ইমতিয়াজ উদ্দিন, কয়রা (খুলনা) : আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে কয়রা উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে আসেনি উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা। এনিয়ে বিভিন্ন মহলে তীব্র সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
খোজ নিয়ে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় দিবস ও দলীয় কর্মসূচিগুলো উপজেলার নেতাকর্মীরা পালন করে আসছেন। বিগত দিনে, উপজেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাডঃ মোমরেজুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন বাবুলের যৌথ উদ্যোগে জাতীয় দিবস ও দলীয় কর্মসূচি পালিত হয়ে আসছিল। প্রতিটি জাতীয় দিবসে শহীদ মিনারে ওই দু’জন নেতাকেই কর্মীসহ উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে। তবে এবার শহীদ মিনারে বিএনপির কেউ শ্রদ্ধা জানাতে না আসায় কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েছে দলটি। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা এক মিনিটে উপজেলা শহীদ মিনারে হ্যান্ড মাইকে উপস্থাপক বারবার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষে পুস্পমাল্য অর্পনের ঘোষনা করলেও উপজেলা বিএনপির কোনো নেতাকর্মীদের ফুল নিয়ে শহীদ মিনারে আসতে দেখা যায়নি। ভাষা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধায় উপজেলা প্রশাসন,উপজেলা পরিষদ,পুলিশ প্রশাসন,মুক্তিযোদ্ধা সংসদ,আওয়ামী লীগ ও তাদের বিভিন্ন সহযোগি সংগঠন, জাতীয় পার্টি,কয়রা উপজেলা প্রেসক্লাব,আইনজীবি ইউনিট বার,কয়রা সরকারি মহিলা কলেজ, কপোতাক্ষ মহাবিদ্যালয়,উত্তর চক কামিল মাদ্রাসা,পুঁজা উদযাপন পরিষদ,হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ ও যুব ছাত্র ঐক্য পরিষদ,গীতাঞ্জলী সংগীত একাডেমী,কয়রা বাজার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি,মানবকল্যান ইউনিট,বলাকা সংগীত একাডেমী,কাঁকড়া ব্যবসায়ী সমিতি,মদিনাবাদ যুব সংঘ,কয়রা কম্পিউটার ইন্সটিটিউট সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক সংগঠন ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল পুস্পমাল্য অর্পন করলেও বুধবার দুপুর পর্যন্ত বিএনপির পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে আসেনি কেউ। রাজপথের প্রধান বিরোধীদল শহীদ মিনারে না আসায় বিভিন্ন মহলে চলছে সমালোচনা। নেতাকর্মীদের নামে একাধিক রাজনৈতিক মামলায় গ্রেফতার আতঙ্কের কারণেই শহীদ মিনারে কেউ আসেননি বলে দাবি করেছেন দলীয় নেতাকর্মীরা। এ প্রসঙ্গে কয়রা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন বাবুল বলেন, বিএপি নেতা কর্মীরা কোন সামাজিক অনুষ্ঠানেও যোগদান করতে পারছেনা। ইতিপূর্বে বিয়ের অনুষ্ঠানে যেয়ে উপজেলা বিএনপির সভাপতিসহ অনেকেই গ্রেফতার হয়েছিলেন। গ্রেফতার এড়াতে এবার উপজেলা বিএনপি নেতা কর্মীরা শহীদ মিনারে যায়নি।