সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্যদের বিরুদ্ধে প্রতিবেশি এক ব্যক্তির ৫০ বছর ভোগ দখলে থাকা জমি জোর করে দখলে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
দখলকৃত জমিতে তারা রাতারাতি ঘেরাবেড়াও দিয়েছে। এখন সশস্ত্র পাহারায় থেকে ব্যাটালিয়ন সদস্যরা তার পরবিারের লোকজন এমনকি গ্রামবাসীর চলাচলেও বাধা দিচ্ছেন। গ্রামবাসী বিশেষ করে নারীরা পুকুরে নামতে পারছেন না।
আজ শুক্রবার সকালে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন পুরান সাতক্ষীরার মো. আনোয়ার হোসেন চান্দু। এ সময় তার সাথে ছিলেন পৌর কাউন্সিলর সৈয়দ মাহমুদ পাপা , প্রধান শিক্ষক নুর মোহাম্মদ, সিরাজুল ইসলাম , ডা. আহাদ আলি, সিরাজুল ইসলাম , হারেজ মল্লিক, সুমন রহমান প্রমুখ গ্রামবাসী।
লিখিত বক্তব্যে আনোয়ার হোসেন চান্দু বলেন, ৯৭৭ দাগের ১৪ শতক জমি তিনি পৈত্রিক সূত্রে পেয়ে ৫০ বছর যাবত ভোগ দখল করে আসছেন। তার প্রতিবেশি সাতক্ষীরা আনসার ব্যাটালিয়ন ৪ শতক জমিতে দখলে রয়েছে। তিনি জানান, কিছুদিন যাবত আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্যরা আমার জমি দখল করবে এমন প্রচারনা দিলে আমার আবেদন অনুযায়ী এসি ল্যান্ড ভ’মি ওই জমি মাপ জরিপ করে দুই পক্ষকে নিজ নিজ অবস্থানে থাকার পক্ষে সুপািরশ করেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, হঠাৎ করে আনসার ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক (চলতি দায়িত্বে) মেরশেদা খানম তার সদস্যদের নিয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি ভোরে তার জমির একাংশ দখল করে নেয়। এ সময় তারা আনোয়ার হোসেনের বাড়িঘর ভাংচুর ও গাছপালা জোর করে কেটে ফেলে। লুটপাট করে ইট বালিসহ নির্মান সামগ্রী। জমি ও বাড়ির মালিক আনোয়ার হোসেন আনসার সদস্যদের এই বেআইনি কাজের প্রতিবাদ করে অবিলম্বে তার জমি তাকে ফেরত দেওয়ার দাবি জানান। তিনি এ ব্যপারে সাতক্ষীরা সরকারসহ প্রশাসনের সহায়তা কামনা করেন।
তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাতক্ষীরা ৩১ আনসার ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক (চলতি দায়িত্বে) মোরশেদা খানম বলেন, যে জমি তিনি দখলে নিয়েছেন তা অধিগ্রহনকৃত নয়। কেবলমাত্র নিরাপত্তার স্বার্থে জেলা প্রশাসকের অনুমতি নিয়ে তিনি ঘেরা বেড়া দিয়েছেন। বাড়িঘর ভাংচুর, গাছপালা কর্তন এবং নির্মান সামগ্রী লুটপাটের অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করেন তিনি।