মংলা প্রতিনিধি ঃ আর মাত্র কয়েকদিন পরেই ঈদ-উল আযহা। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে মংলা উপজেলার দিগরাজে জমে উঠেছে পশুর হাট। পশুর হাটে ক্রেতা বিক্রেতাদের ঢল নেমেছে যেন হাটে তিল ধরার ঠাই নেই। মংলা উপজেলা বৈদ্যুতি টেকনিশিয়ান শ্রমিক ইউনিয়ানের উদ্যগে ও বাইতুন নুর জামে মসজিদের সাহায্যার্থে, প্রথম বারের মত এই হাঠ বসেছে। সরেজমিনে, হাটঘুরে দেখা যায়, ক্রেতা বিক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। কেউ পশুর দাম হাকছেন, কেউবা আবার দাম যাচাই করছেন । একাধিক পশু ব্যবসায়ীর সাথে কথা বলে জানাযায়, অন্যান্য বারের তুলনায় এবার পশুর দাম অনেক কম, এতে করে খামারিদের অনেক লোকসান গুণতে হবে। ক্রেতারা দাম ছাড়ছেন না, তাই পশু কিনতে বেগ পোহাতে হচ্ছে। বিক্রেতারা সে অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন, ক্রেতারা পশুর সঠিক দামই করছেন না বলে তারা পশু বিক্রি করতে পারছেন না, অন্যদিকে খামারি এশরাম হোসেন যানান নতুন বাজার হিসাবে কেনা বেচা খুব ভালো, খামারি আলামিন শেখ জানান হাঠে গরু এনেই প্রথম দিনে ২টা বিক্রি করছে, খামারি রাজু জানান সে ২০ গরু এনেছে বিক্রি করেছি ৩টা তবে সে আশাবাদি। এই হাটে এখন পর্যন্ত ৩লক্ষ টাকা দামের গরু এসেছে এবং এখনো গরু আসছে। হাটে ক্রেতা বিক্রেতার সমাগমই ঘটছে। পশুর দাম একটু কমেই রয়েছে। তিনি মনে করেন আগামী হাট থেকে পশুর সঠিক দাম পাওয়া যেতে পারে। এ বিষয়ে ব্যবস্থাপনা ও পরচিালনা কমিটির সভাপতি মংলা পৌরসভার ৪নং ওযার্ড সাবেক (কমশিনার) মোঃ শফিকুর রহমান খান এবং হাট ইজাদার মোঃ ওমর আলী পাটোয়ারী সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান হাটে পর্যাপ্ত গরু উঠেছে প্রথম বারের মত হলেও দিগরাজে জমে উঠেছে পশুর হাট এবং হাটের ইজারা তুলনামুলক ভাবে কম আরো জানান হাটে ক্রেতাÑবিক্রতাদের জন্য রাখা হয়েছে সকল সুযোগ সুবিদা,মাঠে রয়েছে সর্বক্ষনি ভেটনারী (মেডিকেল) টিম,জাল টাকা সনাক্তকারী মেশিন ও নিজেস্ব বিদ্যুত ব্যবস্তা, ঈদের আরও বেশ কিছুদিন বাকী আছে। পরের হাটগুলো থেকে আরও বিক্রি বাড়বে বলে তিনি আশা করেন।