ইমতিয়াজ উদ্দিন, কয়রা (খুলনা) : খুলনার কয়রা উপজেলার সাব রেজিষ্ট্রী অফিসের সাব রেজিষ্ট্রার মোঃ জামাল হোসেনের বিরুদ্ধে সীমাহীন অনিয়ম ও দূর্ণীতির প্রতিবাদে দলিল লেখকরা কর্ম বিরতি অব্যহত রেখেছে। সাব রেজিষ্ট্রারের অনিয়ম ও দূর্ণীতির বিরুদ্ধে প্রতীকার চেয়ে দলিল লেখকরা প্রধানমন্ত্রী, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী, মহা পরিদর্শক- নিবন্ধন অধিদপ্তর, দূর্ণীতি দমন কমিশন, জেলা রেজিষ্ট্রার ও প্রেস ক্লাব বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে জানা গেছে, সাব রেজিষ্ট্রার মোঃ জামাল হোসেন কয়রা অফিসে যোগদান করার পর থেকে দলিল দাখিলের পূর্বেই দলিল প্রতি ১ থেকে ২ হাজার টাকা অফিসের পিওন মাসুদ রানা ও নৈশ প্রহরী আব্দুস সাত্তারের নিকট জমা না দিলে দলিল দাখিলের অনুমতি দেন না। তিনি দাখিলকৃত দলিলে ত্রুটি হলে ৫শ থেকে দেড় হাজার টাকা, হেবার ঘোষণাপত্র দলিলে প্রতি লাখে ২ হাজার টাকা হারে আদায় করেন। এবং কমিশন দলিল রেজিঃ করার জন্য চুক্তি মোতাবেক নগদ টাকা গ্রহন করে দাতার বাড়িতে গিয়ে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে আরো টাকা দাবি করে রেজিঃ সম্পাদন না করে চলে আসেন। পরবর্তীতে কমিশনের টাকা তিনি দলিল গ্রহিতাদের আর ফেরত দেন না। দাতা বা গ্রহিতার ভোটার আইডি কার্ড সঠিক থাকা স্বর্তেও তা সঠিক নয় বলে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে টাকা দাবী করেন। টাকা না দিলে রেজিঃ সম্পাদন করেন না। কয়রা সদরের ইউপি সদস্য মোঃ রেজাউল করিমের নিকট থেকে ভোটার আইডি কার্ড বাবদ ২ হাজার টাকা গ্রহণ করে রেজিঃ সম্পাদন করেন। এছাড়া তিনি কমিশন বাবদ দলিল লেখক আফজাল হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক ও আব্দুস সালামের নিকট হতে ১ লক্ষ ৫৭ হাজার টাকা গ্রহন করে কমিশনের জন্য দাতার বাড়ি যাওয়ার পর বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে রেজিঃ না করে চলে আসেন। কয়রা সাব রেজিঃ অফিসের দলিল লেখক সমিতির সহ-সভাপতি সুনীল কুমার বৈদ্য জানান, বর্তমান সাব রেজিষ্ট্রার যোগদান করার পর অতিরিক্ত টাকা না দিয়ে আমরা কোন দলিল রেজিঃ করতে পারছি না। তার সীমাহীন দূূর্ণীতির বিরুদ্ধে আমরা সমস্ত দলিল লেখকরা দলিল লেখা বন্ধ রেখেছি। এ ব্যাপারে সাব রেজিষ্ট্রার মোঃ জামাল হোসেনের নিকট জানতে চাইলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন- দলিল লেখকদের সাথে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে, আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে এ সমস্যার সমাধান হবে।