর উদ্দিন মোল্লার বাড়ীতে বুধবার সন্ধায় বিজয়ী প্যানেলেরলোকজন অতর্কিত হামলা চালিয়ে নুর উদ্দিন মোল্লার বড় ছেলে মতি মোল্লা (৫৫) ও তার আপন ভাই মিকাইল মোল্লার (৪৫) কে রামদা, চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। এ সময় বাড়ীর অন্য লোকদের ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে হামলা কারিরা পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে মতি মোল্লার স্ত্রীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বুধবার সন্ধা সাড়ে ৭ টার দিকে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মনির গাজী এবং তার ভাই কবির গাজীর নির্দেশে এবং সাবেক মহিলা ইউপি সদস্য শেফালী বেগমের নেতৃত্বে সাগর, মিন্না, মিরাজ, রশিদ, ইমরান, সিহাব, ইকবাল, সজিব, পিদেই ও ওলি মুন্সি রামদা, চাপাতি নিয়ে আমাদের বাড়ীতে আক্রমন চালায় এ সময় তারা আমার স্বামী ও দেবর কে রামদা ও চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। তারা আমাদের বাড়ী ঘর ভাংচুর করে। আমাদের ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়। পরে গোপালগঞ্জ সদর থানা পুলিশের একটি দল গিয়ে ঘটনা স্থল থেকে মতি মোল্লা ও মিকাইল মোল্লাকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। তবে মতি মোল্লার অবস্থা আশংকা জনক বলে জানিয়েছে চিকিৎসক।
এ ব্যাপারে উরফী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন গাজী বলেন, বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের নির্বাচন নিয়ে যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে তা আসলে কারোই কাম্য নয়। যারা ওই ঘটনা ঘটিয়েছে আমি তাদেও দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দাবী করছি।
এ সংঘর্ষের ঘটনায় ওই এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ঘটনার সুত্র ধরে যে কোন সময় বড় ধরনের সংঘর্ষের আশংকা করছে এলাকাবাসী।