এসএম জামাল: কুষ্টিয়ায় ‘পুলিশ মেমোরিয়াল ডে-২০১৮’ পালিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে কুষ্টিয়া পুলিশ লাইন্স এ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়। কর্তব্যরত অবস্থায় জীবন উৎসর্গকারী পুলিশ সদস্যদের স্মরণে দেশব্যাপী সকল পুলিশ ইউনিটে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত করে। এসব কর্মসূচির মধ্যে ছিল- পুলিশ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা, কর্তব্যরত অবস্থায় নিহত পুলিশ সদস্যদের পরিবারকে স্বীকৃতি স্মারক প্রদান ইত্যাদি। কুষ্টিয়া পুলিশ লাইন্স এ স্মৃতিস্তম্ভে পুলিশ সুপার এস এম মেহেদী হাসান নিহত পুলিশ সদস্যদের পরিবার পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্যদিয়ে দিবসটি কর্মসূচি শুরু হয়। পরে একটি চৌকস পুলিশ দল সশস্ত্র সালাম প্রদান করে। এ সময় বিউগলে করুণ সুর বাজানো হয়। ২০১৭ সাল থেকে নিহত পুলিশ সদস্যদের স্মরণে ‘পুলিশ মেমোরিয়াল ডে’ প্রতি বছর ১ মার্চ পালন করা হচ্ছে। পরে কনভেনশন হলে আয়োজিত স্বীকৃতি স্মারক প্রদান অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হয়। পুলিশ সুপার এস এম মেহেদী হাসানের সভাপেতেত্ব পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ সুপার এস এম মেহেদী হাসান বলেন, পুলিশ জনগণের জানমালের নিরাপত্তা এবং দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে থাকে। সাধারণ মানুষ যখন ঘুমায় তখন পুলিশ জেগে থাকে। মানুষের নিরাপদ ঘুম নিশ্চিত করে। এ দায়িত্ব অত্যন্ত কঠোর।
কর্তব্যরত অবস্থায় জীবন উৎসর্গকারী পুলিশ সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, তারা দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন। তাদের পরিবারের কল্যাণ দেখা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। তিনি বলেন, নিহত পুলিশ সদস্যদের পরিবারকে সুযোগ-সুবিধা প্রদানে সরকার যথেষ্ট আন্তরিক।
তিনি আরও বলেন, পুলিশের পেশা অন্য যে কোন চাকরির চেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। এ পেশায় ঝুঁকি নিয়েই আমাদের প্রতিনিয়ত দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার গুরু দায়িত্ব পালন করতে হয়। কর্তব্য পালনকালে জীবন উৎসর্গ করে পুলিশ সদস্যরা ত্যাগের এক সুমহান আদর্শ স্থাপন করে গেছেন। তাদের এ আত্মত্যাগ আমাদের জন্য গৌরবের। দেশের মানুষ চিরদিন তাদেরকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।
পরে অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে দর্শক সারিতে এসে নিহত পুলিশ সদস্যদের পরিবারবর্গের হাতে স্বীকৃতি স্মারক ও উপহার তুলে দেন।