পাগলা ঘোড়া (বিশেষ সংবাদদাতা) পশ্চিমবঙ্গ, ভারত : পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পশ্চিমবঙ্গের অন্তর্ভুক্ত । এবারে ১৬ তম জেলা বই মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে । সেই সঙ্গে রয়েছে সাহিত্য আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান । জমজমাট আয়োজন । ২৭ তারিখ আয়োজিত হয়েছিল কবি সম্মেলন । কিন্তু অভিযোগ, এক বিশেষ প্রকাশনী সংস্থার ঘনিষ্ঠ না হলে কবি সম্মেলনে অনেক যোগ্য ব্যক্তিকে ডাকা হচ্ছেনা । জেলার কবিদের এক প্রতিনিধি দল সেইদিন বই মেলায় গিয়ে অভিযোগ জানালে মেলা কমিটি জানতে পারে প্রকৃত সত্য । এর জন্য সেই প্রকাশককে কড়া সমালোচনার শিকার হতে হয় । এরপরেও গ্রন্থাগারিকদের মনোনীত অথচ সেই প্রকাশক ঘনিষ্ঠ নয় এমন কয়েকজন কবির নাম তালিকায় থাকলেও প্রকাশক কবিতা পাঠের আসরে তাদের নাম এড়িয়ে যেতে থাকলে ফের বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আসে । এর পর কবিরা মঞ্চে উঠে কবিতা পাঠ করে ।পাশাপাশি দাবী জানায়,
এক জনের হাতে কবি সম্মেলনের জন্য কবি নির্বাচনের দায়িত্ব দেওয়া হয় বলে সেই ক্ষমতার অপব্যবহার
দীর্ঘ বছর ধরে হয়ে আসছে । তাই উপযুক্ত কমিটি গঠন করা হোক । দ্বিতীয় দাবি, জেলার সমস্ত লিটল ম্যাগাজিনের জন্য একটা স্টল দেওয়া হোক । কারণ লিটল ম্যাগাজিন ষ্টলে অভিযুক্ত প্রকাশক নিজের প্রকাশনার বই রাখছেন শুধু মাত্র । এরপর মেলা কমিটি কবিদের দাবী মেনে নিয়ে লিটল ম্যাগাজিন ও বইয়ের জন্য দুটি ষ্টল বরাদ্দ করে । সেখানে ছিল বিভিন্ন প্রকাশনার ভিন্ন স্বাদের লিটল ম্যাগাজিন ও বই । যা গন্ডী ছাড়িয়েছে একাধিক জেলার । ষ্টলের সামনে খোলা আকাশের নীচে বসছে ‘কবিতার ঠেক’ । কবিতা- আবৃত্তি -গান – নাচ-বাজনা – আঁকা- আলোচনা- আড্ডা – খাওয়া দাওয়া । চলছে জমিয়ে, লেখা হয়েছে কবিতা পোস্টার
। উপস্থিত ছিলেন গুণীজন থেকে শুরু করে বই ও সাহিত্য-সংস্কৃতি প্রিয় মানুষ । শ্রোতা- দর্শকদের ভিড় উপচে পড়েছে প্রতিদিন সন্ধ্যায় । সাহায্যের হাত বাড়ানোর জন্য কবিরা জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ শ্যামপদ পাত্র, গ্রন্থাগারিক রবি শংকর শেঠ, জেলা গ্রন্থাগার আধিকারিক ইন্দ্রজিৎ পান মহাশয়ের কাছে বিশেষ ভাবে কৃতজ্ঞ । মেলা কমিটি জানায়, প্রতিভার অন্বেষণে তারা সচেষ্ট । সমস্ত ধরণের সাহায্য করা হবে । এই নিরপেক্ষ সাহিত্যের জয় মেনে নিতে না পেরে অভিযুক্ত প্রকাশক রাতারাতি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের কাছে গিয়ে বলতে থাকেন, এরা আপনার বিরোধী দলের সদস্য । আবারও ধরা পড়ে যায় তার ফন্দি । ফের ভুয়ো খবর ছড়ানোর জন্য সাহিত্যিকরা তাঁর সমালোচনায় মুখর হন । শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ বলেন, ‘ আমি কবিতা লিখি,সংবাদপত্র রয়েছে আমার । সাহিত্য ভালোবাসি । সাহিত্যের কোন রঙ হয়না । সাহিত্য রাজনীতির উর্দ্ধে ।’
এরপরেই তিনি পিঠের ব্যবস্থা করেন । যার স্বাদ গ্রহণের জন্য ছিল দেদার খাদ্য প্রেমীর ঢল ।
এমন ‘কবিতার ঠেক’ যেন সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে ।