কপিলমুনিঃ পাইকগাছা উপজেলা হরিঢালী ইউনিয়নের অর্ন্তগত কপিলমুনি বাজারস্থ সরকারী কবর স্থান দখল প্রতিযোগিতায় নেমেছে এক শ্রেণীর দখলবাজরা, দ্বায়িত্বশীলরা জেগে ঘুমাচ্ছেন, কিন্তু দেখার কেউ নেই।
অভিযোগে প্রকাশ, খুলনা পাইকগাছা প্রধান সড়কের পার্শ্বস্থ দোকান ঘরের পিছনে অবস্থিত এ কবর স্থান। দীর্ঘ দিন যাবত অবহেলিত, অযন্তে পতিত অবস্থায় আছে কবর স্থানটি। পাইকগাছা উপজেলা প্রশাসন তৎকালীণ সময়ে বেওয়ারিশ লাশ দাপনের জন্য উক্ত জায়গাটি নিদ্ধারণ করে। সে অনুযায়ী নির্মিত কবর স্থানে অনেক ছিন্নমূল মানুষসহ বেওয়ারিশ লাশ দাফন করা হয়ে থাকে। এ কবর স্থানের চারিপাশে দোকান পাঠ, মিল কলকারখানা গড়ে উঠায় একটি বেষ্টনিতে আবদ্ধ হয়ে রয়েছে। জায়গাটা নীচু হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে জলমগ্ন থাকে। আপন চেনা মানুষদের শেষ পরিনতি ঐ কবর স্থানে যখন পানির উপর যেন তেন দাফন পরবর্তী রাতের আধারে শিয়াল কুকুর সবার সামনে লাশ ছেড়াছেড়ি করে খায়। যে দৃশ্য মনুষ্য সমাজ এর কাছে কাঙ্খিত নয়। সম্প্রতি সময়ে কবরের পার্শ্বস্থ দোকান মালিকরা তাদের দোকান উঁঁচু করণের কথা বলে সকলের অগোচরে কবরের উপার মাটি ফেলে তাদের দোকান বড় করছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দীর্ঘ দিন মাটি না তোলার কারণে পুকুরের ন্যায় হতে চলেছে। কবর স্থানের পার্শ্ববর্তী কতিপয় দখলবাজ দোকান মালিকদের রাহু গ্রাসে কবরস্থানটি দিন দিন সংকুচিত হয়েই চলেছে। কোন ধর্মীয় বিধি বিধান, ইহকাল-পরকাল, ফতোয়া দিয়েও ঠেকানো যাচ্ছে না তাদেরকে। এর ফলে বেওয়ারিশ ও ছিন্নমূল মানুষের লাশ দাফন করা বর্তমান খুব কষ্টসাধ্য ও ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে। এ বিষয়ে স্থানীয় ভূমি অফিসের তহশীলদার জেগে জেগে ঘুমাচ্ছেন। ব্যবসায়ী প্রতিনিধি বনিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সরদার গোলাম মোস্তফা বলেন, কবর স্থান দখলের বিষয়টি খুব লজ্জাজনক কাজ। আমরা যে যাই করিনা কেন, আসল কাজ হচ্ছে মানুষকে সেবা করা। অথচ মানুষ কবরের জায়গা দখল করছে। তিনি বলেন স্থানীয় এমপির সহযোগিতা নিয়ে দখরবাজদের উচ্ছেদ ও কবর স্থানকে পরিপুর্ন ভাবে মাটি ভরাট করে সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করা হবে। পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা ফকরুল হাসান বলেন আমি যোগদান করার পর এই প্রথম শুনলাম জায়গাটা অনেক নিঁচু ও দখল হয়ে যাচ্ছে। কবর স্থানের জমি অবশ্যই উদ্ধার করা হবে। মাটি ভরাটে সরকারী বরাদ্ধ দেওয়া যায় কিনা দেখা হবে। মাদ্রাসার প্রাক্তণ অধ্যক্ষ বোরহান উদ্দিন বলেন সমাজে অনেক উন্নত কাজ হচ্ছে ঐ কবর স্থানের ব্যাপারে সমাজের মানুষের দৃষ্টি থাকে না। অথচ দু’ দিন বাদেই সবাইকে ঐ কবরে যেতে হবে। পুলিশ ফাড়ি মসজিদের সভাপতি গাজী আসাদুল ইসলাম বলেন সরকারী বরাদ্দ ও বিত্তবানদের সহায়তায় কবর স্থান সংস্কার করা হলে একটি পরিবেশ সৃষ্টি হবে, তাহলে কবর স্থানের প্রতি দরদ থাকবে সবার।