অন্ধত্ব থেকে মুক্তি পেলেন সাড়ে ৪ শতাধিক মানুষ

প্রকাশঃ ২০১৮-০৪-০৮ - ২২:০৭

আবু হোসাইন সুমন, মোংলা : ঢাকা মেগা সিটি লায়ন্স ক্লাবের সভাপতি ও বাগেরহাট জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি লায়ন ড. শেখ ফরিদুল ইসলামের আর্থিক সহযোগীতায় চোখের চিকিৎসা করিয়ে অন্ধত্ব থেকে মুক্তি পেলেন সমাজের সুবিধা বঞ্চিত সাড়ে ৪ শতাধিক মানুষ। ঢাকা লায়ন্স চক্ষু হাসপাতাল ও খুলনা দিশা আই কেয়ার’র মাধ্যমে ৮ জানুয়ারী থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত সম্পূর্ণ বিনামূল্যে অপারেশন, লেন্স সরবরাহ, ওষুধ ও সেবা দেয়ার পর শিশু হতে শুরু করে শত বছরের বৃদ্ধ-বৃদ্ধারাও এখন চোখে দেখতে পাচ্ছেন। ‘অন্ধত্ব প্রতিরোধ করুন’ শ্লোগানে গত ৩০ ডিসেম্বর বাগেরহাটে রামপাল উপজেলার শ্রীফলতলা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বিনামূল্যে দিনব্যাপী চক্ষু শিবির আয়োজন করেছিল ঢাকা মেগা সিটি লায়ন্স ক্লাবের সভাপতি লায়ন ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম। ওই চক্ষু শিবিরে মোংলা, রামপাল, ফকিরহাট, বাগেরহাট, মোড়েলগঞ্জ, শরণখোলা ও দাকোপসহ আশপাশ উপজেলার ৫ হাজার ৩ শ রোগীকে চোখের প্রাথমিক চিকিৎসা ও ওষুধ সরবরাহ করা হয়। চক্ষু শিবির থেকে ছানি, নেত্রনালী, মাংসবৃদ্ধি ও ট্যারিজম অপারেশনের জন্য প্রাথমিক ভাবে ৬শ ৬জন রোগীকে বাঁছাই করা হয়। বাঁছাইকৃত রোগীদের মধ্যদিয়ে ড. শেখ ফরিদুল ইসলামের আর্থিক সহযোগীতায় ৪ শ ৫৬ জন রোগীকে ঢাকা লায়ন্স চক্ষু হাসপাতাল ও খুলনা দিশা আই কেয়ার’র মাধ্যমে ৮ জানুয়ারী হতে ৬ এপ্রিল’১৮ পর্যন্ত বিনামূল্যে অপারেশন, লেন্স সরবরাহ, ঔষধ ও সেবা দিয়ে সম্পূর্ণ সুস্থ্য করে রবিবার তাদের বাড়ি পৌঁছে দেয়া হয়েছে। বিএনপি নেতা ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম বলেন, ২০০৯ সাল থেকে শুরু করে প্রতি বছর বাগেরহাট অঞ্চলের সুবিধা বঞ্চিত মানুষের জন্য নিজস্ব অর্থায়ানে চক্ষ শিবিরের আয়োজন করে আসছি। আমার ব্যক্তি উদ্যোগের এ কার্যক্রমের মাধ্যমে এ পর্যন্ত ৫০ হাজারেরও বেশি চক্ষু রোগীর প্রাথমিক চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি ৪ হাজার ২শ রোগীর ছানি, নেত্রনালী, মাংসবৃদ্ধি ও ট্যারিজম অপারেশনের মাধ্যমে সুস্থ্য এবং অন্ধত্বের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন। সেবাপ্রাপ্ত শিশু-কিশোর শিক্ষার্থীরা তাদের লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছেন। কর্মক্ষম নারী-পুরুষ রোগীরা তাদের সংসারে আয়-রোজগার করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারছেন। আর বৃদ্ধরাও আমৃত্যু চোখের আলোতে স্বাভাবিক চলাফেরা করতে পারবেন। তিনি আরো বলেন, হত-দরিদ্র মানুষের পক্ষে ব্যয় বহুল চক্ষু চিকিৎসা করানো সম্ভব নয়। একটি ক্লাব কিংবা একজন ব্যক্তির পক্ষেও এত রোগীর প্রতি বছর অপারেশন করানো অত্যন্ত কঠিন কাজ। তাই সমাজের বৃত্তশালী মানুষের কাছে আমার অনুরোধ এই সেবা কার্যক্রমে আমাদের পাশে দাঁড়ান। এছাড়া অন্যান্য লায়ন্স এবং রোটারী কøাবের কাছেও আমার আবেদন বাগেরহাটের রামপাল-মোংলার এই প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের জন্য কয়েকটি চক্ষু ক্যাম্প করার জন্য এগিয়ে আসবেন এবং যে যার অবস্থান থেকে মানবতার সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করবেন।