কুষ্টিয়া সংবাদদাতা : কুষ্টিয়ার কৃষকরা এখন পোকার আক্রমণ থেকে ক্ষেতের ফসল রক্ষায় পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহারে সুফল পাচ্ছেন। এ অঞ্চলের কৃষকরা বিভিন্ন জাতের ধান বছরে তিন মৌসুমে রোপণ করেন। ওই ধান উৎপাদনে বাধা হচ্ছে ক্ষতিকর পোকার আক্রমণ। পোকার আক্রমণ দমনে কৃষকরা ক্ষেতে বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করেন। এতে সার্বিক পরিবেশ মারাত্মক হুমকিতে পড়ে। কীটনাশক স্প্রের ফলে পানি, বাতাস ও ক্ষেতে বিভিন্ন প্রকার পরিবেশ বান্ধব পোকা এবং মাছ মারা যায়। তাছাড়া কৃষক মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে পড়ে। সে কারণে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: সেলিম হোসেন পানি ও বাতাস ভালো রাখার লক্ষ্যে ধান ক্ষেতে ক্ষতিকর পোকা দমনের জন্য প্রাকৃতিক পদ্ধতি পার্চিং এর পরামর্শ দিচ্ছেন। এ পদ্ধতিতে ধান ক্ষেতে পোকা দমনের জন্য ক্ষেতে বাঁশের কঞ্চি অথবা গাছের ডাল পুঁতে পাখি বসার সুযোগ করে দেওয়া হয়। পাখিরা বাঁশের কঞ্চি অথবা গাছের ডালে বসে ধান ক্ষেতের ক্ষতিকর পোকা শিকার করে। ফলে ক্ষেতে ক্ষতিকর পোকা দমন হয়। পার্চিং পদ্ধতি নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত। এছাড়া পরিবেশ থাকে দূষণমুক্ত। ধান ক্ষেতে ক্ষতিকর পোকা দমনের জন্য প্রাকৃতিক পদ্ধতি পার্চিং বেশ কয়েক বছর আগে থেকে চালু করলেও বর্তমানে কৃষকরা এর সুফল পেতে শুরু করেছেন। তার কারণ প্রথম প্রথম কৃষকরা এ প্রাকৃতিক পদ্ধতি গ্রহণ করতো না। যার ফলে কৃষকরা সুফল পেতো না। বর্তমানে কৃষি অফিস থেকে এ পদ্ধতি সম্পর্কে অবহিত করার ফলে কৃষকরা ক্ষতিকর পোকা দমনের প্রাকৃতিক পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহার করছেন। ফলে কৃষকরা অল্প পরিশ্রমে এবং সামান্য খরচে নির্মল পরিবেশে ধানের অধিক ফলন পাচ্ছেন। উপজেলার করিমপুর ব্লকের কৃষক উজ্জল হোসেন ও রওশন আলীসহ অনেকেই জানান, পার্চিং পদ্ধতি স্থাপন করে ক্ষেতের কীটনাশক দমনে ভালো উপকার পাচ্ছি। তাছাড়া খরচও কম। সম্প্রতি পার্চিং উৎসবে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ বিনয় কৃষ্ণ দেবনাথ, কৃষিবিদ সুশান্ত কুমার প্রামাণিক, ডিটিও, ডিএই, কৃষিবিদ বিভাস চন্দ্র সাহা, এডিডি(পিপি), ডিএই, কুষ্টিয়াসহ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ সেলিম হোসেন ও ইউনিয়ণ উপসহকারীগণ উপস্থিত ছিলেন।