পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি : দীর্ঘ একটি বছর পেরিয়ে আমাদের মাঝে আবার আসছে প্রাণের উৎসব, রঙের উৎসব পহেলা বৈশাখ। আগামী শনিবার পুরনো সব পিছনে ফেলে নতুন কেতন উড়িয়ে শুরু হবে আরেকটি বছর। গত বারের মতই নতুন বছরকে বরণ করে নিতে পাইকগাছা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নানা আয়োজন করা হয়েছে। আয়োজিত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা, পান্তা ভোজ, গ্রামীন খেলাধূলা, ঘুড়ি ওড়ানো প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বৈশাখী মেলা। বর্ষবরণ উৎসবকে রঙিন করতে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজিত কর্মসূচিতে এবার যোগ হয়েছে আল্পনা অঙ্কন। যা এর আগে কখনো ছিল না। আল্পনার মাধ্যমে পহেলা বৈশাখের এবারের বর্ষবরণ উৎসব বিগত যে কোন বছরের চেয়ে রঙিন করে তুলবে বলে ধারণা করছেন আয়োজক কর্তৃপক্ষ। আল্পনার এ দায়িত্ব অর্পন করা হয়েছে নর্থওয়ের্ষ্টান ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের ছাত্রী ফারিন বুশরাকে। দায়িত্ব অর্পনের পর হতে আল্পনার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে অঙ্কন শিল্পী ফারিন। পহেলা বৈশাখের প্রতিটি জিনিসপত্র নিপুন কারুকাজ করার মাধ্যমে বাঙালীর ঐতিহ্য ফুটিয়ে তুলতে প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত আল্পনার কাজ করছে ফারিন। ফারিন বুশরা পাইকগাছা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড বাতিখালী গ্রামের খায়রুল আলম এর মেয়ে, মা আফরা নাজলীন। দুই ভাই বোনের মধ্যে ফারিন বড়। সে ২০১৪ সালে পাইকগাছা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ২০১৬ সালে পাইকগাছা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে বর্তমানে খুলনা নর্থওয়ের্ষ্টান ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগে অধ্যায়নরত রয়েছে। ফারিন কোন প্রশিক্ষণ ছাড়ায় শিশু বয়স থেকেই অঙ্কনের কাজ করে আসছে। এখনো সে শখ হিসাবে অঙ্কনের কাজ অব্যাহত রেখেছে। তবে ভবিষ্যতে নিজের তৈরি জিনিস দিয়ে একটি বুটিক্স হাউস করার তার পরিকল্পনা রয়েছে। বর্তমানে হাতের সেলাই, ব্লক বটিক্স, কাপড়ে রং, জামার ডিজাইন ও ব্যাগের কাজ সহ তার তৈরি ও কাজ করার জিনিসপত্র ইতোমধ্যে দুহিতা ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে বিক্রি করা শুরু করেছে। ভবিষ্যতে এর মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে তোলার মাধ্যমে এলাকার শিক্ষিত বেকার নারীদের আত্ম কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও সাবলম্বী করে তুলতে চাই বলে জানিয়েছেন অঙ্কন শিল্পী ফারিন।