সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : বাড়িময় আত্মীয় কুটুম্ব। চলছে খানাপিনা । মাইকের হাকে ডাকে মুখর গ্রাম। বিয়ের সব আয়োজন সম্পন্ন। বর কনেও প্রস্তুত। ঠিক এমন সময়ে পুলিশ নিয়ে হাজির দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হাফিজ আল আসাদ । বললেন ‘এ বিয়ে হবে না। মেয়েটির শিক্ষা জীবন রক্ষা করতে হবে’।
রোববার রাত ১০ টায় এ ঘটনা ঘটে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার দেবহাটা গ্রামে। কনে শারমিনও আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে বলে উঠলো ‘আমি লেখাপড়ার নতুন জীবন ফের ফিরে পেতে চাই’।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হাফিজ আল আসাদ জানান দেবহাটা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী শারমিন আক্তার। ওই গ্রামের মো. সলেমানের মেয়ে সে। ‘ভালো ছেলে পেয়েছি , পরে আর পাওয়া যাবে না’ এই ভরসায় বাবা মেয়ে শারমিনের সাথে বিয়ে ঠিক করেন পার্শ্ববর্তী কোড়া গ্রামের এক তরুনের। এ খবর জানতে পেরে তিনি পুলিশের কয়েকজন সদস্য ও স্থানীয় ইউপি সদস্য আরমান হোসেনকে সাথে নিয়ে হাজির হন বিয়ে বাড়িতে । তিনি তাদের বাল্য বিয়ের কুফল সম্পর্কে বলেন এতে মেয়েটির লেখাপড়া নষ্ট হবে। অল্প বয়সে মা হলে তার ও নবজাতকের স্বাস্থ্যহানি ঘটবে। দুটি জীবন বিপন্ন হবারও আশংকা থাকবে। দুটি পরিবারেও এর বিরুপ প্রভাব পড়বে। এ সময় মা তার শিশুকে নিয়ে অসহায় হয়ে পড়বে।
ইউএনও জানান তার কথায় সম্মত হয়ে বাবা সলেমান মেয়ের বিয়ে প্রাপ্ত বয়স না হবার আগে দেবেন না বলে প্রতিশ্রুতি দেন। পরে মেয়ের বাবা ও মা একটি মুচলেকায় স্বাক্ষর করেন।