কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ ফালগুনের হাত ধরেই ঋতুরাজ বসন্তের আগমন। ঋতুরাজকে স্বাগত জানাতে প্রকৃতির এতো বর্ণিল সাজে সেজেছিলো নব উদ্যোমে। বসন্তের এই আগমনে প্রকৃতির সাথে তরুণ হৃদয়েও লেগেছিলো দোলা। সকল কুসংস্কারকে পেছনে ফেলে, বিভেদ ভুলে, নতুন কিছুর প্রত্যয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার বার্তা নিয়ে বসন্তের উপস্থিতি ছিলো অন্যরকম। বসন্তকে বরণ করতেই কুষ্টিয়ার খাদ্য প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ও মিষ্টির জগতে অনন্য নাম মৌবন চত্বর সাজিয়েছিলো নানান ফুলের সমাহার নিয়ে। মঙ্গলবার মৌবনে গিয়েই দেখা মিললো কর্মরত নারী শ্রমিকরা সবুজ পেড়ে হলুদ বাসন্তী রংয়ের শাড়ী ও ছেলেরা কলাপাতা রংয়ের পাঞ্জাবীতে নিজেদেরকে রাঙিয়ে নিয়েছিলো বেশ। বসন্তকে বরন করতে মৌবনে আসা আগত ক্রেতা সাধারনকে বসন্ত বরনের বাহারী রঙয়ের কার্ড, গোলাপ ফুল সহ চকোলেট নিয়ে অভ্যর্থনা ছিলো মৌবনের অনন্য সৃষ্টি। সবমিলিয়ে উৎসবের আমেজে পরিণত হয়েছিলো কুষ্টিয়ার এনএস রোডের মৌবন চত্বর। শুধু তাই নয়, ছবিসহ সেলফি তোলার জন্য ছিলো নানা ধরনের ব্যবস্থা। পরিবার পরিজন, বন্ধু বান্ধব, শুভাকাঙ্খীসহ প্রিয়জনকে সাথে নিয়ে যারা এসেছিলো মৌবনে। তারা সকলেই বিভিন্নভাবে ছবি তোলায় ব্যস্ত ছিলেন। সেলফিসহ নানান ধরনের ছবি তুলতে পেরে তারাও খুশী হয়েছিলো। হ্যাপি, নিরব ও প্রাপ্তি নামের কয়েক তরুনী জানান, এখানে এসে খুব ভালো লাগলো তাই কিছু ছবি তুলে ফেললাম।
শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও খুলনা আইডিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার, বরিশাল জল্লা ইউনিয়ন আইডিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ ড. বিনয় ভুষণ রায়সহ বেশ কিছু শিক্ষক নেতা তাদের সাংগাঠনিক কাজে কুষ্টিয়ায় এসেছিলেন। এখানে শিলাইদহ কুঠিবাড়ী লালনের মাজার মীর মশাররফের বাস্তভিটা পরিদর্শন করে মৌবনে এসে পুলকিত হন। বসন্তবরণের এতোসব আয়োজনে তাদের মুগ্ধ করেছে। তারা জানান, কুষ্টিয়ার মানুষ খুবই আতিথি পরায়ন। এবং এই কুষ্টিয়ায় এসে খুব ভালো লেগেছে। সেই সাথে খাবার প্রতিষ্ঠান তাদের ক্রেতা সাধারনকে বসন্তবরণ উৎসবে যে আনন্দায়িত করে তুলেছে সেটি প্রশংসার দাবীদার বলেও জানান তারা। মৌবনের সিইও হাবিবুল আলম জানান, পহেলা ফালগুণ বাঙালীদের জন্য এক উৎসব আমেজের দিন। আমরা ক্রেতা সাধারনকে খুশী রাখতেই আমাদের এই ছোট্ট প্রয়াস। আবাল-বৃদ্ধা, তরুণ-তরুণী বসন্ত উম্মাদনায় আজকে মেতে উঠবে। শীতকে বিদায় জানানোর মধ্য দিয়েই বসন্ত বরণে চলবে ধুম আয়োজন। শীত চলে যাবে রিক্ত হস্তে, আর বসন্ত আসবে ফুলের ডালা সাজিয়ে। বাসন্তী ফুলের পরশ আর সৌরভে কেটে যাবে শীতের জরা-জীর্ণতা।