ডুমুরিয়া হাসপাতালের গাড়ী পার্কিং নিষেধ শুধু সাইন বোর্ডে সীমাবদ্ধ

প্রকাশঃ ২০১৮-০৩-১৭ - ১৯:৪১

ডুমুরিয়া (খুলনা) প্রতিনিধি: খুলানার ডুমুরিয়ায় গাড়ী পাকিং নিষেধ-আদেশক্রমে কর্তৃপক্ষ ডুমুরিয়া হাসপাতালের সামনে এমন একটি সাইনবোর্ড লেখা থাকলে ও নেই তার কোন কার্যকারিতা। প্রতিনিয়ত ভ্যান,মোটরসাইকেল,্ এ্যামম্বুলেন্স, ইজিবাইক সহবিভিন্ন যানবহন এখানে একের পর এক ঠাসাঠাসি অবস্থান নিয়ে বসে আছে।ফলে জরুরী বিভাগ থেকে রোগী বাহী গাড়ী হাসপাতালের ২য় ও ৩য় তলায় পৌছানো অনেক কষ্ট সাধ্যের হয়ে পড়েছে।এ যেন দেখার কেউ নেই।তবে আশু বিষয়টি আমলে নেয়া হবে এমনটি জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

জানা যায় ডুমুরিয়া সদরে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট একটি মাত্র হাসপাতাল রয়েছে।হাসপাতালটিতে পর্যাপ্ত ডাক্তার ও চিকিৎসার আসবাপত্র না থাকলেও এটি এলাকাবাসির এক মাত্র ভরসা।যে কারনে প্রতিনিয়ত রোগীর

গমনাগমন সব সময় লেগেই থাকে।কিন্তু সম্প্রতি জরুরী বিভাগ সংলগ্ন হাসপাতাল ব্যালকনীর নীচে প্রতি নিয়ত কাঠ-কটা, ভ্যান,মোটরসাইকেল,্এ্যামম্বুলেন্স,ইজিবাইক সহবিভিন্ন যানবহন এখানে একের পর এক ঠাসাঠাসি অবস্থান নিয়ে বসে থাকতে দেখা যায়।যা রোগীর বেডে যাওয়া আসার পথে একটি অন্যতম বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছে।কথা হয় মোটরসাইকেল আরোহী খর্নিয়ার আবুল হোসেনের সাথে।তিনি জানান এখানে গাড়ী পার্কিং নিষেধ জানি, কিন্তু সবাই রাখছে তাই রেখেছি।কথা হয় ভ্যান চালক আঃ হামিদের সাথে,তিনি জানান বেশী সময় থাকবো না, কিছু সময়ের জন্য রেখেছি।কথা হয় ইজিবাইক চালক আমির হোসেনের সাথে,তিনি জানান সকলে রাখলে যখন দোষ নেই, তেমনি আমিও রেখেছি। এ ছাড়া কথা হয়

আরো অনেকের সাথে। তারা অনুরুপ উত্তর দিয়ে নিজেদের নির্দোষ দাবি করে জানান কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে তো কিছু বলে না। তাই অবস্থান নিয়েছি। প্রতিনিয়ত যখন পাকিং হচ্ছে তখন সাইন বোর্ড রেখে লাভ কি? আর কেনইবা রোগীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছে এমন প্রশ্নর জবাবে আর এম ও ডাঃ মিলন কুমার মন্ডল জানান জনবল অভাবে এমনটি হচ্ছে। যে ভাবে গাড়ী পাকিং হচ্ছে, তাতে সব সময় একজন লোক ওখানে রাখতে হবে। কিন্তু লোকতো নেই। কথা হয় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মর্কতা ডাঃ এ এসএম মারুফ হাসানের সাথে। তিনি জানান হাসপাতালের মুল গেটে কোন দরজা বা গ্রীল নেই। তাছাড়া সিকিউরিটি গার্ডের ব্যবস্থাও নেই। যে কারনে সকল গাড়ী প্রবেশ করে ভীড় জমায়। শুধু তাই নয় ভ্যান, মোটরসাইকেল গাড়ী বিল্ডিং এর ৩য় তলায় উঠেও ভীড় জমায়। বিষয়টি আমলে নেয়া হবে। অন্যথায় রোগী ভোগান্তীর পাশাপাশি একটি মোটর গ্যারেজ পরিণত হবে উল্লেখ করে তিনি জানান কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে আশু প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।