সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার কলারোয়ায় কামারালী গ্রামে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ডাকাতির চেষ্টাকালে বাড়ির মহিলাকে শ্লীতাহানীর অভিযোগ উঠেছে দূর্বৃত্তদের নামে।
ডাকাতির কাজে বাঁধা দেয়ার সময় এই বাড়ির মহিলাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে ঘরে থাকা নগদ টাকাসহ লক্ষাধিক টাকার স্বর্ণলংকার লুট করে নিয়ে পালিয়ে যায় দূর্বৃত্তরা।
পরে অচেতন অবস্থায় ওই মহিলাকে বাড়ি থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে এনে ভর্তি করে দেয় স্থানীয়রা।
ঘটনাটি শুক্রবার রাত ৮ টার দিকে উপজেলার কামারালী গ্রামে ঘটে।
আহত মহিলা কামারালী গ্রামের সলেমান সরদারের স্ত্রী খাদিজা বেগম (৫০) জানান, তার দেবর মুনছুর সরদার বামনখালী বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে গোজমারা বাঁশতলা নামক স্থানে আসলে যুগিখালী গ্রামের এরশাদ ও তার লোকজন দেবর মুনছুর সরদারকে হত্যার উদ্দ্যেশে ঘেরাও করে মারপিট শুরু করে দেন।
এ সময় স্থানীয় লোকজন এসে দূর্বৃত্তদের উপর চড়াও হলে আহত অবস্থায় এরশাদ আলী দূর্বৃত্ত বাহিনী নিয়ে পালিয়ে যায়।
এই ঘটনার কিছুক্ষণ পর কলারোয়া থেকে কাজী শাহাজাদা, মোস্তাক, গোলাম, রুবেল, কানা বাদল, রবিউল (রাফু), মামুন হোসেন, সাইদুল মল্লিকসহ অঙ্গত ১৫/ ২০ জনের মতো ১০/ ১২টি মটর সাইকেল যোগে কলারোয়া থেকে কামারালী মুনছুর সরদারের বাড়িতে যেয়ে, তাকে না পেয়ে তার দোকান ও বাড়ি ঘরধর বে-পরোয়া ভাংচুর করে খাদিজাকে শ্লীতাহানীর ঘটিয়ে ঘর ও দোকানের ভিতর প্রবেশ করে ঘরে থাকা শোকেজ, আলমারী ও দোকানের ক্যাশ বাক্র ভেঙ্গে কলারোয়ার নামধারী দূর্বৃত্তরা নগদ ৩ লক্ষ টাকা এবং লক্ষাধিক টাকার স্বর্ণলংকার নিয়ে যায়।
পরবর্তিতে স্থানীয় লোকজন ছুটে আসার আগে দূর্বৃত্তরা খাদিজাকে এ্যালো পাতারী লোহার রড ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে সারা শরীল জখম করে ফেলে রেখে পালিয়ে চলে যায়।
ওই রাতে অচেতন অবস্থায় স্থানীয়রা খাদিজাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে এনে ভর্তি করে দেয়।
বর্তমানে খাদিজার অবস্থা আশংকাজনক বলে জানান হাসপাতালে কর্মরত ডাক্তার।
তবে এ রিপোট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল বলে জানান আহত খাদিজা বেগম।