সাতক্ষীরা : অবশেষে সাতক্ষীরায় অজ্ঞাত দুইটি মরদেহ পরিচয় মিলেছে, মা-মেয়েকে একই কবরে দাফন করা হয়েছে। জানাযায়, হত্যার পর মা-মেয়ের মরদেহ নদীতে ভাঁসিয়ে দেয় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা। ঘটনাটি ঘটেছে জেলার দেবহাটা উপজেলার ইছামতি নদীর নওয়াপাড়ার ছুটিপুর সীমান্ত এলাকায়। সোমবার উদ্ধার হয় মুন্নি আক্তার(৪) নামের শিশু কন্যার মরদেহ। অপরটি বুধবার সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের কালিন্দি নদীর চর থেকে বোরকা পরিহিত অবস্থায় রিপ্না আক্তার (২২) নামে এক মহিলা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর জানা যায়, অজ্ঞাতনামা মহিলাটি ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার যাদবপুর গ্রামের বাসিন্দা মুছা শেখের স্ত্রী রিপ্না আক্তার এবং শিশুকন্যা মুন্নি আক্তার।
এব্যাপারে দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী কামাল হোসেন জানান, মরদেহটি উদ্ধার হওয়ার পর দেবহাটা থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলা নং ৫। তারিখ ০৫/০২/১৮।
এ বিষয়ে কালিগজ্ঞ থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) সুবীর দত্ত জানান, মরদেহটি উদ্ধার হওয়ার পরই পুলিশ বাদী হয়ে থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে মামলা নং ৬, তারিখ ১৫/০২/১৮। মহিলার শরীরের একাধিকস্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিলো। উভয় মরদেহের প্রথম পর্যায়ে পরিচয় না পাওয়ায় সাতক্ষীরা পৌরসভা এলাকার মা ও মেয়েকে সরকারি কবরস্থানে একই জায়গায় দাফন করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, হত্যা মামলাটি হওয়ার পরই পুলিশ তদন্তে নেমেছে।
এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার বিকেলে সাতক্ষীরার একদল পুলিশ সদস্য ঝিনাইদহে গিয়ে ঝিনাইদহ পুলিশের সহযোগিতায় আবদুল আলিম নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে। জানা গেছে, আলিম সাতক্ষীরার কালিগজ্ঞ থানায় পুলিশের সদস্য হিসেবে কর্মরত ছিল । ঘটনা ঘটিয়ে সে এখান থেকে ঝিনাইদহে পালিয়ে যায়। ১৮ ফেব্রুয়ারি রবিবার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে সাতক্ষীরা আদালতে পাঠিয়েছে।