ঝালকাঠি প্রতিনিধি: ঝালকাঠিতে অবৈধ ইটের পাজাঁর ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশের পর প্রশাসনের টনক নড়েছে। শনিবার বিকাল থেকে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক মো: হামিদুল হক এর নির্দেশে ভ্রাম্যমাণ আদালত শহরের বিকনা এলকায় দুইটি ইটের পাঁজায় অভিযান চালিয়ে প্রায় লক্ষটাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিট্রেট মো: বশির গাজী। এরপর ঐ অসাধু অবৈধ ইটপাঁজা ব্যবসায়ীরা রাতেই পুর্নরায় ঐ ইটের পাঁজায় জ্বালানি কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানো শুরু করে। খবর পেয়ে রবিবার সকাল ১০টার দিকে পূর্ণরায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: বশির গাজী ঝালকাঠি ফায়ার র্সাভিস নিয়ে ঐ দুটি ইটের পাঁজায় পূর্নরায় অভিযান চালায় এসময় ঐ অসাধু ব্যবসায়ীদের না পেলেও ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার ম্যানদের দিয়ে পানি দিয়ে ঐ অবৈধ পাঁজা দুটি ধ্বংস করে। এসময় দুটি ইটের পাঁজায় সংরক্ষিত মালামাল ও ঐ পাঁজায় কোনরকম প্রবেশ নিষিদ্ধ করার নির্দেশ দেন ভ্রাম্যমান আদালত। উল্লেখ্য চলতি মৌসুমে ঝালকাঠি জেলা জুড়ে প্রায় অর্ধশত অবৈধ ইটের পাঁজা ও ইটবাটা রয়েছে। ঐ ইটের বাটা ও পাঁজা গুলোতে হাজার হাজার মন জ্বালানি কাঠ দিয়ে পোড়ানো হচ্ছে ইট। এতে চরম ভাবে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। পাশা পাশী ফসলি জমি নষ্ট হচ্ছে। রয়েছে পৌর এলাকা ও ঘনবসতি এলাকায়ও চলছে এ অবৈধ ইটের বাটা ও পাঁজা। এর নেপথ্যে রয়েছে,কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা ও ক্ষমতাশিন দলের সাইনবোর্ডধারী কয়েক নেতা। এ নেতারা ও অসাধু কর্মকর্তারা ঐ অবৈধ বাটা ও পাঁজা থেকে এল আর ফান্ড নামে ও নিজেদের পকেটভারী করতে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। এক পর্যায় স্থানীয় সচেতন মহল ক্ষোভে ফুঁেস উঠে প্রতিবাদ শুরু করে ও বেশ কয়েকটি মিডিয়ায় ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশ করায় জেলা প্রশাসনের কানে পানি যায়। এরপর শুরু হয় লোক দেখানো অভিযান। দুইটি পাঁজায় কঠোর অভিযান করলেও জেলা জুরে অবৈধ ইট বাটা ও পাঁজায় প্রাকাশ্যেই জ্বলছে আগুন।
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা কারি বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: বশির গাজী বলেন,আমরা প্রতিনিয়তই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে আসছি। ইভটিজিং ও নোংরা পরিবেশে খাবার তৈরিকরা প্রতিষ্ঠান গুলোতে অভিযান চালাচ্ছি পাশা পাশী জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশে অবৈধ ইট বাটা ও পাঁজায় অভিযান পরিচালনা করেছি। আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। পরপর দুইদিন একই ইটের পাঁজায় অভিযান করলেও অন্য অবৈধ ইটের বাটা ও পাঁজায় কেন অভিযান হচ্ছে না জানতে চাইলে তিনি বলেন,পর্যায় ক্রমে প্রতিটা অবৈধ ইটের বাটা ও পাঁজায় অভিযান অব্যাহত থাকবে।